পছন্দের পোশাক কেনা হয়ে গিয়েছে ইতিমধ্যেই। কেউ কেউ করছেন শেষ মুহূর্তের শপিং। ঠাকুর দেখা তো শুরু হয়ে গিয়েছে সেই দ্বিতীয়া থেকেই। ষষ্ঠীর সন্ধ্যেতে হয়েছে বেলতলায় বোধন। যদিও আজ পর্যন্ত অনেকেরই অফিস রয়েছে। অফিস থেকে বেরিয়ে অনেকেই যাবেন সোজা প্যান্ডেল হপিংয়ে। কেউ কেউ যাবেন বন্ধদের সঙ্গে আড্ডায়। এবার পুজো পড়েছে শনি, রবিবারে। ফলে সকলেই পুজোয় চুটিয়ে ঘুরবেন, আনন্দ করবেন। সুন্দর পোশাক সকলেই কিনেছেন। সুন্দর করে সেজে ছবি তুলতে চান সকলেই। তবে সাজার সময় কিছু বিষয় মাথায় রাখতেই হবে। নইলে কিন্তু সাজ মাটি। পোশাক যতই সুন্দর কেনা হোক না কেন তা যদি সুন্দর করে পরা না হয় তাহলে সেই পোশাকের সৌন্দর্য বজায় থাকে না।
যে পোশাক পরবেন তা যেন আরামদায়ক হয়। আমাদের এখানে আবহাওয়া অধিকাংশ সময়ই গরম থাকে। বাইরে রোদ ঘামও যথেষ্ঠ হচ্ছোে। তাই পোশাক বেছে পরুন। ভারী কাজের পোশাক কিংবা সিন্থেটিক এসব দুপুরে একেবারেই নয়। সুতির হ্যান্ডলুম শাড়ি বা সিল্ক পরুন। নইলে সালোয়ার, কুর্তি, টি-শার্ট, জিনস, প্যান্ট এসব পরুন। যে পোশাক গায়ে চেপে বসে, যে পোশাকে বেশি ঘাম হবে এরকম জামা এড়িয়ে চলুন।
পোশাকের সঙ্গে সঠিক অর্ন্তবাস বাছাই করাও কিন্তু জরুরি। যদি কোনও সরু স্ট্র্যাপের জামা থাকে থাকলে স্ট্যাপলেস অর্ন্তবাস পরুন। শাড়ির সঙ্গে মানানসই অর্ন্তবাস পরা জরুরি। অর্ন্তবাসের সাইজ এবং রং ঠিক ভাবে দেখে কিনতে হবে। সাদা রঙের পোশাকের সঙ্গে কালো ব্রা একেবারেই পরবেন না।
পুজোর সময় একদিন সব মেয়েরাই শাড়ি পরেন। আর শাড়ি পরলে সুন্দর করে পিন করবেন। যত টাইট শাড়ি পরা হবে ততই তা দেখতে সুন্দর লাগবে। যদি শাড়িতে আপনি স্বচ্ছন্দ্য বোধ করেন তবেই আঁচল ছেড়ে শাড়ি পরবেন। পেটিকোট বেছে নেওয়ার সময়ে রঙের দিকে অবশ্য়ই খেয়াল রাখবেন। খুব উঁচু করে বা একদম নিচু করে শাড়ি পরবেন না। চেষ্টা করবেন সার্টিনের পেটিকোট এড়িয়ে যাওয়ার।
সকাল আর রাতের সাজ একরকম করবেন না। সকালের দকে একদম হালকা সাজ হোক। যদি সকালে শাড়ি পরেন তাহলে রাতে জিনস-টপ, গাউন বা পছন্দের কোনও পোশাক পরুন। কাউকে নকল করে সাজবেন না নিজের যেমন মনে হবে সেই রকমই সাজুন।