গরম আসলেই বাড়ে পানীয়ের চাহিদা। আম পান্না হোক বা লেবুর জল—ঠান্ডা পানীয় মন জুড়িয়ে দেয়। কিন্তু আম পোড়ার শরবত হোক বা ঘোল, যেটাই বানাবেন, একটু ঝক্কি পোহাতেই হবে। তাই অনেকেই বাজারচলতি সোডাযুক্ত পানীয় বেছে নেন। গলায় ভেজান মিষ্টি কোল্ড ড্রিংক্সে। কিন্তু এই ধরনের পানীয় স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকারক। ওজন বাড়িয়ে তোলে এবং ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বাড়ায়। স্বাস্থ্যের কথা মাথায় রেখে কোল্ড ড্রিংক্স ছাড়ুন। আর গরমের ফল ও চিয়া সিড দিয়ে পানীয় বানিয়ে খান।
সুপারফুডের তালিকায় নাম রয়েছে চিয়া সিডের। এই বীজের মধ্যে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার রয়েছে। চিয়া সিডের জল শরীরকে হাইড্রেটেড রাখার পাশাপাশি ওজন কমাতে সাহায্য করে। কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা মুক্তি দেয়। রক্তে সুগার লেভেল ও কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে বিশেষ ভূমিকা পালন করে। চিয়া সিডের মধ্যে থাকা ‘ক্লোরোজেনিক অ্যাসিড’ নামের এক ধরনের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উচ্চ রক্তচাপকে নিয়ন্ত্রণে রাখে। এতে হৃদরোগের ঝুঁকিও কমে।
বাড়িতে শরবত বানানোর ঝক্কি অনেক। তবে, চিয়া সিডের জল বানাতে বেশি কসরত করতে হয় না। এক গ্লাস জলে এক চামচ চিয়া সিড ভিজিয়ে রাখলেই কাজ শেষ। তবে, এই চিয়া সিড জলকে আরও মজাদার বানাতে পারেন। গরমে তেষ্টা মেটানোর জন্য এই দুই পানীয়ের রেসিপি ট্রাই করুন।
লেবু ও চিয়া সিডের জল: পাতিলেবুর রস দিয়ে লেবুর জল বানিয়ে নিন। চিনির বদলে এই জলে মধু মেশান। কয়েকটা পুদিনা পাতা হাতে করে রগড়ে জলে মিশিয়ে দিন। একদম শেষে এক চামচ ভেজানো চিয়া সিড মিশিয়ে দিন। এবার এই মিশ্রণটি ফ্রিজে রেখে দিন। রোদ থেকে বাড়ি ফিরে এই লেবুর জলে চুমুক দিন। এক নিমেষে সমস্ত ক্লান্তি দূর হয়ে যাবে।
তরমুজ ও চিয়া সিডের পানীয়: তরমুজের শরবত শরীরকে ঠান্ডা ও হাইড্রেটেড রাখতে সাহায্য করে। তরমুজের শরবতের সঙ্গে চিয়া সিড মিশিয়ে দিলে এর স্বাস্থ্য গুণ বেড়ে যায়। ব্লেন্ডারে তরমুজ ব্লেন্ড করে নিন। এবারে এতে পুদিনা পাতা ও লেবুর রস মিশিয়ে দিন। একদম শেষে এক চামচ ভেজানো চিয়া সিড মিশিয়ে দিন। এই পানীয় ফ্রিজে রেখে ঠান্ডা করুন। তারপর খান। শরীরে সতেজতা এনে দেবে এই পানীয়।