গরম যে এবছর মাত্রাছাড়া তা নিয়ে নতুন করে আর কিছু বলার নেই। রাজ্যের অন্যত্র বর্ষা প্রবেশ করলেও দক্ষিণবঙ্গে এখনও সেইভাবে বৃষ্টি শুরু হয়নি। হলেও বিক্ষিপ্ত। যে বৃষ্টি হচ্ছে তাতে গরম তো কমছেই না তাতে অস্বস্তি বাড়ছে। রোজ রোজ কগরম, ঘাম, রোদ, দূষণে ত্বকের বারোটা বাজছে আর শরীরে ক্লান্তি ঘিরে ধরছে। এবার প্রশ্ন হল এই গরমে কোন পোশাক পরলে সবচাইতে বেশি আরাম পাওয়া যাবে। গরম কম লাগবে। অধিকাংশই গরমে স্বস্তিদায়ক পোশাক পরতে চান।
ফলে সুতির স্কার্ট, পালাজো, ড্রেস এসবই থাকে পছন্দের তালিকায়। এবার এখনকার ব্যস্ত জীবনে সবচেয়ে আরামদায়ক পোশাক জিন্স। জিন্স টপ বা পছন্দের জিন্স টি-শার্ট থাকলে আর কোনও কিছুই প্রয়োজন পড়ে না। জিন্সেরও এখন নানা ধারণ হয়। এই গরমে যেমন ফ্যাশনেবল তেমনই আরামদায়ক বয়ফ্রেন্ড জিন্স। ঢিলে ঢালা ক্রপ টপ, শার্টের সঙ্গে এই বয়ফ্রেন্ড জিন্সের জুড়ি মেলা ভার। গরমের দিনে কোনও পোশাকই একবারের বেশি পরা যায় না। এবার জিন্সের ক্ষেত্রে সমস্যা হল তা তো আর রোজ রোজ কাচা যায় না। জিন্স তৈরিঅ হয়েছিল কম কেচে বেশিদিন পরা যায় এই ভাবনা থেকে। এই তাতাপোড়া গরমের দিনে তাহলে কী করবেন। দুদিন পরার পর তিন দিনের দিনই কি জিন্স কেচে ফেলবেন? ওয়াশিং মেশিনে কি জিন্স কাচা উচিত! প্রশ্নের কোনও শেষ নেই।
গরমের দিনেও জিন্স পরতে পারেন। প্রচুর আরাম দায়ক ফ্র্যাব্রিক রয়েছে। বেশ কিছু দিন্স আবার পাতলাও হয়। তবে যেদিন খুব বেশি গরম থাকবে সেই সব দিনে জিন্স এড়িয়ে চলতে পারলেই ভাল। গরমে স্কিনি জিন্স এড়িয়ে চলুন। এতে অ্যালার্জি, চুলকানি ও ত্বকের নানা সমস্যা হতে পারে। রক্ত সঞ্চালন কম হয় এই রকম জিন্স পরলে। ফলে পায়ে টান ধরা, ব্যথা এসব সমস্যাও হয়ে থাকে। গরমের জন্য সেরা হল ফ্লেয়ারড জিন্স।
জিন্স সাধারণত ১০ দিন অন্তর কাচার কথা বলা হয়। তবে এই গরমে যেমন ঘাম হচ্ছে তাতে ১০ দিন ফেলে রাখলে সমস্যা বেশি। ঘাম বসে গন্ধ তো হবেই সেই সঙ্গে ছত্রাকও জন্মাতে পারে। আর তাই গরমের দিনে পাঁচ দিন অন্তর জিন্স ধুয়ে ফেলুন। সারাদিন পরে থাকার পর তা খোলা হাওয়াতে অন্তত ৪ ঘণ্টা রাখবেন। তবে জিন্স অতিরিক্ত কাচাও ঠিক নয়। বারবার কাচলে এর ফ্যাব্রিক আলগা হয়ে যায়। ফলে, জিন্সও সময়ের আগেই খারাপ হয়ে যায়। সুতোয় ঘষা লেগে ছিঁড়েও যেতে পারে। চেষ্টা করবেন ওয়াশিং মেশিনে না দিয়ে জিন্স হাতে ধুতে। এতে তা অনেকদিন পর্যন্ত ভাল থাকে।