সাজ-পোশাকে বরাবরই তাক লাগান ব্যোমকেশ ঘরনী। থুড়ি সোহিনী সরকার। কখনও প্রকৃতির কোলে বোহেমিয়ান লুকে আবার কখও শাড়িতে নানা লুকে ধরা দেন তিনি। বেশ কয়েকদিন ধরেই একাধিক শাড়িতে ফটোশ্যুট করছেন সোহিনী সরকার। আর সেই প্রতিটি ছবিতেই চমকে দিয়েছেন তিনি। শাড়ি নিয়ে একাধিক পরীক্ষামূলক শ্যুট করে থাকেন তিনি। পছন্দের তালিকায় হ্যান্ডলুম, সুল্ক থাকলেও জামদানি শাড়ির প্রতি সত্যবতীয় অন্য একরকম আকর্ষণ রয়েছে। জামদানি শাড়িতে এর আগেও এক্সপেরিমেন্টাল কাজ করেছেন তিনি। সামনেই পুজো। আর তাই পুজোর আগে ফটোশুটে কালো রঙের ঢাকাই জামদানি বেছে নিলেন সোহিনী সরকার। সেই শাড়ি জুড়ে রয়েছে সাদা আর রুপোলী জরির মন ভোলানো কাজ। এই শাড়িতে সোহিনীকে যে দেখতে একেবারে অন্যরকম লাগছে তা বলাই বাহুল্য।
এলো চুল, সিঁথিতে চওড়া সিঁদুর আর তার সঙ্গে জামদানির এমন কাজ সকলেরই নজর কাড়ছে। কালো রঙের প্রতি একটা ঝোঁক রয়েছে সোহিনীর। তাঁর বেছে নেওয়া শাড়িটির পাড়েই রয়েছে সুন্দর জামদানির নকশা। আঁচলেও রয়েছে সাদা সুতোয় জামদানি কাজ। সাদার সঙ্গে রুপোলি জরির কনট্রাস্ট এই শাড়ির বিশেষত্ব। এখানেই সাড়িটি অন্য যে কোনও শাড়ির চাইতে আলাদা। জামদানিতে সাদা, কালো এই রংগুলি দেখতেই খুব ভাল লাগে। কালোর সঙ্গে যখন সাদা আর রূপোলি জরির কনট্রাস্ট হচ্ছে সেখানে তা আরও বহুগুণ বেশি সুন্দর লাগছে। এখনও মনোক্রমের যুগ। কিন্তু কালো শাড়িতে এমন কাজ থাকায় দূর হয়েছে সেই একঘেঁয়েমি।
ডিজাইনার ইন্দু বাই জয়িতার কালেকশন থেকে এই শাড়িটি বেছে নিয়েছেন তিনি। এর আগেও এই ডিজাইনারের ঢাকাই শাড়িতে দেখা গিয়েছে তাঁকে। আটপৌরে শাড়িটি পরেছেন। আঁচল এলিয়ে বসেছেন এক বনেদী বাড়ির অন্দরমহলে। পায়ে রুপোর মল। কখনও উঁকি দিয়েছেন বারান্দা থেকে। কাজল কালো চোখ, লাল টিপ, রূপোর দুল আর মায়াবী সোহিনীতে কোথাও যেন মন হারিয়ে যায়। এই শাড়ির সঙ্গে অবশ্য কোনও ব্লাউজ পরেননি তিনি। ধরে রেখেছেন সেই আগেকার দিনের বাঙালিয়ানা। ঠিক যেমনভাবে দেখা মিলত জমিদার বাড়ির গিন্নিদের। সদা চঞ্চল সোহিনীকে এমন লুকে দেখে সৌন্দর্যে মুগ্ধ তাঁর ভক্তরা। অভিনয়ের পাশাপাশি ফ্যাশানেও তিনি নজরকাড়া। প্রতিটি পোশাকের মধ্যে থাকে তাঁর আভিজাত্যের ছাপ। চোখে গাঢ় কাজল এতই সুন্দর ভাবে এঁকেছেন যে তাতে যেন ফুটে উঠেছে কবিতার ভাষা। এমন ট্র্যাডিশন্যাল লুকে যে কোনও বাঙালি মেয়েকেই দেখতে ভালোলাগে। পুজোর দিনে এমন একটা জামদানি লিস্টে রাখতে পারেন আপনিও।