TV9 Bangla Digital | Edited By: রেশমী প্রামাণিক
Jul 11, 2022 | 8:51 AM
পেট নিয়ে বাঙালির সমস্যা আজকের নয়, বহুদিনের। যে কারণে পেটরোগা বাঙালির নোলা নিয়ে একাধিক কাহিনির উল্লেখ রয়েছে বাংলা গল্প-উপন্যাসে। বাড়ির খাবার খেয়েও প্রচুর মানুষ আছেন যাঁরা বদহজম, পেটে অস্বস্তি, পেট ফাঁপার মত একাধিক সমস্যায় ভুগছেন। কিন্তু বুঝতে পারেন না কেন এমনটা হচ্ছে।
পেটের যে কোনও সমস্যাতেই প্রথমে বাইরের খাবার এড়িয়ে চলার পরামর্শ দেওয়া হয়। তেল-মশলাদার খাবার বেশি খেলে শরীরে অস্বস্তি লেগেই থাকে। সেই সঙ্গে হয় গ্যাস-অম্বলের সমস্যাও। আর তাই নিয়ম করে খাবার খাওয়া খুবই জরুরি।
রোজকার খাবারের তালিকাতে সবজি-মাছৃদিম রাখতেই হবে। অর্থাৎ যে সব খাবার থেকে শরীর পুষ্টি পাবে। সেই সব খাবারই অল্প তেলে রান্না করে খেতে হবে। তম তেল-মশলায় রান্না করলেই যে তা খেতে খারাপ হয় এরকম কিন্তু নয়। বাইরের ফুচকা, মোমো, চাউমিন খাচ্ছেন না। বাড়িতে আনিয়ে কষা মাংস আর বিরিয়ানিও খাচ্ছেন না। তবুও থেকে যাচ্ছে হজমের সমস্যা। ঝোল-ভাত খেয়েও পেট খারাপ হচ্ছে। কেন হচ্ছে এই সমস্যা?
খেতে বসে জল খাওয়া একেবারেই ঠিক নয়। খেতে খেতে জল খেলে শরীরে অস্বস্তি লেগেই থাকে। সঙ্গে গ্যাস-বদহজমও হতে পারে। খাওয়ার পর পাকস্থলীতে হাইড্রোক্লোরিক অ্যাসিড নির্গত হয়। হজমের জন্য এই অ্যাসিড অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। খুব বেশি জল খেলে এই অ্যাসিডের ঘনত্ব কমে যায়। ফলে হজমে সমস্যা হয়। তার চেয়ে খাওয়ার এক ঘণ্টা আগে ও এক ঘণ্টা পর জল খান।
প্রোটিন আর স্টার্চ একসঙ্গে খেলে কিন্তু বদহজম আর অ্যাসিড রিফ্লাক্সের সমস্যা হতে পারে। স্টার্চ খপব তাড়াতাড়ি হজম হয়। কিন্তু প্রোটিন হজম হতে সময় বেশি লাগে। যেহেতু পুরো কাজ হয় পাকস্থলির মাধ্যমে তাই প্রোটিন পরিপাক না হওয়া অবধি স্টার্চকেও অপেক্ষা করতে হয়। পাকস্থলিতে স্টার্চ বেশিক্ষণ জমে গেলেই সমস্যা হয়।
খেতে বসে জল খাওয়া তো ঠিক নয়। সেই সঙ্গে ঠান্ডা জল বা কোল্ডড্রিংকসও একেবারেই ঠিক নয়। বিরিয়ানি খেতে খেতে কোল্ডড্রিংকে চুমুক দিলে তা মোটেই হজম হয় না। বরং আসতে পারে একাধিক স্বাস্থ্য সমস্যা। ঠান্ডা জল রক্তনালীার সঙ্কোচন কমিয়ে দেয়। ফলে খাবার হজম হতেও বেশি সময় লাগে।