এখন বিয়েবাড়ি মানেই অনেক আগে থেকে সব প্ল্যানিং শুরু হয়ে যায়। ফটোগ্রাফি, ক্যাটারার, মেকআপ আর্টিস্ট সব আগে থেকে বুক করে না রাখলে শেষ মুহূর্তে সমস্যায় পড়তে হয়। মনের মত তখন কিছুই আর পাওয়া যায় না। বিয়ে নিয়ে সকলের মনেই অনেক রকম স্বপ্ন থাকে। বিয়ের দিনের সাজ, কেমন রঙের বেনারসি হবে, আিবুড়োভাত, গায়েহলুদ, প্রি ওয়েডিং শ্যুট, রিসেপশনে কেমন শাড়ি হবে এই নিয়ে প্ল্যানিং চলতেই থাকে। কেউ যেমন পছন্দের অভিনেত্রীদের মত সাজতে চান তেমনই কেউ পছন্দ করেন সাবেকি সাজ। ইনস্টাগ্রামে খোঁজ চলতেই থাকে। আর যদি পছন্দ মতো ব্লাউজ, ওড়না এসব পরতে চান তাহলে এখন থেকেই কেনাকাটি শুরু করুন। এরপর পুজোর মার্কেট শুরু হয়ে যাবে তখন আর বিয়ের শাড়ি তেমন পাবেন না।
পুজোর আগে ডিজাইনারদেরও প্রচুর চাপ থাকে। তখন কেউই ব্লাউজের অর্ডার নিতে চান না। এই বছর পুজোর মরশুম কাটতে না কাটতেই বিয়ে। কালীপুজো আর ভাইফেঁটার পর বিয়ের মরশুম শুরু হতে হাতে পাঁচটা দিনও থাকবে না। তাই এখন থেকেই প্রস্তুতি নিন। পছন্দের শাড়ি কিনে ব্লাউজ বানাতে দিয়ে আসুন।
আইবুড়োভাত, গায়েহলুদ এসবে ট্র্যাডিশন্যাল শাড়িই পছন্দ করেন বেশিরভাগ। আইবুড়োভাতে যদি ট্র্যাডিশন্যাল সিল্ক পরেন অর্থাৎ ইক্কত, গাদোয়াল, পশমিনা, পচমপল্লী, পাটেলা, চান্দেরি, ব্যোমকাই এসব পরতে চান তাহলে সোজা আসুন দক্ষিণাপনে। ট্র্যাডিশন্যাল শাড়ি এখানে খুবই ভাল পাবেন। এছাড়াও পার্ক স্ট্রিটে বেশ কিছু শাড়ির দোকান রয়েছে। যেখান থেকেও পছন্দমতো শাড়ি পেয়ে যাবেন আপনি। একবার দেখে আসতে পারেন সিটি সেন্টার ১ থেকেও। গায়ে হলুদের শাড়ি যেহেতু পরে তেমন পরার সুযোগ থাকে না তাই এই শাড়ি তেমন দাম দিয়ে কিনবেন না। বড়বাজার বা গড়িয়াহাটের যে কোনও দোকান থেকে কিনতে পারেন। তবে ৫০০ টাকার বেশি খরচ করবেন না এক্ষেত্রে।
বিয়ের বেনারসি সব মেয়ের কাছেই খুব স্পেশ্যাল। আর তাই এই শাড়ি কিনতে যাওয়ার সময় নিজের পছন্দই মাথায় রাখুন। বেনারসি ট্র্যাডিশন্যালই দেখতে ভাল লাগে। গড়িয়াহাটে বেনারসির প্রচুর দোকান রয়েছে। যেমন রঙের শাড়ি, যেমন ডিজাইন পছন্দ তেমনই বেছে নিন নিজের জন্য। বড়বাজার থেকে বিয়ের বেনারসি না কেনাই ভাল। এতে ঠকে যাওয়ার সম্ভাবনা থেকে যায়। রিসেপশনে শাড়ি নাকি লেহঙ্গা পরবেন তা আগে থেকে ঠিক করে রাখুন। রিসেপশনের শাড়ি কিনতে পার্ক স্ট্রিটের দোকান গুলিতে একবার ঢুঁ মারুন। পছন্দের বুটিক বা ডিজাইনারদের কাছেও দেখতে পারেন।