যাঁরা ডায়েট করেন তাঁদের ধারণা বিদেশি খাবার খেলেই বুঝি সাত তাড়াতাড়ি ওজন কমানো যায়। যাবতীয় পুষ্টিগুণ রয়েছে বিদেশি ফলেই। আর তাই তো তাঁরা ঘর ভরান বিদেশি কুইনোয়া, ওটসে। তাঁদের কাছে ভারতীয় খাবার মানেই অস্বাস্থ্যকর এবং তেল-মশলায় ভরা। আর তাই যাঁরা ওজন কমাতে চান তাঁরা প্রথমেই দেশি খাবার ডায়েট থেকে বাদ দিয়ে দিতে চান। কিন্তু সবচেয়ে বেশি পুষ্টি, খাদ্যগুণ রয়েছে খাদ্যের মধ্যে। খেতে সকলেই ভালবাসেন। আর ভারতীয়রা সবচেয়ে বেশি পছন্দ করেন কাউকে রেঁধে খাওয়াতে। আর এই রাঁধতে গিয়ে খাওয়া-দাওয়ার পরিমাণ বেশি হয়। তাই সব সময় পুষ্টিকর খাবার খান। স্থানীয় খাবার, সবজি এসব বেশি করে খান। এতেই কিন্তু শরীর থাকবে সুস্থ। সেই সঙ্গে কমবে ওজনও। এছাড়াও ভারতীয় মহিলারা রোজকার জীবনযাত্রায় এই কয়েকটি টিপস মেনে চললে কিন্তু সুস্থ থাকবেন-
ওজন কমাতে হলে প্রথমেই লোভ সংবরণ করতে হবে। খাওয়া-দাওয়াতে রাশ টানলে তবেই কিন্তু কমবে ওজন। কম খাওয়া অভ্যাস করতে পারলে তবেই কিন্তু তা শরীরের কাজে লাগবে। খাওয়ার ৩০ মিনিট আগে বেশি করে জল খান। এতে পেটও ভর্তি থাকে সেই সঙ্গে কিন্তু খিদে কম পায়। অর্থাৎ জল বেশি খাওয়া হয় বলে খাবার তাড়াতাড়ি হজম হয়। পেট ভরে খাবার খাওয়ার সুযোগ থাকে না।
ব্রেকফাস্ট সময়ে করুন এবং ব্রেকফাস্টে প্রোটিন খান। বেশিরভাগ ভারতীয় মহিলাই স্বামী-সন্তান-সংসারের পিছনে অধিক সময় দিয়ে নিজের দিকে আর তাকানোর ফুসরত পান না। এমনকী নিজেদের জন্য সেই ভাবে সময়ও বের করতে পারেন না। আর তাই অনেকেই ব্রেকফাস্ট স্কিপ করে যান। এটি শরীরের জন্য খুব খারাপ। আর ব্রেকফাস্ট বাদ দিলে ওজন বেড়ে যায় তাড়াতাড়ি।
ডায়েট মানেই সব সময় নিজের জন্য আলাদা করে খাবার বানাতে হবে তা কিন্তু নয়। বেশিরভাগেরই কিন্তু ধারণা থাকে তাই। তিনি ডায়েট খাবার খাবেন বলে তাঁর খাবার অন্যদের থেকে আলাদা হতে হবে। রোজকার ভাত-মাছের সঙ্গে কম তেলে সবজির তরকারি বানান। সঙ্গে রাখুন একবাটি ডাল। চাল আর সবজি খেয়েই পেট ভরান। সঙ্গে খেতে পারেন স্যালাড। এতে শরীর ভাল থাকবে সেই সঙ্গে শরীর প্রয়োজনীয় পুষ্টিও পাবে।
রাতে একটা রুটি বা একমুঠো ভাত খান। সঙ্গে একবাটি সবজি খান। দিনের মধ্যে যে কোনও একটা সময় কিন্তু একবাটি করে টকদই খেতে ভুলবেন না। রাতেও সবজি খান একবাটি করে। এছাড়া শসা, পিঁয়াজ কুচি দিয়ে রাইতা বানিয়ে নিতে পারেন। এতে গরমের দিনে যেমন পেট ভাল থাকবে তেমনই কিন্তু শরীরও ঠান্ডা থাকবে। দেশি খাবারেই সাত-তাড়াতাড়ি ওজন কমে, এটা মাথায় রাখুন।