শরীরে রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তোলা যে কতখানি জরুরি তা কিন্তু শিখিয়ে দিয়েছে কোভিড। মুঠো মুঠো ওষুধ আর ভিটামিন খেলেই কিন্তু সমস্যার সমাধান হবে না। তাতে সাময়িক ভাবে সুবিধে পাওয়া যায়। কিন্তু প্রাকৃতিক ভাবে রোগ প্রতিরোধ গড়ে তোলা ভীষণ ভাবে জরুরি। ভারতীয় মশলার গুরুত্ব যে কতখানি একথা সকলেই জানেন। জিরে, তেল, হলুদ, নুন, ধনে ছাড়া যেমন রান্না হয় না তেমনই কিন্তু রোজকার খাবার থেকে এই সব মশলা বাদ দিলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়। আর তাই কাউকে চটিয়ে সুস্থ থাকা যায় না। বরং সার্বিক ভাবে সুস্থ থাকতে অবশ্যই জোর দিন এই আর্য়ুবেদিক টোটকায়। এতে ওজন কমবে, শরীরের ডিটক্সিফিকেশন হবে, হজম হবে, ফোঁড়া, গোটা, অবলিয়ায় ব্যাকটেরিয়ার আক্রমণ- এই সবকিছুর বিরুদ্ধেই বাধা হয়ে দাঁড়াবে।
সম্প্রতি পুষ্টিবিদ প্রিয়ংশি ভাটনগর তাঁর সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করেছেন দারুণ এই টোটকা। সেই সঙ্গে তিনি জোর দিয়ে এটাও বলেছেন যে এই টোটকা মানতে পারলেই হবে একাধিক সমস্যার সমাধান। প্রিয়ংশির মতে রোজ সকালে ১২ টা গোলমরিচ গুঁড়ো করে গরম জলের সঙ্গে মিশিয়ে খান। এর মধ্যে রয়েছে একাধিক সক্রিয় যৌগ। আছে পিপারিন। যা কিন্তু আমাদের ওজন কমাতে সাহায্য করে। সেই সঙ্গে হৃদরোগ সহ- একাধিক গুরুত্বপূর্ণ রোগের ক্ষেত্রেও উপকারী। তাই যদি অন্তত নিয়ম করে একমাস এই জল খেতে পারেন তাহলে একাধিক সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন। সেই সঙ্গে তফাতটাও আপনি নিজের চোখে দেখবেন।
গোলমরিচ কিন্তু রোগ- প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর ক্ষেত্রে ভীষণ রকম উপকারী। শরীরের কোশগুলিকে বিভিন্ন ক্ষতিারক ব্যাকটেরিয়ার হাত থেকে রক্ষা করে। সেই সঙ্গে শরীরকে ফ্রি র্যাডিক্যাল ক্ষতি থেকে রক্ষা করে। শরীর ভিতর থেকে পরিষ্কার থাকে। ডিটক্সিফিকেশন ভাল করে হয়। যার ফলে শরীরের হরমোনগুলো ঠিক ভাবে কাজ করে। ঘাম নিঃসৃত হয়। অনেকেই প্রাশই ফোঁড়ার সমস্যায় ভোগেন। তাঁদের জন্য এই গোলমরিচ কিন্তু আদর্শ। এতে রক্তের শুদ্ধিকরণ হয়। গোলমরি, কাঁচাহলুদ আর আদা একসঙ্গে খেতে পারলেও একাধিক উপকার পেতে পারেন। আদা-গোলমরিচ দিয়ে চা বানিয়েও খেতে পারেন।
গরমে বাড়ে ডিহাইড্রেশনের সমস্যা। শরীর তাড়াতাড়ি জলশূন্য হয়ে যায়। যে কারণে কিন্তু গোলমরিচ উপকারী। কারণ গোলমরিচের মধ্যে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট শরীরে জল ধারণের ক্ষমতা বাড়ায়। ফলে শরীরের এনার্জি যেমন বাড়ে তেমনই ত্বকের আর্দ্রতাও কিন্তু বজায় থাকে। ওজন কমাতেও এই গোলমরিচের জল ভীষণ ভাবে সাহায্য করে। আর এই জলে যদি সামান্য লেবুর রস মিশিয়ে নিতে পারেন তাহলে আরও বেশি উপকার পাবেন।