গরম পড়তেই খোঁজ শুরু আরামদায়ক পোশাকের। আমাদের মত গ্রীষ্মপ্রধান দেশে সুতির পোশাকই ভরসা। আর তাই যাবতীয় ফ্যাশান হয় সুতিতেই। শীত বিদায়ের পর বসন্তের ছোঁয়া লাগতে শুরু করলেই হালকা জামাকাপড়ের খোঁজ পড়ে। বসন্তে তাই হলুদ, সবুজ, কমলা এসব রঙই ভরসা। প্যাচপ্যাচে গরমের হাত থেকে মুক্তি পেতে সুতির জামা ছাড়া গতি নেই। যত বেশি ফিনফিনে হয় জামা হয় ততই আরাম। আর যেই না গরম পড়া শুরু হয় তখনই কিন্তু হু হু করে বাড়তে থাকে সুতির জামার দাম। সামনেই পয়লা বৈশাখ। আবার শুরু হয়েছে চৈত্র সেলও। এই সেলের বাজারে একেবারে লুটেপুটে নিন। যা যা প্রয়োজন সব কিছু কিনে ফেলুন একেবারে জলের দরে। মনে রাখবেন সুতির পোশাকে ১০০ টাকাতেই করতে পারবেন ফ্যাশান। আর ১০০০ টাকা খরচ করলে আপনি তিনখানা ফ্যাশনেবল লুকও পেয়ে যাবেন।
সস্তায় কুর্তি কিনতে হলে শহরের সেরা ঠিকানা হল হরি সাহার হাট। শ্যামবাজারের মোড়ে এই হাটে সস্তায় ভাল কুর্তি পাওয়া যায়। বুধবার আর রবিবারে বসে এই হাট। ৫০ টাকায় পেয়ে যাবেন সুতির টপ। আর পছন্দসই কুর্তি পেয়ে যাবেন ১০০ টাকাতেই। এছাড়াও রয়েছে বড়বাজার, হাতিবাগান, গড়িয়াহাট, এসপ্ল্যানেড। এই সব জায়গাতেই কিন্তু সস্তায় ভাল সুতির পোশাক পাওয়া যায়। গড়িয়াহাটের কালেকশন যে কোনও বড় দোকান, বুটিককেও হার মানিয়ে দেবে। সেই সঙ্গে বিভিন্ন দোকানে সেল চলছে। আর সেখান থেকেও কিন্তু পেয়ে যাবেন পছন্দসই সব পোশাক। তবে গড়িয়াহাট বা হাতিবাগানে গেলে আপনাকে ভাল করে দরদাম করতে হবে। নইলে কিন্তু পস্তাতে হবে। অনলাইনেও ভাল পোশাক পাওয়া যায়। তবে তার থেকে দোকানে অনেক সস্তা।
আজকাল অনেকেই সোশ্যাল মিডিয়ায় লাইভ করেন। সেখান থেকেও কিন্তু সস্তায় পোশাক কিনতে পারেন। সুতির পোশাকে খুব কম খরচের মধ্যেই ফ্যাশনেবল লুক তৈরি করা যায়। টপ, কুর্তি বা শাড়ির সঙ্গে যে কোনও জাঙ্ক জুয়েলারি বেশি ভাল লাগে। সুতির নানা কাটের রেডিমেড ব্লাউজ দোকানেও কিনতে পাওয়া যায়। কুর্তির সঙ্গে পালাজো বা সিগারেট প্যান্ট পরতে পারেন। আবার টপের সঙ্গে কটন প্যান্টও পরতে পারেন। আর তাই দেরি না করে ঝটপট সস্তায় জামা কিনে আলমারি ভরিয়ে ফেলুন।