শরীরে বিপাকীয় ক্রিয়ার মাধ্যমে তৈরি হয় পিউরিন। এই পিউরিনের পরিমাণ বাড়লে তখনই রক্তে বাড়ে ইউরিক অ্যাসিড। পিউরিন প্রাকৃতিক ভাবে শরীরে পাওয়া যায় তবে বেশ কিছু খাবার আর পানীয়তেও পাওয়া যায়। আর পিউরিন সমৃদ্ধ খাবার বেশি খেলে শরীরে যেমন পিউরিনের পরিমাণ বাড়ে তেমনই বাড়ে ইউরিক অ্যাসিডের সমস্যাও। বিশেষত গেঁটে বাতের সমস্যা বাড়ে এই সব খাবার থেকে।
প্রস্রাবের মাধ্যমে বাইরে বেরিয়ে আসে ইউরিক অ্যাসিড। ইউরিক অ্যাসিড প্রস্রাবের মাধ্যমে যখন বেরতে না পারে তখন তা কিডনিতে জমতে থাকে। সেই সঙ্গে জয়েন্টেও আটকে যায়। যেখান থেকে গাউটের সমস্যা হয়। গাউট হল এক ধরণের বাত। আর এই বাত হলে খুবই ব্যথা হয়। বিশেষত শীতকালে।
ইউরিক অ্যাসিড বাড়লেই এই সমস্যা বেশি হয়। শীতকালে ইউরিক অ্যাসিড বাড়লে জয়েন্টে ব্যথা, জয়েন্ট শক্ত হয়ে যাওয়া, নাড়াচাড়া করার ক্ষমতা কমে যায়। সেই সঙ্গে আক্রান্ত স্থানে লাল ফোলাভাব থেকে যায়। অনেক সময় ইউরিক অ্যাসিড ছোট ছোট কেলাসের আকার নিয়ে জমতে শুরু করে। এর ফলে কিডনিতে পাথর-সহ একাধিক সমস্যা দেখা দিতে পারে।
শীতকালে ইউরিক অ্যাসিডের ক্ষরণ বেড়ে যায়। ফলে জয়েন্টে ব্যথা, জয়েন্টে ফোলাভাব এসব বিশেষ ভাবে দেখা দেয়। সেই সঙ্গে বাতের উপসর্গও প্রকট হয়ে ওঠে। পিউরিন সমৃদ্ধ খাবার খেলে এই সমস্যা আরও জটিল হয়। আর তাই শীতের প্রিয় কিছু খাবার থেকে দূরে থাকতেই হবে। নইলে দিনের পর দিন সমস্যা আরও বেশি জটিল আকার নিতে পারে। ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রাও নিয়ন্ত্রণে থাকবে এই ডায়েট মেনে খাবার খেলে।
নিয়মিত ভাবে অ্যাসপারগাস খেতে পারলে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা থাকে নিয়ন্ত্রণে। আর তাই যে খাবারে ফাইবারের পরিমাণ বেশি সেই খাবার বেশি করে খান। পালং শাক ইউরিক অ্যাসিডের জন্য খুবই ভাল। এর মধ্যে পিউরিন খুব কম মাত্রায় থাকে। যার ফলে গাউটের সমস্যা হয় না। এছাড়াও পালং শাক আয়রনের খুব ভাল উৎস।
গাউটের সমস্যায় যাঁরা ভুগছেন তাঁদের জন্য খুব ভাল হলর ব্রকোলি। এর মধ্যে ভিটামিন সি বেশি পরিমাণে থাকে। আর তাই নিয়মিত ভাবে ব্রকোলি খেলেও শরীরের অনেক উপকার হয়। শীতে ব্রকোলি পরিমাণ মত পাওয়া যায়।
ইউরিক অ্যাসিড রুখতে আরও একটি জনপ্রিয় খাবার হল শসা। শসার মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ ফাইবার। সেই সঙ্গে শরীর থেকে ইউরিক অ্যাসিড বের করে দিতেও কাজে আসে শসা। আর তাই নিয়মিত ভাবে খেলে উপকার পাবেন।