রবিবারের রাত, তার উপর বিশ্বকাপের ফাইনাল। আর্জেন্টিনা নাকি ফ্রান্স লড়াই তুঙ্গে। সমর্থকরা দুই দলে বিভক্ত হয়ে গিয়েছেন। কোভিড পরবর্তী সময়ে প্রথম বিশ্বকাপ। ফলে উত্তেজনা টানটান। রাস্তাঘাটে ভিড় কমে এসেছে। যানবাহনও প্রায় নেই বললেই চলে। রাস্তার মোড়ে মোড়ে জটলা। পছন্দের খাবার সাজিয়ে সকলেই বসে পড়েছেন টিভির সামনে। শীতের যে কোনও উইকএন্ড মানেই পছন্দের পানীয় সহযোগে আড্ডা থাকবেই। শীত পড়েছে জমিয়ে। পছন্দের দল নেমে পড়েছে মাঠে। শীত মানেই চা-কফির মরশুম। ফলে ফ্লাস্কে ভর্তি করে যেমন চা, কফি রাখা রয়েছে তেমনই পছন্দের ঠাণ্ডা পানীয়তেও ঠাসা টেবিল। কফি হোক বা বিয়ার সঙ্গে মুখ চালাতে এই সব খাবার কিন্তু একেবারেই নয়। খেলেই বিপদ আসবে ঘনিয়ে। সঙ্গে পেটের সমস্যা, হজমের সমস্যা তো থাকবেই।
খেলা দেখা চলবে। উত্তেজনা চড়বে। সেই সঙ্গে অ্যালকোহলেও পড়বে চুমুক। আর অ্যালকোহল শরীরে ডিহাইড্রেশনের জন্য দায়ী। আর তাই পপকর্ন, চিপস আর চিপসের স্যালাড এসব একেবারেই নয়। পছন্দের ফ্রেঞ্চ ফ্রাই আর চিলি ফিশও দূরে রাখুন। এই সব খাবার শরীরের জল বেশি শোষণ করে নেয়। তাই অ্যালকোহলের সঙ্গে শসা, তরমুজ কিংবা শাঁখালুর মত ফল রাখুন। এতে শরীরে জলের পরিমাণ ঠিক থাকে।
শরীরের জন্য খুবই ভাল শাক সবজি। তবে রাতে তেল-মশলাদার খাবার খাবেন বলে সারাদিন স্যালাড খেয়ে থাকবেন এমন ভুল করবেন না। প্রয়োজনে চিকেন স্যালাড খান। বা চিকেন রোস্ট খান। এতে প্রোটিনের পরিমাণ বেশি থাকে। শরীরের জন্যেও ভাল।
কফি বা অ্যালকোহলের সঙ্গে অনেকেই সস, মশলায় ডোবানো খাবার খেতে পছন্দ করেন। বেশি মশলাদার খাবার স্টার্টার হিসেবে খেলে এবং সঙ্গে অ্যালকোহল থাকলে ডিহাইড্রেশন অবধারিত। অ্যালকোহলের সঙ্গে অতিরিক্ত লবন একেবারেই নয়। এতে শরীরে সমস্যা থাকবে বেশি। হ্যাংওভার কাটতেই চাইবে না।
মদ্যপানের আগে যদি পেট ভরাতে চান তাহলে চিকেন রোস্ট বা তন্দুর খেতে পারেন। কিংবা চিজ দেওয়া কোনও খাবার খান। এক টুকরো চিজ খান। এতে পেটের ক্ষতি কম হবে। শরীরে অস্বস্তি কম হবে।
খালি পেটে অ্যালকোহল একেবারেই নয়। কিংবা কফি, চাও বেশি কাবেন না। তাহলে হজমের সমস্যা অবধারিত।