ফ্যাশান, ফিটনেস, অভিনয়, সংসার, প্রয়োজনে মানুষের পাশে থাকা- একা হাতে মিমি চক্রবর্তী যে কতকিছু সামলান তা লিখে শেষ করা যাবে না। সম্প্রতি মুক্তি পেয়েছে অরিন্দম শীল পরিচালিত খেলা যখন। আর এই সিনেমায় একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় দেখা গিয়েছে অভিনেত্রীকে। সিনেমার প্রচার, প্রিমিয়ারেও তাঁকে দেখা গিয়েছে দারুণ লুকে। মিমির ভূমিকা একাধিক। বাড়িতে তাঁর দুই পোষ্য সহ-বেশকিছু সহকারীরা থাকেন। তাঁদের যাবতীয় দেখভালের কাজ করেন মিমি। অন্যদিকে যাদবপুরের সাংসদ তিনি। ফলে এলাকার যাবতীয় দেখভালও তিনই করেন। সময় করে পৌঁচ্ছে যান প্রতিটি মানুষের পাশে। এছাড়াও তাঁর নিজস্ব একটি ইউটিউব চ্যানেল রয়েছে। নিয়মিত জিম আছে। সব কিছুর ফাঁকে মা-বাবার সঙ্গেও সময় কাটান মিমি। কীভাবে সব কাজের জন্য সময় বের করতে হয় তা মিমিকে দেখে রীতিমতো শেখার।
সম্প্রতি সাংসদের শীতকালীন অধিবেশনে যোগ দিতে দিল্লিতে গিয়েছেন তিনি। আর দিল্লির ঠাণ্ডায় নিজেকে দারুণ ভাবে মুড়লেন সাংসদ অভিনেত্রী। কলকাতায় শীতের আমেজ আসলেও সোয়েটার পরে রোদ্দুর উপভোগ করার দিন আসেনি। আর তাই মিমি সেই আনন্দ পুরোপুরি উশুল করে নিচ্ছেন দিল্লির মাঠে-ঘাটে। অধিবেশন সেরে মাঠে বসে শীতের সোনা রোদ গায়ে মাখছেন তিনি। ফ্যাশানে কোনও আড়ম্বর নেই। একেবারে সাদামাটা কালো হাইনেক গেঞ্জি, পুলওভার ডেনিম বয়ফ্রেন্ড জিন্স আর স্নিকার্সে আয়েষ করছেন মিমি। চুল আলগা হাতে বেঁধে নিয়েছেন। এই সব ছবিই বড় বেশি মন ছুঁয়ে যায়।
আমাদের রাজ্যে শীতের স্থায়িত্ব বড়ই কম। যে কয়েকদিন শীত থাকে সকলেই চান সেই আনন্দ চেটেপুটে উপভোগ করে নিতে। মিমিও তাই। জলপাইগুলির কন্যা তিনি। তাঁর কাছে শীতের স্মৃতিই অন্যরকম। সেই ছোটবেলার পুরনো দিনই মিমি নতুন করে খুঁজে পেয়েছেন দিল্লির রোদে। শীত মানেই এমন পার্টি, উৎসব লেগেই থাকে। তবে শীতের সকালের রোদ টা উপভোগ করতে হয়। সেখানে ফ্যাশানের তাবড় সংঞ্জা কাজে লাগে না। বরং যত বেশি আরামদায়ক ঘরোয়া পোশাকে থাকা যায় ততই দেখতে বেশি ভাল লাগে। মিমিও ঠিক তাই-ই করেছেন। যে কারণে আরও খোলতাই তাঁর সোয়েটার-ওয়েদার।