গর্ভাবস্থায় অফিস কিংবা বাইরে বের হলে কোন পোশাক পরবেন তা নিয়ে চিন্তার অন্ত থাকে না। তবে আধুনিক যুগে বেবিবাম্প দেখিয়ে স্টাইলিস পোশাক পরার এক নয়া ট্রেন্ড শুরু হয়েছে। মাতৃত্বের আনন্দ, যত্ন ও সুখের সন্ধানে ফ্যাশনও জড়িয়ে গিয়েছে। মেটারনিটি বা নার্সিং ড্রেস এখন একটি সুন্দর পোশাক হিসেবে বিবেচিত হয়। সেই পোশাক শুধু স্টাইল বা আরামদায়কের জন্যই নয়, মার্জিত পোষাকও বটে।
গাউন, মিডিস. বা কাফতান পোষাক এই সময়ে ওয়্যার্ড্রোবে রাখতে ভুলবেন না যেন। বিভিন্ন ধরনের নকসা, উপাদান, রঙ, ও ফ্যাশন শৈলির উপর নজর রাখতে পারেন। এছাড়া সেই পোশাক দীর্ঘমেয়াদী ও বহুমুখী কাজের জন্য ফেব্রিক কিনা তা নজরে রাখুন। এমন পোশাক পরুন যাতে প্রসবের আগে ও পরেও সেই পোশাক পরতে পারেন। নার্সিং হোক. ব্রেস্টফিডিম বা গর্ভাবস্থার পরে ট্রানজিশন পিরিয়ডের জন্য সেই সব পোশাক সবকিছুতেই কাজে লাগে।
নরম ও হাওয়া সরবরাহ করতে পারে এমন পোশাক বেছে নিন। সুতির, ফ্লেক্স সুতি, সুতির শাল বা রেয়ন ফেব্রিকের পোশাক ব্যবহার করা আবশ্যিক। এই সময় আপনি মনের শান্তি ও মাতডত্বসুখের জন্য নানা স্টাইসের পোশাক পরতেই পারেন। অ্যানিমাল প্রিন্টস, ইকত কাপড় বা খাড়ি কাপড় এই অবস্থার জন্য আরামদায়ক ও নজরকাড়াও বটে। সছিক ধরনের নাইটওয়্যারও বেছে নেওয়া গুরুত্বপূর্ণ।
গর্ভাবস্থায় পোশাকের পাশাপাশি ফুটওয়্যারের দিকেও নজর দিতে হবে। ম্যাক্সি জাতীয় পোশাক পরলে তা আরামদায়ক ও আনন্দদায়ক। ভি-নেক, এ লাইন কুর্তা বেছে নিতে পারেন। তার সঙ্গে বাটনবিহীন ডেনিম ভেস্ট, জ্যাকেট যুক্ত করতে পারেন। স্টাইলের জন্য সাদা বা কালো বুটের সঙ্গে এই ধরনের পোশাক পরতে পারেন। ইকত বা খাড়ির মতো ফেব্রিক দেওয়া পোশাকের সঙ্গে হালকা রঙের টি-স্ট্র্যাপ ফ্ল্যাট জুতো বা বাদামী রঙের ফ্ল্যাট ফুটওয়্যার বেছে নিতে পারেন। এছাড়া নার্সিং ড্রেসের সঙ্গে সাদা স্নিকার্স বা বাদামী লোফার বেশ ফ্যাশনেবল।
আরও পড়ুন: বিয়েতে লেহেঙ্গা-চোলি নয়, ঐতিহ্য মেনে ঢাকাই শাড়ির প্রেমে মন জিতলেন এই বাঙালি কনে