Ayurveda Tips: কোলেস্টেরল আর ট্রাইগ্লিসারাইড গলাতে দারুণ কার্যকরী এই আয়ুর্বেদ পানীয়, রোজ খেলে সুস্থ থাকবেনই

How to reduce Cholesterol naturally: কোলেস্টেরল বাড়ার আরও একটি অন্যতম কারণ হল কোনও রকম শরীরচর্চা না করা। আর তাই নিয়মিত ভাবে ব্যায়াম করতে হবে। সাইকেল চালান, সাঁতার কাটান যে কোনও একটা এক্সসারসাইজ ৩০ মিনিট করতেই হবে

Ayurveda Tips: কোলেস্টেরল আর ট্রাইগ্লিসারাইড গলাতে দারুণ কার্যকরী এই আয়ুর্বেদ পানীয়, রোজ খেলে সুস্থ থাকবেনই
রোজ খেলে উপকার পাবেনই
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jan 18, 2023 | 8:50 PM

কোলেস্টেরল, ট্রাইগ্লিসারাইড, ডায়াবেটিস এসব আজকাল খুবই সাধারণ সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। ঘরে ঘরে এখন এই সমস্যা জাঁকিয়ে বসেছে। প্রতি পরিবার পিছু একজন করে আক্রান্ত এই কোলেস্টেরল, ট্রাইগ্লিসারাইডের সমস্যায়। কোলেস্টেরল একরকম মোমজাতীয় পদার্থ যা আমাদের রক্তেই থাকে। ভাল কোলেস্টেরল যেমন থাকে তেমনই খারাপ কোলেস্টেরলও থাকে। আর এই খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা বেড়ে গেলে তখনই বেশি সমস্যা হয়।

চর্বি যুক্ত খাবার বেশি খেলে তখনই কোলেস্টেরলের মাত্রা বেড়ে যায়। এই কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়লেই ধমনীতে রক্ত প্রবাহ বাধা পায়। এর ফলে হার্ট অ্যার্টাক, স্ট্রোকের পাশাপাশি একাধিক সমল্যা হতে পারে। কোলেস্টেরল বাড়লেই হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ে।

কোলেস্টেরল কমাতে যা কিছু করবেন

নিয়মিত ভাবে ব্যায়াম, শরীরচর্চা এসব করতেই হবে। সেই সঙ্গে একেবারে কম চর্বিযুক্ত খাবার, ফাইবার, ফল, শস্যদানা এসব বেশি করে খেতে হবে। একই সঙ্গে রক্তপরীক্ষায় কোলেস্টেরল, ট্রাইগ্লিসারাইড বাড়লে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে ভুলবেন না। সেই সঙ্গে মেনে চলতে পারেন আয়ুর্বেদের এই সমস্ত টোটকা।

আমলা ও আদার রস- ট্রাইগ্লিসারাইড আর কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখতে খুব ভাল কাজ করে আদা ও আমলার জুস। ১০ মিলি আমলা জুস আর ৫.৫ মিলি আদার রস একসঙ্গে মিশিয়ে নিতে হবে। এবার রোজ সকালে খালিপেটে এই রস খেলে কাজ হবে। এছাড়াও রসুন, কারিপাতা, পেঁয়াজ, সজনের ফল আর ডাঁটা নিয়মিত ভাবে খেলেও কাজ হবে। এছাড়াও তিলের তেল, সরষের তেল ব্যবহার করুন রান্নায়। যদিও তেল মেপে খেতে হবে।

খুব ভারী কোনও খাবার খাওয়া চলবে না। কারণ বেশি গুরিপাক খাবার হজম করতে যেমন সময় লাগে তেমনই শরীরের উপরেও চাপ পড়ে। খিদে পেলে তখনই খাবেন তবে পেট ভরে খাবেন না। রাতে সহজপাচ্য খাবার খেতে হবে। খুব তেলঝাল, মশলাদার খাবার রাতে একেবারেই চলবে না।

কোলেস্টেরল বাড়ার আরও একটি অন্যতম কারণ হল কোনও রকম শরীরচর্চা না করা। আর তাই নিয়মিত ভাবে ব্যায়াম করতে হবে। সাইকেল চালান, সাঁতার কাটান যে কোনও একটা এক্সসারসাইজ ৩০ মিনিট করতেই হবে। এতে শরীর থেকে অতিরিক্ত টক্সিন বেরিয়ে যায়। নিয়মিত ভাবে হাঁটা, জিম, দৌড়নো এসব করতেই হবে।

মানসিক চাপ কম করতে হবে। জীবনে নানা সমস্যা, স্ট্রেস থাকবেই। আর তাই স্ট্রেস এড়িয়ে চলতেই হবে। রোজ অন্তত ১০ মিনিট মেডিটেশন করুন। এতে মানসিক চাপ কমবে। কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখতে খুবই কাজে দেয় এই মেডিটেশন। টেনশন করলে হার্টের সমস্যা আসে, বাড়ে সুগারও।