হোলি মানে এখন আর মোটেই আলমারি ঘেঁটে ছেঁড়া-ফাটা টিশার্ট আর কোনও রকমে চুল উপরে তুলে খোঁপা বেঁধে নেওযয়া কিন্তু নয়। আজকাল রং খেলতে নামার আগেও সবাই নিজেকে কেতাদুরস্ত করে তোলেন। যে কোনও অনন্দ উৎসবে এখন কিন্তু ছবি তোলাটাই মুখ্য। কাজেই মানানসই সাজগোজও চাই। গত দুবছর দোলের আনন্দ ছিল কিছুটা ফিকে। বাড়ির বাইরে গিয়ে রং খেলার তেমন পরিস্থিতি ছিল না। কিন্তু এবছর করোনা খানিকটা ব্যাকফুটে। আর তাই সর্বত্র চলছে চুটিয়ে হোলিতে রং খেলার প্রস্তুতি। হোলির জন্য সর্বত্রই চলছে বিশেষ ছাড়। আর তাই রঙিন দিনে কী ভাবে নিজেকে ফ্যাশনেবল করে তুলবেন? রইল দারুণ কিছু টিপস
যতই মুখে ভেষজ আবির নিয়ে খেলার কথা হোক না কেন আসল দিনে কেউই তার ধারপাশ দিয়ে যান না। বাজার চলতি আবিরের মধ্যেও মেশানো থাকে রং। এই রং কিন্তু ত্বক আর চুলের খুবই ক্ষতি করে। আর তাই এমন রাসায়নিক থেকে চুলকে রক্ষা করতে সবচেয়ে ভাল উপায় হল চুল ঢেকে ফেলা। নানা রকম ফেট্টি বাঁধতে পারেন। কিংবা কাপড় জড়িয়ে পাগড়িও করে নিতে পারেন। এছাড়াও রয়েছে হেডক্যাপ। বসন্তে যখন সবই রঙিন তখন ফুল দিয়েও বানিয়ে নিতে পারেন চুলের বিশেষ গয়না। এতে যেমন দেখতে ভাল লাগবে তেমনই কিন্তু ছবিও ভাল উঠবে।
চোখে অবশ্যই রাখুন সানগ্লাস। যা আপনাকে রোদের হাত থেকে যেমন বাঁচাবে তেমনই রঙের ক্ষতিকর দিক থেকেও রক্ষা করবে। সবাই যখন হোলির আনন্দে মাতোয়ারা থাকেন তখন ভুলেই যান নিজের শরীরের কথা। অনেকেই আবির ছুঁড়ে দেন। আর আবির চোখে গেলে খুবই ক্ষতিকর। কারণ ওর মধ্যে যে রাসায়নিক থাকে তা আমাদের দৃষ্টিশক্তি নষ্ট করে দিতে পারে। রং খেলতে গিয়ে চোখ খুইয়েছেন এমন কিছু ঘটনার কথাও কিন্তু শোনা যায় প্রতি বছর। কাজেই এই বিষয়টি নিয়ে প্রথম থেকেই সচেতন থাকুন।
রং খেলতে যাওয়ার আগে অবশ্যই ভাল করে সানস্ক্রিন মেখে আসবেন। নইলে আবির, রোদ আর ট্যান সব মিলেমিশে একাকার হয়ে যায়। অনেকেরই এই রং থেকে অ্যালার্জির সমস্যা হয়। এছাড়াও সানস্ক্রিন মাখা থাকলে মুখে বিশেষ রং ধরে না।
দোলের দিনে সাদা পোশাকেই দেখতে সবচেয়ে বেশি দেখতে ভাল লাগে। টাই ডাই টিশার্ট পরতে পারেন, সালোয়ার-কুর্তার সঙ্গে প্রিন্টেড দোপাট্টা পড়তে পারেন। তবে মাথায় রাখবেন বেশিরভাগ সময় কাটবে রোদের মধ্যে। তাই এমন পোশাক বাছুন যা আপনার জন্য আরামদায়ক হয়। সাদা, হলুদ, সবুজ এসব রঙে কিন্তু দোলের দিন দেখতে বেশ ভাল লাগে। আবিরের নানা রঙের সঙ্গে কনট্রাস্ট থাকে। ফলে ছবি ভাল উঠবেই।