গত বছরই টলিউড ছেড়ে বলিউডে সফর শুরু হয়েছে অদ্রিজা রায়ের। ছোট পর্দায় জনপ্রিয় এই অভিনেত্রীর কেরিয়ার শুরু মডেলিং দিয়েই। এরপর একের পর এক কাজের সুযোগ এসেছে তাঁর কাছে। কাজ করেছেন বাংলা ওটিটি-তেও। এরপর সোজা পাড়ি মুম্বই। সেখানেও এসেছে একের পর এক সাফল্য। একটা ধারাবাহিক শেষ হয়েছে সম্প্রতি। আর একটি ধারাবাহিকও শুরু হবে খুব শীঘ্রই। কিছু মাস আগেই মুম্বই পৌঁছেছেন অদ্রিজা রায়, অথচ সাফল্য যেন তাঁকে ঘিরেই আছে। কীভাবে এত অল্প সময়ের মধ্যে এত সাফল্য পাচ্ছেন অভিনেত্রী? এই প্রশ্ন উঠছে খোদ ইন্ডাস্ট্রির অন্দরেই। অবশ্য সকলেই যে বাঁকা চোখে প্রশ্ন করছেন এরকমটা একেবারেই নয়।
লোকে যখন কটাক্ষ করছেন, চলছে ফিসফাস তখন অদ্রিজার সাফ উত্তর একমাত্র তিনি জানেন এই জায়গায় পৌঁছনোর জন্য কতটা কষ্ট করতে হয়েছে। দিনের পর দিন হিন্দি শিখতে হয়েছে। অডিশন দিতে হয়েছে। প্রতি বছরই বন্ধুদের সঙ্গে নিয়ে নিজের জন্মদিনে বিদেশে ঘুরতে যান অভিনেত্রী। বিকিনিতে অদ্রিজার ফটোশ্যুট তাক লাগিয়ে দেবে যে কোনও বলিউড স্টারকেও। বাংলার মেয়ের দুদিন ছাড়া এমন বিলাস বহুল বিদেশ সফর দেখেও বাঁকা চোখে দেখেছেন অনেকে।
জন্মদিনে বন্ধুদের সঙ্গেই এবার বিদেশ নয়, গোয়ার সমুদ্রতটেই উড়ে গিয়েছেন অদ্রিজা। জন্মদিনে বিদেশের সমুদ্রতটই বিশেষ পছন্দ তাঁর। গোয়ার বিখ্যাত কালাঙ্গুট বিচের ধারে একটি বিখ্যাত নাইট ক্লাবে ছিল তাঁর জন্মদিনের পার্টি। আজকাল অধিকাংশ সময়ে ওয়েস্টার্ন পোশাকেই দেখা যায় তাঁকে। জন্মদিনের কিছুদিন আগেই একটি কালো রঙের থাই স্লিট গাউনে দারুণ তিনটি ছবি শেয়ার করেছেন অদ্রিজা। আর এই তিনটি ছবিতেই দারুণ দেখতে লাগছে তাঁকে। গলায় সবুজ রঙের স্টোনের লেয়ার হার, খোলা চুলে স্টোনের টিকলি। ইন্ডো-ওয়েস্টার্ন এই মেকআপে খুবই সুন্দর লাগছে অভিনেত্রীকে। অদ্রিজার শরীরে কোথাও ফ্যাটের ছিটেফোঁটাও নেই। আর এর জন্য প্রচুর পরিশ্রমও যে তাঁকে করতে হয় একথা অভিনেত্রী নিজেই জানিয়েছেন। এই কালো ব্রালেট-টিও বিখ্যাত একটি সংস্থার থেকে তিনি নিয়েছেন। অদ্রিজার স্টাইলিং করেছেন তাঁর বন্ধু রুদ্র সাহা।