শীত মানেই আলমারি থেকে নামে বাহারি সোয়েটার, কোট, জ্যাকেট, শাল ইত্যাদি। একই সঙ্গে লেপ, কম্বল এসবও নামে। তবে এবার শীতের অবস্থা খুবই খারাপ। শীত প্রায় নেই বললেই চলে। প্রয়োজনে কখনও কখনও ফ্যানও চালাতে হচ্ছে। সেই সঙ্গে সোয়েটার পরলেও ঘাম হচ্ছে। ডিসেম্বর শেষ হতে চলল আর শীতের অবস্থা এতটাই খারাপ যে এবার ভারী কম্বলেরও প্রয়োজন পড়েনি। হাওয়া অফিসও জানান দিতে পারছে না যে কবে শীত পড়বে। আমাদের রাজ্যে শীতের স্থায়িত্ব এমনিই কম। মেরেকেটে ২ মাস। সাধের সোয়েটার পরার জায়গায় খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। অফিসে পরার জো নেই। সুতরাং উপায় একটাই। একমাত্র পাহাড় বা জঙ্গলে গেলে তবেই এই সোয়েটার আপনি কাজে লাগাতে পারবেন।
সারা বছর যতই ড্রেস, স্কার্ট, জিন্সে ফ্যাশন হোক না কেন শীতের দিনে সোয়েটার, জ্যাকেট এসব দেখতেই বেশি ভাল লাগে। বছর শেষে সকলেই ঘুরতে যান। আর তাই পছন্দের সোয়েটার পরার লোভে আপনিও ঝট করে প্ল্যান করে ফেলুন। বছর শেষ বা বছরের শুরুর দিনে নতুন সোয়েটারে কেত মারবেন- সে গুড়ে বালি। আর তাই বেড়াতে যান এবং সুন্দর করে সাজুন।
কাশ্মীর, দার্জিলিং থেকে শুরু করে হিমাচল- সব জায়গাতেই এখন থিকথিকে ভিড়। আর যদি ভাগ্য করে টিকিট পেয়ে যান তাহলে বেরিয়ে পড়তে কোনও রকম দ্বিধা রাখবেন না। অনেকের আগে থেকেই টিকিট কাটা রয়েছে। এক্ষেত্রে একদম কুল ক্যাজুয়াল লুক থাক। সোয়েটারের সঙ্গে বয়ফ্রেন্ড জিন্স পরতে পারেন। খোলা চুল, সানগ্লাসে এই লুকে দেখতে খুবই ভাল লাগবে। তবে বয়ফ্রেন্ড জিন্স কিন্তু সকলকে মানায় না। যাঁদের উচ্চতা কম, যাঁদের চেহারা তুলনায় মেদবহুল তাঁদের এমন পোশাকে দেখতে ভাল লাগে না। এক্ষেত্রে তাঁরা কোনও ড্রেস পরতে পারেন। হাঁটুঝুলের ড্রেস বা কো-অর্ড সেটের সঙ্গে সোয়েটার পরলে ভাল লাগে দেখতে। যাঁদের উচ্চতা কম তাঁদের হাই ওয়েস্ট জিন্স আর ক্রপ টপেও মোটে ভাল লাগে না দেখতে। আর তাই বুঝে শুনে ফ্যাশন করুন। অন্যের দেখে নয়, যে পোশাকে নিজে আত্মবিশ্বাসী থাকবেন তেমন পোশাকই পরুন।