ওজন কমানোর জন্য খুবই ভাল লেবু। এছাড়াও শরীর্র বিভিন্ন ঘাটতি মেটাতেও কিন্তু ভূমিকা রয়েছে লেবুর। লেবুর মধ্যে রয়েছে ভিটামিন সি, বি, রাইবোফ্ল্যাভিন, ক্যালশিয়াম, ফসফরাস ও ম্যাগনেসিয়াম। যা আমাদের শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তুলতে সাহায্য করে। এছাড়াও একাধিক উপকারিতা রয়েছে লেবুর। যদি আপনার ওজন থাকে নিয়ন্ত্রণে তাহলেও রোজ একটা করে লেবু খেতে পারেন। এছাড়া যাঁদের ওজন বেশি তাঁর প্রতিদিন ২ টো করে লেবু খান। এতে উপকার যেমন পাবেন তেমনই ওজনও কমবে। তবে কিডনির সমস্যা থাকলে কিন্তু অতিরিক্ত লেবু না খাওয়াই ভাল। গরমের দিনেও রোজ লেবু খেলেও অনেক উপকার পাবেন। ডালের সঙ্গে লেবু দিয়ে খেতে পারেন। অথবা দুপুরের খাবারের পর একগ্লাস জলে লেবুর রস দিয়ে খেতে পারেন। এতে গ্যাস, অম্বলের সমস্যা দূর হয় সেই সঙ্গে শরীরও থাকে ঝরঝরে। দেখে নিন লেবুর একগুচ্ছ উপকারিতা-
*লেবুর মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। যা আমাদের ত্বক আর চুলের জন্যও কিন্তু উপকারী। খুশকি কমাতে সাহায্য করে লেবু। সেই সঙ্গে চুলের ভলিউম বাড়াতেও কিন্তু সাহায্য করে।
*ব্ল্যাকহেডস, ব্রণ, বলিরেখা থেকে মুক্তি দেয় লেবু। লেবুর রস ফেসপ্যাকোর সঙ্গে মিশিয়ে লাগালে ভাল উপকার পাবেন।
*লিভারের কার্যকারিতা ঠিক রাখতে দারুণ কাজ করে লেবু। লেবু দিয়ে বানিয়ে নিন বিভিন্ন ডিটক্স ওয়াটার। এতে যেমন শরীর থেকে ক্ষতিকর টক্সিন বের হয়ে যাবে তেমনই কিন্তু শরীরও থাকবে সুস্থ। লেবুপ সঙ্গে শসা, পুদিনা পাতা মিশিয়েও খেতে পারেন।
*দাঁতে ব্যথা হচ্ছে? লেবুর দল খান। আরাম পাবেন। সঙ্গে কমবে ব্যথাও।
*উচ্চরক্তচাপ, মানসিক চাপ, বমি বমি ভাব কমাতে কিন্তু খুবই কার্যকরী এই লেবু। লেবুর মধ্যে থাকে পটাশিয়াম। ফলে শরীরের সোডিয়াম-পটাশিয়ামের মধ্যে ভারসাম্য রক্ষাতেও কিন্তু সাহায্য করে।
*হাঁপানি বা শ্বাসকষ্টের সমস্যা থাকলে রোজ খান লেবুর জল। গরম জলে না খেলেও চলবে।
*গুড়ের সঙ্গে লেবুর রস মিশিয়ে খান। যাঁরা নিয়মিত ধূমপান করেন তাঁদের জন্য ভাল। এটি নেশা ছাড়াতেও সাহায্য করে। সেই সঙ্গে ধূমপানের কারণে হারিয়ে যাওয়া ভিটামিন-সি এর পুনরুদ্ধার করতেও কিন্তু সাহায্য করে।
*গরমে সুস্থ থাকতে এক বোতল জলে তিন টুকরো লেবুর স্লাইস রাখুন। সারাদিন কাজের ফাঁকে চুমুক দিন। এছাড়াও ইষদুষ্ণ জলে গেলুর রস আর মধু মিশিয়ে খেতে পারলেও কিন্তু অনেক রকম উপকার পাওয়া যায়। শরীরের ডিটক্সিফিকেশন হয়। গলা ব্যথার সমস্যাতেও কিন্তু এই জল খুব ভাল কাজ করে।