উৎসবের একটা আবহ চারিদিকে শুরু হয়ে গিয়েছে। কারণ সামনেই রাখী পূর্ণিমা। পাড়ায় পাড়ায় বসেছে রাখীর দোকান। বাঙালির উৎসবের মরশুম শুরু হয়ে যায় ১৫ অগস্টের পর থেকেই। এখন চলছে ঝুলন, এরপর রয়েছে রাখী, জন্মাষ্টমী, গণেশ চতুর্থী, দুর্গাপুজো। দোকানে দোকানে সেল চলছে সেই সঙ্গে শাড়ি-ব্লাউজের দোকানেও লম্বা লাইন। অনেকেই বানিয়ে সালোয়ার, কুর্তি, ব্লাউজ পরেন। আর তাই দর্জির দোকানেো এখন চলছে ব্যস্ততা। পছন্দমতো ডিজাইনের ব্লাউজ পেতে এখনই বানাতে দিয়ে দিন। সেই সঙ্গে ঠিক করে নিন পুজোর কোনদিন কেমন শাড়ি পরবেন। প্রতি বছরের মত এবাারও হ্যান্ডলুম আর সিল্কের শাড়ি তো থাকছেই পুজোর ফ্যাশনে। সেই সঙ্গে অনেকেই ডিজাইনার স্টোর থেকে শাড়ি কিনছেন। বুটিকের স্পেশ্যাল ডিজাইনার শাড়িও এখন ফ্যাশনে ইন।
পুজো মানেই একটা মেলবন্ধন। কর্মসূত্রে সারা বছর প্রবাসে কাটানোর পর এই সময় অনেকে বাড়ি ফেরেন। বন্ধুদের সঙ্গে রিইউনিয়ন থেকে শুরু করে পারিবারিক আড্ডা- সবই থাকে এই পুজোর সময়। পুজো, বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা, সোশ্যাল মিডিয়ায় ছবি আপলোড- এসব থাকেই। যেহেতু পুজো তাই সকলেই এই সময়টায় চায় এথনিক পোশাক পরতে। শাড়ি ছাড়া অন্য পোাক এই সময় পরতে তেমন ইচ্ছে করে না। আমাদের এখানকার আবহাওয়াতে সবচেয়ে ভাল হল হ্যান্ডলুমের শাড়ি। হ্যান্ডলমের শাড়ি যেমন সাবেকি কায়দায় পরতে পারেন তেমনই ইন্দো-ওয়েস্টার্ন স্টাইলেও পরতে পারেন। চুলে খোঁপা করে জুঁই এর মালা লাগাতে পারেন, এবার সাইড থেকে একটা বা দুটো কাঠগোলাপ লাগালেও কিন্তু দেখতে বেশ লাগে।
সন্দীপ্তা এখানে যেমন শাড়ি বেছেছেন তেমন বেছে নিতে পারেন আপনিও। সন্দীপ্তা লাল রঙের নেটের সিক্যুইনের কাজ করা একটি শাড়ি পরেছেন। এরকম শাড়ি পার্টিতে দেখতে বেশ লাগে। পুজোতে নবমীর সন্ধ্যায় এই রকম শাড়ির কোনও তুলনা নেই। পুজো মানেই লাল-সাদার একটা ভাইবস থাকে। পুজোর আড্ডা বা সকালের দিনে এরকম শাড়ি পরতে পারেন। আবার অষ্মীর সন্ধ্যায় জমকালো সাজের সঙ্গে তা যেন ট্র্যাডিশন্যাল হল সেই দিকেও খেয়াল রাখা জরুরি। সাদা স্লিভলেস ব্লাউজের সঙ্গে হ্যান্ডলুম বা র সিল্কের শাড়ি পরতে পারেন। হ্যান্ডলুমের গয়না, নোজপিন, চোখে কাজল, ঠোঁটে লিপস্টিক দিন- আপনার ইনস্টা স্টোরি আর ঠেকায় কে!