যে কোনও ভারতীয় নারীই শাড়ি পরতে ভালবাসেন। শাড়ির প্রতি বিশেষ ভালবাসা থাকে সকলের। কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামনেরও প্রথম পছন্দ হল শাড়ি। আর তাঁর নজর সব সময় থাকে ভারতীয় হ্যান্ডলুম শাড়ুর উপরেই। প্রতি বছর বাজেট পেশ করার সময় এক একরকম হ্যান্ডলুমের শাড়ি বেছে নেন তিনি। আর তাই বাজেটের পাশাপাশি সকলেরই নজর থাকে তাঁর শাড়ির দিকে। অর্থমন্ত্রী যে রকমই শাড়ু পরেন না কেন সেই নিয়ে জোর চর্চা চলে। ২০২৩ সালের কেন্দ্রীয় বাজেট পেশ করতে এবার লাল রঙের সাউথের একটি বিশেষ সিল্ক বেছে নিয়েছিলেন তিনি। টেম্পল পাড়ের এই শাড়িতে তাঁর সাজ খুবই আভিজাত্যপূর্ণ। লাল রঙের এই শাড়ির সঙ্গে মানানসই কালো-সোনালী রঙের বর্ডার। পুরো শাড়িতে হ্যান্ড এমব্রয়ডারি করা। আর শাড়িটি মূলত সিল্ক-কটন মেশানো।
লাল রঙের ট্র্যাডিশন্যাল এই শাড়ি আমাদের ঐতিহ্য। ভারতের প্রত্যেক প্রদেশেই বুনোন আর শাড়ির নেপথ্যে একটা করে গল্প থাকে। এখানেও তাই। দক্ষিণ ভারতের দুই জনপ্রিয় সিল্ক হল কাঞ্জিভরম আর কাঞ্চিপুরম। এবছরের জন্য লাল রঙের চেট্টিনাড কটন ব্লেন্ড সিল্ক শাড়ি বেছে নিয়েছিলেন তিনি। এই শাড়ির মূল হল টেম্পল বর্ডার। এছাড়াও কাঞ্জিভরম আর কাঞ্চিপুরম শাড়িতেও থাকে এই টেম্পল বর্ডার। দক্ষিণের যে কোনও শাড়িতেই থাকে এই বর্ডার। শাড়ির সঙ্গে ম্যাচিং ব্লাউজও ছিলেন। সিল্ক আর কটনের ব্লেন্ড এই সব শাড়ি পরতেও খুব আরাম। এই শাড়ির পাড়, মোটিফ শাড়ির যৌন্দর্য বাড়িয়ে দেয় বরাবর। এমন শাড়িতে যে কোনও কাউকে দেখতে লাগে সুন্দর। ট্র্যাডিশন্যাল শাড়ি মানেই তার মধ্যে থাকে আভিজাত্যের ছোঁয়া।
বাজেট পেশ করার জন্য অর্থমন্ত্রীর হাতে সর্বদা ছিল লাল ভেলপেট কাপড়ের কভারে মোড়া ট্যাবলেট।যতবারই তিনি ক্যামেরায় পোজ দিয়েছেন ততবারই তাঁকে দেখা গিয়েছে এই ট্যাবলেট হাতে। লাল শাড়ির সঙ্গে ম্যাচিং করে লাল রঙের টিপও পরেছিলেন তিনি। লাল রং ভালবাসার প্রতীক। লাল রং শক্তির প্রতীক সেই সঙ্গে সাহসিকতারও বার্তা দেয়। ২০১৯ সালে যখন তিনি প্রথম অর্থমন্ত্রী হন তখন থেকেই তাঁকে দেখা গিয়েছে হ্যান্ডলুম শাড়িতে। ২০১৯ সালে গোলাপি রঙের মঙ্গলগিরি শাড়িতে দেখা গিয়েছিল তাঁকে। ২০২০ সালে হলুদ-সোনালি কম্বিনেশনের দারুণ একটি সিল্ক পরেছিলেন তিনি। ২০২১ সালে ঘিয়ে-সবুজ কম্বিনেশনের পচমপল্লী শাড়ি পরেছিলেন তিনি। গত বছর তিনি পরেছিলেন বোমক্যাই সিল্ক আর এবছর এই বিশেষ চেট্টিনাড সিল্ক।