অঘ্রাণ মানেই বাঙালির বিয়ের মরশুম। শুধু বাঙালি নয়, হিন্দু মতেই এই সময় প্রচুর বিয়ে হয়। একদিকে চলতে থাকে দামোদর মাস, অন্যদিকে থাকে তুলসির বিবাহ- যে কারণে সকলেই এই সময়টা বেছে নিতে চান বিয়ের জন্য। বন্ধু-আত্মীয়দের বিয়ে লেগে থাকে এই সময। বিয়েবাড়ি মানেই অনেক চিন্তা। কেমন সাজগোজ হবে, বন্ধুদের বিয়ে মানে সকাল থেকে নিমন্ত্রণ থাকে। গায়েহলুদ , আইবুড়োভাত, সন্ধ্যের অনুষ্ঠান, মেহেন্দি অনেক ব্যাপার থাকে। এবার সবথেকে বেশি সমস্যা হয় উপহার নিয়ে। বন্ধু বা খুব কাছের আত্মীয়কে উপহার দিতে গেলে অনেকেই ভাবনায় পড়ে যান যে কী দেবেন। একটা বাজেটও বাঁধা থাকে। তার মধ্যেই সব কেনাকাটা করতে হবে। আর বিয়ের মরশুমে একাধিক বিয়েবাড়ি থাকে। আর তাই সবদিকটাই ঠিক করে দেখে রাখতে হবে।
হাতে যদি ৩ হাজার টাকা থাকে তালেই সাজিয়ে ফেলতে পারেন দারুণ গিফটপ্যাক। বিয়েতে মেয়েরা যেমন প্রচুর শাড়ি উপহার পান তেমনই ছেলেরা পান পাঞ্জাবি। মেয়েদের জন্য শাড়ি, সঙ্গে ম্যাচিং পার্স, গয়না, নেলপলিশ, টিপ, লিপস্টিক সব কিছু দিয়ে সাজিয়ে দিতে পারেন। আবার যদি ট্র্যাডিশন্যাল কোনও সিল্ক গিফট করেন তার সঙ্গে ম্যাচিং ব্যাগ, লিপস্টিক এসবও দিতে পারেন। ছেলেদের জন্য পাঞ্জাবি, টি-শার্ট এসব মিশিয়ে ট্রে সাজাতে পারেন। পছন্দসই ঘড়ি, টি-শার্ট, পারফিউম এসব দিয়ে একটা ট্রে সুন্দর করে সাজিয়ে দিতে পারেন। টি-শার্ট, ফ্যান্সি প্রিন্টের শার্ট, টুপি, সানগ্লাস, সেভিংস কিট এসবও গুছিয়ে দিতে পারেন একটা ট্রে-তে। মেয়েদের শাড়ি না দিয়ে ড্রেস, ক্লাচ, জুতো, কসমেটিক্স এসবও দিতে পারেন। যদি বাজেট থাকে ৩০০০ তাহলে অনেক কিছুই কিনে নিতে পারবেন। এখন অনেকেই গিফট কার্ড উপহার হিসেবে দেন। কোনও একটা কিছুর সঙ্গে এই গিফট কার্ডও প্যাক করে দিতে পারেন।
উপহারের কোনও ছোট বড় হয় না। প্রতি উপহারের মধ্যে একটা অন্যরকম ছোঁয়া থাকে। আর তাই যাকে উপহার দিতে চান তাঁর পছন্দ, তাঁর প্রয়োজনীয়তার কথা মাথায় রেখে তবেই কিনুন। এমন কিছু কিনবেন না যা একেবারেই অপ্রয়োজনীয়। কেউ যদি ভাল কফি পছন্দ করেন বা চা তাঁকে সুন্দর টি-সেট, কফি, ভাল মানের দার্জিলিং চা, কফি মগ, বছন্দের বই, ডায়েরি, শৌখিন জিনিস এসবও প্যাক করে দিতে পারেন। এখন অনেক রকম সুন্দর মোমবাতি পাওয়া যায়। তার সঙ্গে ইন্ডোর প্ল্যান্ট, ঘর সাজানোর কিছুও দিতে পারেন। তবে বিয়েতে শাড়ি, গয়না, প্রসাধনীর কোনও তুলনা নেই। যেমন খুশি বাজেটের মধ্যে কিনে নিলেই হল।