ডায়েটেশিয়ানের পরামর্শ নিয়ে ডায়েট চার্ট বানিয়েছেন। সেই তালিকা মেনেই সকাল-বিকাল খাবার খান। লাঞ্চ বা ডিনারে কী খাবেন, তা আগে থেকেই ঠিক থাকে। সমস্যায় পড়তে হয় বিকালবেলার স্ন্যাকস খাওয়ার সময়। সন্ধে হলেই মনটা মোমো, ফুচকা, চাউমিন করে ওঠে। কিন্তু ওজনের কথা ভেবে বাইরের খাবারে দিকে যান না। আবার রোজ-রোজ একঘেয়ে খাবার খাওয়াও যায় না। তাই তেল-মশলাদার ছাড়া কোন মুখরোচক খাবার দিয়ে পেট ভরাবেন, রইল টিপস।
মুড়ি-বাদাম: বাঙালি বাড়িতে সন্ধে হলেই চপ-মুড়ি খাওয়ার চল রয়েছে। চাট করে ঝালমুড়ি খেতে ভালই লাগে। কিন্তু গরমে তেলভাজা এড়িয়ে চলুন। মুড়িতে মেশান বাদাম, ছোলা ভাজা ইত্যাদি। এটা স্বাস্থ্যকর এবং পেট ভরানো খাবার।
স্যান্ডউইচ: বাইরে থেকে স্যান্ডউইচ, বার্গার অর্ডার করলে তাতে এমন অনেক জিনিস থাকবে, যা আপনার স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। তাই বাড়িতেই চিকেন বা কর্ন দিয়ে স্যান্ডউইচ বানিয়ে নিন। তাতে প্রচুর পরিমাণে সবজি ব্যবহার করুন।
দোসা: গরমকালে সন্ধেবেলা দোসা খেতে পারেন। দক্ষিণ ভারতের এই জনপ্রিয় পদ স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। আর স্বাদের দিক দিয়েও একদম ফিট বসে। মশলা দোসা হোক বা বাটার দোসা, এটি ওজন কমাতে সাহায্য করে। দোসা সঙ্গে নারকেলের চাটনি ও সাম্বার থাকলে আরও ভাল।
সুজির টোস্ট: সাধারণ টোস্টে যে পাউরুটি ব্যবহার হয়, তাতে ময়দা থাকে। আর ময়দা কখনওই ভাল নয়। সেক্ষেত্রে শুধু পাউরুটি খাওয়ার বদলে সুজির টোস্ট বানিয়ে নিন। টক দইয়ের সঙ্গে সুজি গুলে নিন। এতে পছন্দের সবজিও মেশান। এবার পাউরুটি ওই ব্যাটারে ডুবিয়ে অল্প ঘিয়ে সেঁকে নিন। সসের সঙ্গে খেতে পারেন সুজির টোস্ট।
ছানা: দুধ খান না। সন্ধেবেলা খিদে পেলে ছানা খান। ছানার মধ্যে ক্যালোরির পরিমাণ কম। আর রয়েছে প্রচুর পরিমাণে স্বাস্থ্যকর ফ্যাট, প্রোটিন ও ক্যালশিয়াম। মজবুত হাড় গঠনের পাশাপাশি ওজন কমাতে সাহায্য করে ছানা। আর ছানা বানাতেও খুব একটা ঝক্কি পোহাতে হয় না। দুধে লেবুর রস কিংবা ভিনিগার অথবা ছানা কাটার পাউডার ব্যবহার করে ছানা বানিয়ে নিন। তবে, ভুলেও চিনি দিয়ে খাবেন না ছানা।