গত বছর থেকেই ম্যাগিকে নিয়ে চলছে উদ্ভট সব পরীক্ষা। নতুন বছরেও ছাড় নেই ম্যাগির। ফান্টা ম্যাগি থেকে শুরু করে মিল্কশেক ম্যাগি এমনকী ম্যাগির উপর রুহআফজা ছড়িয়েও পরিবেশন করতে দেখা গিয়েছে। ম্যাগি নিয়ে একাধিক ভিডিয়ো ইতিমধ্যে ভাইরাস। আর পরম প্রিয় ম্যাগির এমন হাল দেখে চটেই আগুন নেটবাসী। মধ্যরাত হোক কিংবা ভোর-হাতের সামনে ম্যাগি থাকলে সঙ্গে সঙ্গেই খিদে মিটে যায়। বানাতে আক্ষরিক অর্থেই লাগে দু মিনিট। এছাড়াও যাঁরা বাড়ির বাইরে হোস্টেল-পিজিতে থাকেন তাঁদের কাছে ম্যাগি একরকম জীবনদায়ক খাদ্য। ম্যাগির সঙ্গে পছন্দের সবজি, ডিম, চিকেন আর চিজ মিশিয়ে যেমন অনেকে খেতে পছন্দ করেন তেমনই আবার গ্রেভিওয়ালা ম্যাগিও পছন্দ অনেকের।
লকডাউনে বাড়ি বসে চলেছে খাবার নিয়ে নানা পরীক্ষা-নিরীক্ষা। যাঁরা সামান্য চা বানাতে জানতেন না তাঁরাও হয়ে উঠেছেন দক্ষ শেফ। এছাড়াও অনেকের বাড়িই আজকাল হয়ে উঠেছে ছোট-খাটো রেস্তোরাঁ। ইন্টারনেটের দৌলতে সবই এখন হাতের মুঠোয়। ভালো-মন্দ নানা খবরও সহজেই পাওয়া যায় মুহূর্তের মধ্যে। আর তাই ভাইরাল হওয়ার সুযোগ পেলে সবাই তা কাজে লাগাতে চায়। যেমন গাজিয়াবাদের এই ব্যক্তি। ফুটপাথে তার দোকান। সম্প্রতি একটি ভিডিয়ো ভাইরাল হয়েছে। আর সেই ভিডিয়োতে দেখা গিয়েছে ম্যাগির সঙ্গে কোকাকোলা মেশাচ্ছেন তিনি। আর তাই দেখেই বিরক্ত বেশিরভাগ মানুষ। এই ম্যাগি বানানোর জন্য তিনি ফ্রাইং প্যানে তেল দিয়ে পছন্দের সবজি ভেজে নেন। এরপর তাতে মশলা, নুন মিশিয়ে ঢেলে দেন ছোট এক বোতল কোকা-কোলা। এরপর তাতে ম্যাগি মিশিয়ে ঢেকে রাখেন কিছুক্ষণ।
গাজিয়াবাদের এক ফুড ব্লগারের দৌলতেই এই ভিডিয়ো ভাইরাল হয়েছে। সেখানকার সাগর পিৎজা পয়েন্টে পাওয়া যাচ্ছে এই কিম্ভূতকিমাকার ম্যাগি। ভিডিয়োটি আপলোড হওয়ার পর ইতিমধ্যে তা ২ ক্ষরও বেশি মানুষ দেখে ফেলেছেন। খাবার নিয়ে এমন পরীক্ষা-নিরীক্ষায় যে বিরক্ত সকলেই তা কিন্তু কমেন্ট সেকশন দেখলেই বোঝা যাচ্ছে। এছাড়াও এমন খাবার শরীরের জন্য বিষাক্ত এমনটাও লিখেছেন অনেকে। কেউ লিখেছেন- কেন এভাবে ম্যাগিকে শেষ করে দিলেন? আবার কেউ লিখেছেন- ভুলেও খাবেন না, এই খাবার কিন্তু একেবারেই বিষাক্ত।
খাওয়ার নিয়ে বিভিন্ন পরীক্ষাতে এর আগে উৎসাহ দিয়েছেন নেটিজেনরাই। এমন অদ্ভুত খাবার কিন্তু শরীরের জন্য মোটেই ভাল নয়। কারণ এতে কোনও খাদ্যগুণ থাকে না। সেই সঙ্গে এই খাবার খেলে পড়তে হতে পারে গুরুতর স্বাস্থ্য সমস্যায়। ম্যাগির মধ্যে থাকে গ্লুটেন আর সোডার মধ্যে কার্বোনেট। এই দুই যৌগ রাসায়নিক বিক্রিয়ায় যে জটিল যৌগ তৈরি করে তা শরীরের পক্ষে খুবই ক্ষতিকারক। তাই নিজেও সতর্ক থাকুন আর অন্যকেও এমন উৎসাহ থেকে দূরে রাখুন।