পুজোয় নতুন শাড়ি, জামা, জুতো, ব্যাগ, গয়না কিনে সাজতে কার না ভাললাগে! সকলেরই পুজো নিয়ে অনেক রকম প্ল্যানিং থাকে। সেই মত কেনাকাটা শুরু হয়ে যায় অনেকদিন থেকেই। পুজোতে অনেকেই কাছের মানুষদের উপহার দেন, তার জন্যেও থাকে কেনাকাটা। এই কেনাকাটার বাজেট এক একজনের এক একরকম থাকে। সবার যে সমান হবে এমন নয়। পুজোর আনন্দ সকলের মধ্যে ভাগ করে নেওয়াই আমাদের কর্তব্য। বন্ধুদের সঙ্গে প্যান্ডেল হপিং, পাড়ার বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা, অষ্টমীর অঞ্জলি কোনদিন কেমন শাড়ি পরা হবে, সাজগোজ কেমন হবে তার একটা প্ল্যানিং থেকেই যায়। সব সময় যে সেই পরিকল্পনা মাফিকই সব হয় তা নয়।
ধরা যাক কেউ পুজোর জন্য হাত খরচা থেকে বা মাস মাইনে থেকে ৫ হাজার টাকা বাঁচিয়ে রেখেছেন। হঠাৎ করেই কোনও কারণ বশত সেখা থেকে ৩ হাজার টাকা খরচ হয়ে গেল। এবার হাতে যা পড়ে থাকল তাই দেখে মন খারাপ হতেই পারে। তাই বলে চুপচাপ বসে থাকা মোটেই বুদ্ধিমানের কাজ নয়। সব পরিস্থিতে নিজেকে মানিয়ে নিয়ে আনন্দে মাতলে তবেই মন ভাল থাকে সেই সঙ্গে শরীরও।
কলকাতা এমন একটি জায়গা এখানে আপনি যা চাইবেন তাই পাবেন। আর তাই দেরি না করে ঝটপট শুরু করে দিন কেনাকাটা। হাতে মাত্র ৭০০ টাকা থাকলেই আপনি হয়ে উঠবেন ফ্যাশনিস্তা। কী ভাবে? রইল টিপস। হ্যান্ডলুম শাড়ি আর ব্লাউজের সেরা কালেকশন হল গড়িয়াহাট। গড়িয়াহাটের ভিড় ঠেলে কেনাকাটা না করলে অনেকেরই পুজোর শপিং শেষ হয় না। প্রথমেই চলে যান দক্ষিণাপনে। এখানে গ্রাউন্ড ফ্লোরে অনেক দোকান রয়েছে। যেখানে ৩৫০ কি ৪০০ টাকায় পেয়ে যাবেন পছন্দের হ্যান্ডলুমের শাড়ি।
এবার এই শাড়ি কিনে পছন্দমতো ব্লাউজ কিনতে যান গড়িয়াহাটে। ২৫০ টাকাতে পেয়ে যাবেন ডিজাইনার সব ব্লাউজ। স্লিভলেস, হল্টার নেক, গ্লাস স্লিভস যেমন খুশি তেমন পেয়ে যাবেন এখান থেকে। সুতির একরঙা হ্যান্ডলুমের সঙ্গে আজরক, কলমকারি বা অন্য প্রিন্টের স্লিভলেস ব্লাউজেই দেখতে সবচেয়ে বেশি সুন্দর লাগে। শাড়ির সঙ্গে এক হাতে ঘড়ি আর কানে একটা ঝুমকা হলেই সাজ কমপ্লিট। রিলস ভিডিয়োর দৌলতে ঝুমকা এখন খুবই ট্রেন্ডিং। তাহলে আর দেরী কেন, রং মিলিয়ে শাড়ি-ব্লাউজ কিনে ফেলুন ঝটপট।