Anti Aging: ত্বকের বাড়তি বয়স নিয়ে চিন্তিত? আয়ুর্বেদের এই ৫ নিয়ম অক্ষরে অক্ষরে মানুন

Ayurvedic Skin Care: কাজের চাপ, মানসিক চিন্তা, দূষণ, অনিদ্রা, দেহে পুষ্টির অভাব, অস্বাস্থ্যকর খাওয়া-দাওয়া, ইউভি রশ্মি—এই সব কিছুই প্রভাব ফেলে আমাদের ত্বকের উপর। এসব কিছুর জেরেই ত্বক বুড়িয়ে যেতে শুরু করে। ত্বকের বেশ কিছু অংশ জুড়ে দাগছোপ বাড়তে থাকে। চামড়া কুঁচকে যায়।

Anti Aging: ত্বকের বাড়তি বয়স নিয়ে চিন্তিত? আয়ুর্বেদের এই ৫ নিয়ম অক্ষরে অক্ষরে মানুন
তরমুজের ৮০-৯০ শতাংশ জল। ফলে শরীর হাইড্রেটেড রাখতে তরমুজের জুড়ি নেই। হাইড্রেটেড থাকলে প্রচণ্ড গরমেও শরীর ঠান্ডা থাকবে। এছাড়া ত্বকও থাকবে সতেজ। ব্রণ, পিম্পলসের সমস্যা অনেকটা এড়ানো যাবে
Follow Us:
| Updated on: May 15, 2024 | 3:12 PM

কাজের চাপ, মানসিক চিন্তা, দূষণ, অনিদ্রা, দেহে পুষ্টির অভাব, অস্বাস্থ্যকর খাওয়া-দাওয়া, ইউভি রশ্মি—এই সব কিছুই প্রভাব ফেলে আমাদের ত্বকের উপর। এসব কিছুর জেরেই ত্বক বুড়িয়ে যেতে শুরু করে। ত্বকের বেশ কিছু অংশ জুড়ে দাগছোপ বাড়তে থাকে। চামড়া কুঁচকে যায়। বলিরেখা দেখা দেয়। যে কারণে বয়স ২০ পেরোলেই অ্যান্টি-এজিং স্কিন কেয়ার শুরু করে দেওয়ার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞেরা। তবে, সবসময় স্কিন কেয়ার প্রডাক্ট দিয়ে বার্ধক্যকে প্রতিরোধ করা যায় না। আয়ুর্বেদের ৫ টোটকায় আপনি ত্বককে উজ্জ্বল রাখতে পারেন। এসব টোটকা মানলে আপনার ত্বকের বয়স বাড়বে না।

১) নিজের ফেসিয়াল এক্সপ্রেশনের উপর জোর দিন। ভ্রু কুঁচকানো, মুখে বিভিন্ন ধরনের ভঙ্গি করলে ত্বকের উপর চাপ পড়ে। এতে দ্রুত বলিরেখা পড়ে যায়। তাই প্রতিদিন অল্প তেল বা সিরাম দিয়ে ত্বক মালিশ করুন। ফেসিয়াল মালিশ করলে চামড়া টানটান থাকে।

২) সঠিক স্কিন কেয়ার রুটিন মেনে না চললে বিপদ। প্রতিদিন ত্বক পরিষ্কার করা, সানস্ক্রিন ব্যবহার করা, ময়েশ্চারাইজ করার মতো কাজগুলো আপনাকে করতেই হবে। এতে আপনি ত্বককে ক্ষয়ের হাত থেকে রক্ষা করতে পারবেন। এতে ত্বকের স্বাস্থ্যও ভাল থাকবে।

৩) ভাতা (বায়ু), পিত্তা (আগুন) ও কাফা (জল), এই তিনটে বিষয়ের উপর জোর দেয় আয়ুর্বেদ। ত্বকের যত্ন নেওয়ার ক্ষেত্রেও এই তিন গুণ জরুরি। ত্বককে হাইড্রেটেড রাখা, রোজ সানস্ক্রিন ব্যবহার করা এবং হালকা এক্সফোলিয়েটর ব্যবহার করার মতো কাজগুলোর মাধ্যমে আপনি ত্বকের স্বাস্থ্য বজায় রাখতে পারেন।

৪) ত্বককে ভাল রাখার জন্য আয়ুর্বেদ প্রচুর পরিমাণে জল খাওয়ার পরামর্শ দেয়। এতে ত্বকের স্থিতিস্থাপকতা বৃদ্ধি পায়। ত্বক হাইড্রেটেড থাকে। দাগছোপ, বলিরেখা, সূক্ষ্মরেখা এবং বার্ধক্যের অন্যান্য লক্ষণগুলো সহজে প্রকাশ পায় না।

৫) আয়ুর্বেদ সবসময় প্রাকৃতিক ও ভেষজ উপাদান ব্যবহার হয়। আর ত্বকের যত্নে বরাবরই হলুদের কদর বেশি। এটি দেহে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তোলা থেকে শুরু করে ক্ষত সারিয়ে তুলতে সাহায্য করে। ত্বককে উজ্জ্বল করতে এবং ত্বকের প্রদাহ কমাতে দুর্দান্ত কাজ করে হলুদ। হলুদের মধ্যে অ্যান্টি-এজিং উপাদান রয়েছে, যা ফ্রি র‍্যাডিকেলের সঙ্গে লড়াই করে এবং ত্বককে ক্ষতিকারক ইউভি রশ্মির হাত থেকে সুরক্ষিত রাখে। রোজ হলুদ খেতেও পারেন কিংবা দইয়ে মিশিয়ে মুখে মাখতেও পারেন।