প্রতিটি পুজোরই অন্যরকম গুরুত্ব থাকে। আর তা যদি হয় বিয়ের পর প্রথম পুজো তাহলে তো কথাই নেই। প্রেম করার দিনগুলো একরকম, আর বিয়ের পর সেই চিত্রে কিছুটা বদল তো আসেই। এতদিন পুজোর সাজগুলো একরকম ভাবে হত এই বছর আবার একেবারে আলাদা। সঙ্গে উপরি পাওয়া শাঁখা-পলা। পুজোর সময় যে কোনও মেয়েকেই শাড়িতে দেখতে সবচেয়ে বেশি ভাল লাগে। হালকা গয়না, ট্র্যাডিশন্যাল একটা শাড়ি- পুজোতে এমন সাজের কোনও তুলনা হয় না। কত শত প্রেমের জন্ম হয় এই পুজো প্যান্ডেলেই। শাড়ি, পাঞ্জাবিতে প্রথম দেখা, প্রথম হাতের উপর হাত রাখা, একসঙ্গে ঠাকুর দেখতে যাওয়া, লুকিয়ে একটা সেলফি- কত শত স্মৃতির জন্ম এই পুজো। প্রেমিক-প্রেমিকা থেকে স্বামী-স্ত্রী…সম্পর্কের দিক থেকে যেমন উত্তোরণ হয় তেমনই বাড়ে দায়িত্ববোধ। একসঙ্গে প্রথম পুজো আর তাই কেনাকাটা থেকে পুজোর প্ল্যানিং সবই হোক একসঙ্গে।
যদিও অধিকাংশ ছেলেরই এই কেনাকাটা, প্ল্যানিং এসব নিয়ে বিশেষ উত্তেজনা থাকে না। তবে সেজেগুজে শাড়ি-পাঞ্জাবিতে বিশেষ সেলফি তো এইবার হবেই। লাল শাড়িতে মেয়েদের বেশ ভাল লাগে আর বিয়ের পর প্রথমবার এমন লাল শাড়ি বেছে নিতে পারেন অঞ্জলির জন্য। অষ্টমীর অঞ্জলিতে লাল রং দেখতে খুবই ভাল লাগে। লাল রঙের যে কোনও শাড়ি পরতে পারেন। বেছে নিতে পারেন লাল ঢাকাই। লাল রঙের শাড়ির সঙ্গে লাল ব্লাউজ পরলে সুন্দর লাগে দেখতে। আবার এই লাল শাড়ি অন্যরকম স্টাইল করেও পরতে পারেন। স্লিভলেস ব্লাউজ দিয়ে একটা পিন করে আঁচল ছেড়ে পরুন। এভাবে শাড়ি পরলেও দেখতে ভীষণ স্মার্ট লাগে। চেষ্টা করুন ছিমছাম শাড়ি বাঠতে। শাড়িতে যত কম কাজ থাকবে , শাড়ি যত হালকা হবে ততই দেখতে ভাল লাগবে। গয়নাও একসঙ্গে সব পরে ফেলবেন না। যদি হাত ভর্তি করে কিছু পরেন তাহলে গলায় লম্বা চেন বা লহরী হার পরতে পারেন। আবার কানে কিছু ভারী পরলে হাতে একটা বড় আংটি পরলেই হবে।
আজকালকার মেয়েরা শাড়ি তেমন পরেন না। আর তাই এমন বিশেষ দিনে ভারী শাড়ি একেবারেই এড়িয়ে চলুন। যত হালকা শাড়ি পরবেন ততই নিজে ফ্রি থাকতে পারবেন। নবমীর দিন জমকালো করে সাজুন। এদিন পুজোর শেষ রাত, পার্টি নাইট। এমন দিনে কাতান সিল্ক বা ট্র্যাডিশন্যাল কোনও সিল্ক বেছে নিন। সঙ্গে সোনার গয়না। এতে দেখতে খুবই ভাল লাগে। মোটকথা প্রথম পুজো, আর তাই একেবারে নিজের মনের মত করে সাজুন।