রোজকার জীবনে ব্যস্ততা এতটাই বেড়েছে যে সেখানে নিজের জন্য সময় বের করাই কঠিন হয়ে দাঁড়াচ্ছে। কোনও প্রিয়জন যদি কথা বলতে ৩০ মিনিট সময় চেয়ে নেন তাতেই অনেকের মনে হচ্ছে অনেক ক্ষতি হয়ে যাচ্ছে। এই সমস্যা যে আপনার একার হচ্ছে তা নয়, অনেকেই এমন ঘটনার ভুক্তভোগী। কাজের চাপ এবং মানসিক চাপ এমন পর্যায়ে গিয়ে দাঁড়িয়েছে যেখান থেকে এই রোজকার লাইফস্টাইল থেকে মানুষ এবার মুক্তি চাইছেন। জিমে যাওয়ার সময় নেই, সময়ে রান্না করা কিংবা খাওয়া কোনওটারই সময় নেই, আড্ডা দেওয়া, গল্প করা কোনও কিছুর জন্যই অতিরিক্ত সময় নেই। এই সব ‘নেই’-এর মধ্যে থেকেই এবার উপায় বাতলে দিলেন পুষ্টিবিদরা। করতেল হবে না ডায়েট, যেতে হবে না জিমেও…স্রেফ কষ্ট করে এই কয়েকটি পাতা রোজ চিবোতে পারলেই বশে থাকবে সুগার, থমকে যাবে ওবেসিটিও।
আমাদের আশপাশে এমন প্রচুর গাছ আছে। কিন্তু সেই সব গাছের সঠিক ব্যবহার আমরা জানি না। কিন্তু প্রতিদিন নিয়ম করে এই সব ভেষজের ব্যবহার করলে শরীর যেমন সুস্থ থাকবে তেমনই কিন্তু ওষুধের খরচাও লাগবে না। ওজন কমানোর জন্য আমরা কতই না চেষ্টা করি। দামি ফল, খাবার কিনে খাওয়া থেকে শুরু করে সাপ্লিমেন্টস। আর তাই নিউট্রিশনিস্ট শিখা আগরওয়াল শর্মা দিলেন এই বিশেষ পরামর্শ। এভাবে নিয়ম মেনে চলতে পারলে ফ্যাট যেমন তাড়াতাড়ি ঝরবে তেমনই কিন্তু শরীরও থাকবে সুস্থ। দেখে নিন কোন কোন পাতার গুনেই চর্বি এবার গলতে শুরু করবে-
পুদিনা পাতা- পুদিনা পাতার যে অ্যারোমা তা ভীষণ রিফ্রেশিং। গরমের দিনে বানানো যে কোনও পানীয়তেই তাই এই পাতা ব্যবহার করার পরামর্শ দেওয়া হয়। পুদিনা পাতা যেমন হজম করাতে সাহায্য করে তেমনই কিন্তু খিদে নিয়ন্ত্রণে রাখতেও দারুণ ভূমিকা পালন করে। খিদে কমলেই কম খাবার খাওয়া হবে। আর এই খাবার নিয়ন্ত্রণের মধ্যে থাকলে ওজন কমবেই।
থানকুনি পাতা- খেতে তেতো কিন্তু শরীর রক্ষায় এই পাতার একাধিক ভূমিকা রয়েছে। পেতের যে কোনও সমস্যা সেরে যায় রোজ থানকুনি পাতা বাটা খেতে পারলে। এছাড়াও শরীরকে যে কোনও সংক্রমণের হাত থেকে রক্ষা করে। শরীরের ফোলা ভাব কমায়। সঙ্গে ফাইবারের পরিমাণও বেশি। তাই পেটও ঠিকমতো পরিষ্কার হয়।
রোজমেরি পাতা- রোজমেরি চা আজকাল খুবই জনপ্রিয়। আর রোজমেরির মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট। আর এই অ্যান্টি অক্সিডেন্ট শরীরকে একাধিক সংক্রমণের হাত থেকে রক্ষা করে। ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণে রাখতেও কিন্তু ভূমিকা রয়েছে এই পাতার। রোজমেরিতে উপস্থিত কার্নোসিক অ্যাসিড আমাদের ওবেসিটি নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। এছাড়াও বিপাক ক্রিয়া বাড়ায়।
পাহাড়ি পুদিনা- এই মিন্ট হিল কিন্তু আমেরিকাতেই সবচেয়ে বেশি পাওয়া যায়। তবে এখন আমাদের দেশেও পাওয়া যায়। যাঁরা হরমোনের সমস্যায় ভুগছেন কিংবা PCOS-রয়েছে তাঁরা এই পাতা চিবিয়ে খেলে উপকীর পাবেন। কিংবা পাতা বেটে নিয়ে জুস বানিয়েও খেতে পারেন। ইস্ট্রোজেনের পরিমাণ বাড়াতে এই পাতার বিশাল ভূমিকা রয়েছে।
নিমপাতা- প্রায় সব বাড়িতেই নিমগাছ আছে। ঠাকুরদারাও কিন্তু নিয়ম করে চিবিয়ে খেতেন এই গাছের পাতা। আর তা খেয়েই তাঁরা সুস্থ থাকতেন। রোজ খালিপেটে নিমপাতা, কাঁচা হলুদ আর সামান্য আখের গুড় একসঙ্গে চিবিয়ে খান। রক্ত পরিষ্কার হবে, সুগার থাকবে নিয়ন্ত্রণে। সেই সঙ্গে ত্বকের যে কোনও সমস্যাও কিন্তু দূর হয়ে যাবে।
Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি শুধুমাত্র তথ্যের জন্য, কোনও ওষুধ বা চিকিৎসা সংক্রান্ত নয়। বিস্তারিত তথ্যের জন্য আপনার চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করুন।