শরীর সুস্থ রাখতে রোজ নিয়ম করে শরীরচর্চা করতেই হবে। ১ ঘণ্টা ঘাম ঝরিয়ে শরীরচর্চা করুন। শুধুমাত্র বসে যোগাসনে বিশেষ কাজ হয় না, ১৫ মিনিট যোগাসন করলে বাকি ৩০ মিনিট ঘাম ঝরিয়ে ব্যায়াম করুন। নইলে হাঁটতে পারেন, সাঁতার কাটতে পারেন। শরীরচর্চা সব বয়সের সব মানুষের জন্য প্রয়োজন। নিয়মিত ব্যায়াম না করলে সময়ের আগেই শরীর বুড়িয়ে যাবে। একাধিক রোগ-জ্বালা জাঁকিয়ে বসবে শরীরে। সঙ্গে সুগার, প্রেশার, কোলেস্টেরল বাড়বে। কমে যাবে পরিশ্রম করার ক্ষমতাও। যে কারণে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা খুব জরুরি। ডায়েটের পাশাপাশি ক্যালোরি মেপে খাবার খেতে হবে। ব্যায়াম করলেন আর এদিকে তেলমশলাদার খাবার খাবেন এরকমটা করলে একেবারেই চলবে না। তাই রইল একটি ডায়েট গাইড লাইন। রোজ কত ক্যালোরি ঝরাচ্ছেন আর কত ক্যালোরির ব্রেকফাস্ট করছেন তার মধ্যে একটা সামঞ্জস্য রাখতেই হবে।
ব্রেকফাস্টে দুধ বা বাটার মিল্ক খেতে পারেন। ওটসের রুটির সঙ্গে পনির ভুর্জি, বেসব চিল্লা, ডিমসেদ্ধ, সবুজ মুগের চিল্লা, এসব খান। মোটকথা ৩৩৯ ক্যালোরির বেশি খাবার ব্রেকফাস্টে রাখবেন না। নইলে একবাটি দুধের মধ্যে চিয়া সিড, আপেল, খেজুর, বেদানা এসব ফল মিশিয়েও খেতে পারেন। টকদই, বিভিন্ন বীজ, ওটস এসবও চলতে পারে।
ব্রেকফাস্টের পর যদি খিদে পায় অর্থাৎ ১১-১১.৩০ এর দিকে যে কোনও একবাটি মরশুমি ফল খান। অথবা গোটা একটা ফল খেতে পারেন। আপেল, কলা খান। নইলে তরমুজ, আঙুর, বেদানা, পেঁপে, আনারস, ন্যাশপাতি, সবেদা এসব রাখতে পারেন তালিকায়। ফলের মধ্যে থাকে মাত্র ৪৭ ক্যালোরি।
দুপুরের তালিকায় কার্বোহাইড্রেট, প্রোটিন, ফ্যাট সবই রাখতে হবে। ১ টা রুটি খান অথবা ১ ছোট কাপ ব্রাউন রাইস খেতে পারেন। সঙ্গে একবাটি ডাল, সবজি, এক পিস মাছ বা দুটো পিস চিকেন, ডিম, পনির এসব রাখুন ডায়েটে। সবজির তরকারি নিয়ম করে না খেতে পারলে ডালের মধ্যে সব রকমের সবজি মিশিয়ে দিন। খাওয়ার পর এক বাটি রাইতা বা বাটার মিল্ক খেতে পারেন। এতে ৩৮৬ কিলো ক্যালোরি পাবেন।
সন্ধ্যে বা বিকেলে যাই খান না কেন তা যেন ৯৯ ক্যালোরির বেশি না হয়। হালকা তেলে ভাজা কোনও স্ন্যাকস, ড্রাই ফ্রুটস, ছানা, ডিমসেদ্ধ, আটার গোলা রুটি এসব খেতে পারেন।
রাতে যত হালকা খাবেন ততই ভাল। রাত ৯ টার মধ্যে ডিনার সারুন। আর ডিনারে সবথেকে ভাল হল স্যুপ। যে কোনও সবজি বা চিকেন দিয়ে স্যুপ বানিয়ে নিতে পারেন। নইলে ছোট এক কাপ ভাত, মুসুরের ডাল, পনির, মুরগির মাংস বা মাছ খেতে পারেন। এতে ২৯৬ ক্যালোরি পাবেন। ডিনারে এর বেশি খাবার চেষ্টা করবেন না।
রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে এক গ্লাস স্কিমড মিল্ক বা মিষ্টি ছাড়া পুডিং খেতে পারেন। মাখানা, ডালিয়া, ওটস বা সাবুদানার পায়েস বানিয়েও খেতে পারেন। তবে ডিনারের অন্তত ২ ঘন্টা পর খাবেন এই সব খাবার। নিজেকে কখনই ক্ষুধার্ত রাখবেন না। সময় মেনে খাবার খান। ক্যালোরি মেপে খান। ওজন কিন্তু কমবেই।