বিয়ে মানেই এখন মেগা ইভেন্ট। বিয়ের অন্তত একবছর আগে থেকে শুরু হয়ে যায় প্ল্যানিং। অনুষ্ঠান বাড়ি, ফটোগ্রাফার, ক্যাটারার এসব আগে থেকে বুক করে না রাখলে শেষ মুহূর্তে পছন্দসই কিছু খুঁজে পাওয়া মুশকিল। যত অনুষ্ঠান, তত সাজগোজ। প্রতিটি অনুষ্ঠানের থিম আলাদা, পোশাকও আলাদা থাকে। শাড়ির সঙ্গে ব্লাউজ বানাতে দেওয়া, মনপসন্দ গয়না, জুতো কেনা এসব করতেই অনেকটা সময় চলে যায়। এছাড়াও আমাদের সকলেরই জীবনে ব্যস্ততার শেষ নেই, পাশাপাশি প্রচুর কাজও থাকে। এখন এরকমও হয় যে বর এক রাজ্যে কনে অন্য রাজ্যে থাকে। সেক্ষেত্রে ভরসা ইন্টারনেট, ফোন। দু জায়গায় বসে একটা বিয়েবাড়ি গুঠিয়ে আয়োজন করা খুবই কঠিন। আর বিয়ে সকলের কাছে খুবই স্পেশ্যাল। সকলেই চান এই দিনটি তাঁর নিজের মনের মত করে কাটাতে।
ছবিই থেকে যায় সারাজীবনের স্মৃতি হিসেবে। তাই এখন অনেকে যেমন প্রি-ওয়েডিং শ্যুট করেন তেমন অনেেই করেন পোস্ট ওয়েডিং শ্যুট। অধিকাংশই এই প্রি-ওয়েডিং শ্যুট করেন। বিয়ের আগে দুজনের কিছু ভাল মুহূর্ত, পথ চলার গল্প এসবই ক্যামেরাবন্দি করে রাখা হয়। প্রি-ওয়েডিং ফটোশ্যুট করলে পরবর্তীতে ছবি তুলতে কোনও সমস্যা হয় না। অর্থাৎ নিজেদের মধ্যে এক্সপ্রেশন ঠিক থাকে।
বিয়ের যে কোনও অনুষ্ঠানে যত বেশি হালকা, সাবেকি সাজে থাকা যায় ততই ভাল লাগে। এখন অনেকেই আছেন যাঁরা অতিরিক্ত সাজগোজ করতে চান। আইবুড়োভাত থেকে শুরু করে গায়েহলুদ, বিয়ের সন্ধ্যে সবেতেই প্রচুর মেকআপ করেন। এমনকী বাদ দেন না প্রি-ওয়েডিং শ্যুটও। তবে এই শ্যুটে যত সাধারণ পোশাক পরবেন, যত কম মেকআপ করবেন ততই ভাল লাগে দেখতে। সাধারণ শাড়ি-পাঞ্জাবি কিংবা ড্রেস-জিন্স-শার্টে ছবি তুলুন। অনেক মেকআপ, শাড়ি-গয়নার কোনও প্রয়োজন পড়ে না এক্ষেত্রে। এরকম পোশাকে নিজেরাও দু’জনে অনেক বেশি রিল্যাক্সে থাকা যায়। যদি মনে করেন যে শাড়ি আর পাঞ্জাবিতেই দুজনে বেশি ফিট তাহলে সেইরকম পোশাকও পরতে পারেন। এমন কিছু করবেন বা বা এমন কোনও পোশাক পরবেন না যাতে দেখতে অবান্তর লাগে। চোখে কাজল, লিপস্টিক আর ফাউন্ডেশন ছাড়া অন্য কোনও কিছুর প্রয়োজন পড়ে না এই প্রি ওয়েডিং শ্যুটে।