উজ্জ্বল ও নিখুঁত ত্বকের জন্য হাজার টাকা খরচ করতেও রাজি থাকেন তরুণীরা। কিন্তু ৩০-এর কোঠা পার করার পরই চোখে-মুখে দেখা যায় বার্ধক্যের চাপ। সময়ের সঙ্গে ত্বকেরও বয়স বাড়ে। তাই চোখের কোণে চামড়া কুঁচকে যায়। কপালে জোরাল হতে থাকে বলিরেখা। এই লক্ষণগুলোই জানান দেয় যে, আপনার ত্বকের একটু বেশি যত্ন নিতে হবে। আর এই যত্ন নিতে গিয়ে অনেকেই নামীদামি ক্রিম বেছে নেন। কিন্তু বিশেষজ্ঞদের মতে, ব্র্যান্ডেড ক্রিমের পিছনে খরচ না করে, ঘরোয়া প্রতিকারের উপর ভরসা রাখতে। ত্বকের যত্নে প্রাকৃতিক উপাদানের ব্যবহার নতুন বিষয় নয়। কিন্তু যখন কথা হচ্ছে, অ্যান্টি-এজিং স্কিন কেয়ার নিয়ে, সেখানে কী ব্যবহার করলে সেরা ফল মিলবে, তা অনেকেরই অজানা। বিশেষজ্ঞদের মতে, টক দই দিয়ে ত্বকের যত্ন নিলে বার্ধক্যকে আপনি প্রতিরোধ করতে পারবেন।
গরমে টক দই স্বাস্থ্যের জন্য দারুণ উপকারী। একইভাবে, ত্বকের বার্ধক্য প্রতিরোধেও সাহায্য করে টক দই। টক দইয়ের মধ্যে ল্যাকটিক অ্যাসিড রয়েছে। এই উপাদান ওপেন পোরসের সমস্যা দূর করে এবং বলিরেখা ও সূক্ষ্মরেখা প্রতিরোধ করে। তাছাড়া টক দইয়ের মধ্যে থাকা ল্যাকটিক অ্যাসিড ত্বককে এক্সফোলিয়েট করতে সাহায্য করে। এতে ত্বকের উপর জমে থাকা মরা কোষ দূর করে দেয়। তাই টক দই মাখলে আপনি ত্বকের জেল্লাও ধরে রাখতে পারবেন।
ত্বকের বার্ধক্য মানে শুধু যে বলিরেখা, দাগছোপ তা নয়। ত্বকের বয়স বাড়লে প্রদাহও বাড়তে থাকে। আর এই প্রদাহ কমাতে ব্র্যান্ডেড ক্রিম খুব বেশি কার্যকর হয় না। কিন্তু টক দই মাখলে আপনার সমস্যার সমাধান হতে পারে নিমেষে। টক দইয়ের মধ্যে জিঙ্ক রয়েছে, যা ত্বকের অতিরিক্ত তেলতেলে ভাব ও প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে। পাশাপাশি টক দই ব্রণ উৎপাদনকারী ব্যাকটেরিয়াকে ধ্বংস করে। এছাড়া ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখে টক দই।
ত্বকের বার্ধক্য প্রতিরোধে যে ভাবে টক দই ব্যবহার করবেন-
১) এক চামচ টক দই নিন। এতে মধু মিশিয়ে নিয়ে ত্বকের উপর ভাল করে লাগিয়ে নিন। ১০-১৫ মিনিট রাখুন। তারপর জল দিয়ে মুখ ধুয়ে নিন। এই উপায়ে সহজেই আপনি ত্বকের প্রদাহ কমাতে পারবেন এবং ত্বককে হাইড্রেটেড রাখতে পারবেন।
২) ত্বকের সমস্যা প্রদাহ ও বার্ধক্যের লক্ষণগুলো কমাতে টক দইয়ের সঙ্গে অ্যালোভেরা জেল মিশিয়ে ব্যবহার করতে পারেন। এই উপায়ে মুখে টক দই মাখলে আপনি সহজে ট্যানও দূর করতে পারবেন। এই ফেসপ্যাক আপনাকে এনে দেবে কোমল ত্বক।