দেখতে দেখতে পুজো শুরু হয়েই গেল। ষষ্ঠীর সন্ধ্যেতে বেলতলায় বোধন আর অধিবাস দিয়ে শুরু হল মূল পুজো। মহা সপ্তমীর সকালে হল কলা বউ স্নান। সপ্তমীর দিন বিকেলে বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা, ঠাকুর দেখতে যাওয়া এসব তো আছেই। এছাড়াও সকাল থেকেই শুরু হয়ে গিয়েছে প্যান্ডেল হপিং এর তোড়জোড়। অনেকেই ষষ্ঠীর দিন সারা রাত জেগে ঠাকুর দেখেছেন। ভোররাতে বাড়ি ঢুকেছেন। যদিও পুজোর সময় ঘুম না হওয়া, ক্লান্তি তে কোনও রকম সমস্যা হয় না। ষষ্ঠীতে একরকম সাজ হলে অষ্টমীতে অন্য রকম লুক হবে। সপ্তমীর দিনও অনেকে শাড়ি পরবেন বলেই ঠিক করে রেখেছেন। তবে শাড়ি বাছাইয়ের ক্ষেত্রে একটু নজর দিন আবহাওয়ার দিকেও।
সকালের দিকে বেরনোর প্ল্যান থাকলে সুতির শাড়ি পরুন। বা কোনও হ্যান্ডলুম পরতে পারেন। যে শাড়িতে আপনি নিজে আরাম পারবেন, সহজে পরতে পারবেন এমনই সব শাড়ি বাছুন। বা পরতে পারেন সিল্ক। ভুল করেও স্টোন বসানো চকমকি কোনও শাড়ি পুজোর দিন সকালে পরবেন না। দেখতে খুবই খারাপ লাগে। শাড়ির সঙ্গে সুন্দর ব্লাউজ পরার চেষ্টা করুন। স্লিভলেস পরতে পারেন, সকু স্ট্রিপের ব্লাউজ পরতে পারেন। যে রকম ব্লাউজ পরে নিজে আরাম পান সেই রকম ব্লাউজ পরার চেষ্টা করুন।
সপ্তমীর সন্ধ্যেতে সিল্কের কোনও শাড়ি বেছে নিতে পারেন। সিল্কের শাড়িতে বরাবরই দেখতে ভাল লাগে। চুল স্ট্রেট করে খোলা রাখতে পারেন। আবার চুলে কোনও হাত খোঁপা করতে পারেন। যে ভাবে নিজে শাড়ি ক্যারি করতে পারেন সেই ভাবেই শাড়ি পরুন। একপিন করে আঁচল ছেড়ে শাড়ি পরলে দেখতে ভাল লাগে, যদি সাবলীল না হন তাহলে সাধারণ কুঁচি দিয়েই শাড়ি পরুন। শাড়ির সঙ্গে বেল্ট, ইন্দো ওয়েস্টার্ন স্টাইলে শাড়ি, রেডি টু ওয়্যার শাড়ি পরতে পারেন। এখন শার্টের সঙ্গে শাড়ি পরলেও দারুণ লাগে দেখতে। এর সঙ্গে উঁচু পনিটেল করতে পারেন। হালকা স্মোকি আইজ, ন্যুড মেকআপ, ন্যুড শেডের লিপস্টিক… ব্যাস আপনার সাজ কমপ্লিট।
যদি প্যান্ডেল হপিং এর পরিকল্পনা থাকে তাহলে যা কিছু মাথায় রাখতেই হবে-
ভাল করে শাড়ি পরুন, যেহেতু প্যান্ডেল হপিং পায়ে হেঁটে হবে তাই শাড়ি পরে যাতে হাঁটতে অসুবিধে না হয় সেদিকে খেয়াল রাখুন
এই সময় ঘাম অনেক বেশি হচ্ছ, ফলে এটাও মাথায় রাখা দরকার যে শাড়ির মেটেরিয়াল কী রকম। খুব বেশি ভারী সিক্যুইনের কাজ করা শাড়ি না পরাই ভাল।
পছন্দ হলেও হিল জুতো নয়। কারণ এতে হাঁটতে অসুবিধে, পায়ে ব্যথা হবে আর পা মচকে যাওয়ার সম্ভাবনাও থাকে।