ইদানিংকার লাইফস্টাইলে সোশ্যাল মিডিয়ার প্রভাব খুব বেশি। সারাদিন সোশ্যাল মিডিয়াতে সকলে যে সব ছবি, পোস্ট দেখেন তারই প্রতিফলন করার চেষ্টা থাকে নিজের জীবনে। কমবেশি সকলেই এখন ফ্যাশন সচেতন। কেমন পোশাক পরলে ভাল লাগবে, কোন কোন পোশাক এখন ট্রেন্ডি তা সকলেই ভাল করে জানেন। পুজো বাঙালির সবচেয়ে বড় উৎসব। পুজোর জন্য প্ল্যানিং তো চলতেই থাকে। পুজো, লক্ষ্মীপুজো, ভাইফোঁটা, কালীপুজো, আর তারপরই বাঙালির বিয়ের মধুমাস। এসব ছাড়াও বিভিন্ন পার্টি, গেটটুগেদার এসব তো লেগেই থাকে। মানুষকে কাজের প্রয়োজনে এখন বাড়ির বাইরে বেরোতেই হয়। যে কারণে পোশাক প্রয়োজনের। ষষ্ঠীপুজো, অষ্টমীর অঞ্জলি কিংবা দশমীর বরণে কী পোশাক পরবেন তা তো ঠিক করেই রেখেছেন এবার ঠিক করুন বাকি দিনগুলোতে কী পরবেন।
সকালের দিকে ট্র্যাডিশন্যাল শাড়ি, হালকা পোশাক যত ভাল লাগে দেখতে ঠিক তেমনই সন্ধ্যেবেলাতে জমকালো সাজেই বেশি সুন্দর লাগে। সিক্যুইনের কাজ, থ্রেড ওয়ার্ক, হ্যান্ড এমব্রয়ডারি এসব এখন খুবই চলছে। বিশেষত পার্টিওয়্যার, বিয়েবাড়িতে পরার শাড়ি হিসেবে এই সব শাড়ির কোনও তুলনা নেই। ডিজাইন্যার শাড়ি বললেই আমাদের মনে হয় প্রচুর দাম। এই সব শাড়ি দেখতে যেমন সুন্দর হয় তেমনই পরলেও ভাল লাগে। ডিজাইনার শাড়ি বিশেষ করে কোনও ডিজাইনার বা কোনও বুটিকেই পাওয়া যায়। তবে পছন্দের এই শাড়ি থেকে শুরু করে লেহঙ্গা, গাউন নিয়ে যান এবারে একেবারে কম দামে। যেমন রং পছন্দ, যেমন কাট পছন্দ সবই পোেয়ে যাবেন কলকাতার এই মার্কেটে। আর এখান থেকে কেনা শাড়ি, গাউন, সালোয়ার পুজো, দিওয়ালি, বিয়েবাড়ির জন্য একেবারে আদর্শ।
কলকাতার রামমন্দির অঞ্চলে রয়েছে কিছু জনপ্রিয় দোকান- নিউ ডিজাইনার স্টুডিয়ো, নবদুর্গা ক্রিয়েশন, অ্যামবে কলকাতায় পেয়ে যাবেন দারুণ কিছু শাড়ি। লং জ্যাকেটের সঙ্গে রেডি টু ওয়্যার শাড়ি পেয়ে যাবেন দাম শুরু ৪ হাজার টাকা থেকে। ডিজাইনার শাড়ির দাম শুরু ১৫০০ টাকা থেকে। উপহার দেওয়ার জন্য এই সব শাড়ি খুবই ভাল। পুরো হ্যান্ড ওয়ার্কের লেহঙ্গার দাম শুরু ১০ হাজার টাকা থেকে। কাফতান ধোতি প্যান্ট, ডিজাইনার ব্লাউজ, চিননের কাজের কো-অর্ড সেট, প্যাপলাম ক্রপ টপ, কাস্টমাইুজ করা শাড়ি, ওড়না সবই পেয়ে যাবেন এই মার্কেটে।