কথাতেই আছে, ‘পেহলে দর্শনধারী, পিছে গুনবিচারী’। প্রথমেই বাইরের রূপ দেখে বিচার করে মানুষ। সেই রূপে ‘লাবণ্য’ কম থাকলেও ক্ষতি নেই। কিন্তু উপস্থাপনা কেমন, সেটা নিয়েই চলে তুল্যমূল্য বিচার। চাকরীর ইন্টারভিউই হোক কিংবা পছন্দের মানুষের সঙ্গে প্রথম সাক্ষাৎ। মনের মধ্যে ফেলে যাওয়া প্রথম ছাপ দীর্ঘস্থায়ী অবস্থান করতে পারে। তাই সাজসজ্জার দিকে নজর দিতে হবে বৈকি!
আরও পড়ুন: পশ্চিমী আউটফিটে প্রিয়াঙ্কার পাশে নজর কাড়লেন তাঁর মা!
সবসময় যে দামী প্রসাধনী বা পোশাক পরতে হবে, তার কোনও মানে নেই। শুধু এড়িয়ে চলতে হবে ফ্যাশনে গোলমাল। এর জন্য একটি ফরাসি শব্দও আছে, ফঁ পা (faux pas)। যার আক্ষরিক অর্থ ভুল পদক্ষেপ। ফ্যাশনে গোলমালের ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত হয় এই শব্দটি। তাই স্টাইল, সাজ, দেখনদারি যাতে নির্ভুল থাকে, কিছু বিষয় মাথায় রাখতেই হবে।
১. পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন পোশাক
টেলিভিশনে দেখানো কিছু ডিটার্জেন্টের বিজ্ঞাপনে বিষয়টিকে ভালভাবে ব্যাখ্যা করা হয়েছে। যতই দামী হোক, ব্র্যান্ডেড হোক – নোংরা, অপরিষ্কার, ছেঁড়া পোশাক ইমেজের দফারফা করে দিতে পারে অনায়াসে। তাই সকলের সামনে নিজেকে মেলে ধরতে প্রয়োজন পরিষ্কার পোশাক। ইস্তিরি করা তো বটেই।
২. টাইট পোশাক
মহিলা-পুরুষ নির্বিশেষে অনেকেই মনে করেন শরীরের অনুপাতে একসাইজ ছোট পোশাক পরলে বোধ হয় রোগা দেখতে লাগে। সেফটি পিন দিয়েও অনেকে জামার বোতাম লাগান। বিষয়টা ভুল। নিজের আকার অনুযায়ী পোশাক বেছে নিন। প্রয়োজনে একটু বড় হলেও ক্ষতি নেই। জানবেন, একটু বড় পোশাকে শরীর রোগা দেখায়।
৩. সঠিক আকারের অন্তর্বাস
মহিলাদের ক্ষেত্রে সমস্যার কারণ তো বটেই। ব্রেসিয়ারের সাইজে গোলমাল থাকলে যে কোনও পোশাকেই ফঁ পা হওয়ার প্রবণতা তৈরি হতে পারে। প্যান্টির ক্ষেত্রেও তাই। অনেকসময় পোশাকের উপর থেকে প্যান্টিলাইন প্রকট হয়ে ওঠে। এতে ইমপ্রেশন খারাপ হতে পারে। জামার ভিতর থেকে যদি অন্তর্বাস বেরিয়ে থাকে, তাতেও ফঁ পা!
৪. হাই হিলে বেমানান
ইমপ্রেশনের ক্ষেত্রে হাঁটাচলার একটা গুরুত্ব আছে। হাঁটাচলা যদি সাবলীল না হয়, অপরদিকের মানুষটি বুঝেই যাবেন আপনার আত্মবিশ্বাসের অভাব। তাই সঠিক জুতোজোড়া বেছে নেওয়া দরকার। হিল পরে সুবিধে করতে না পারলে, ছেড়ে দিয়ে ফ্ল্যাট জুটো পরুন। আরও একটা বিষয় মনে রাখবেন, সঠিক পোশাকের সঙ্গে সঠিক জুতো। এখানেও সাবলীল হওয়া দরকার। অনেকেই শাড়ির সঙ্গে স্নিকার্স পরে অনায়াসে হাঁটাচলা করতে পারেন। বিষয়টি দুরন্ত ক্যারি করতে পারেন। আসলে বিষয়টা গোটাটাই আত্মবিশ্বাস কেন্দ্রিক।
৫. চপ্পলের সঙ্গে মোজা
চপ্পল পরেছেন। তার আগে পায়ে গলিয়েছেন মোজা। একেবারেই মানানসই নয় ব্যাপারটা। অনেকে হট প্যান্ট কিংবা কেপ্রির সঙ্গে পায়ে মোজা পরে নেন। দেখতে মোটেও ভাল লাগে না। তাই মোজার সঙ্গে হাওয়াই চটির কম্বিনেশন এড়িয়ে চলুন।
৬. পোশাকে খাবারের দাগ
ভাল কোনও জায়গায় যাচ্ছেন। পরেছেন ভাল পোশাক। কিন্তু খেয়াল করেননি জামায় খাবারের দাগ লেগে। যতই ভাল পোশাক পরুন। ওই একচিলতে দাগ দেখে উলটোদিকের মানুষটি মোটেও বলবেন না ‘দাগ আচ্ছে হ্যায়’!
৭. প্রসাধনীতে নজর
নখের পলিশ অর্ধেক উঠে গেলে চলবে না। নখ পুরোপুরি পলিশ করুন। না হলে পুরোপুরি তুলে দিন। খেয়াল রাখুন, লিপস্টিক যেন দাঁতে না লেগে থাকে। ত্বকের টোন বুঝে ব্যবহার করুন কনসিলার কিংবা ফেস পাউডার। চোখের মেকআপ গাঢ় হলে ঠোঁটে হালকা লিপস্টিক পরতে পারেন।