AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Migraine: ওষুধ নয়, এই তিন খাবারই মাইগ্রেনের সমস্যায় মহৌষধ, যেভাবে খাবেন

How To Naturally Cure Migraine Problem: মাইগ্রেনের সমস্যায় শরীরের খুব কষ্ট হয়। রোজ ১৫ টা কিশমিশ জলে ভিজিয়ে রেখে সেই জল ছেঁকে নিয়ে রোজ খান

Migraine: ওষুধ নয়, এই তিন খাবারই মাইগ্রেনের সমস্যায় মহৌষধ, যেভাবে খাবেন
মাইগ্রেনের সমস্যায় ঘরোয়া প্রতিকার
| Edited By: | Updated on: Aug 29, 2022 | 10:20 AM
Share

মাইগ্রেনের সমস্যায় অনেকেই ভোগেন। মাইগ্রেন মূলত স্নায়ুর সমস্যা। মাথার পিছনের দিকে বিশেষ করে মাতার অর্ধেক অংশ বরাবর ব্যথা হয়। সেই সঙ্গে বমি বমি ভাব, বমি, আলো ও শব্দে কষ্ট এবং তীব্র শব্দের প্রতি সংবেদনশীলতা হল মাইগ্রেনের লক্ষণ। মাইগ্রেনের ব্যথা ১ দিন থেকে শুরু করে কয়েকদিন পর্যন্ত স্থায়ী হতে পারে। মাইগ্রেন ঠিক কোন কারণের জন্য হয় এবিষয়ে সুস্পষ্ট কোনও কিছুই জানা যায় না। NHS-এর মতে মস্তিষ্কের অস্বাভাবিক কার্যকলাপের ফলাফল হল মাইগ্রেন। সাময়িকভাবে মস্তিষ্কের স্নায়ু সংকেত, রাসায়নিক পদার্থ এবং রক্তনালীকে প্রভাবিত করে। মাইগ্রেনের থেকে মুক্তি পেতে ওষুধ তো আছেই। তবে সব সময় ওষুধেই যে কাজ হয়ে যায় এমন নয়।

সম্প্রতি, আয়ুর্বেদ বিশেষজ্ঞ ডাঃ দীক্ষা ভাবসার মাইগ্রেনের আয়ুর্বেদিক চিকিৎসা পদ্ধতি নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন তাঁর ইনস্টাগ্রামে। সেই পোস্টে তিনি লিখেছেন, মাইগ্রেনের ব্যথা থেকে মুক্তি পেতে ওষুধের পরিবর্তে নিয়মিত ভাবে কাজে লাগান এই সব ঘরোয়া টোটকা। আর এই সব উপকরণ স্বাস্থ্যের জন্যেও ভাল।

রোজ সকালে উঠে কিশমিশ ভেজানো জল খেতে পারেন। আগের রাতে ১০-১৫ টা কিশমিশ ভিজিয়ে রাখুন। পরদিন সকালে তা ছেঁকে খান। এভাবেই রোজ খেতে পারেন। স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। টানা ১২ সপ্তাহ পর্যন্ত এই জল খান। এতে শরীরের পিত্ত কমাতে সাহায্য করে। মাইগ্রেনের সঙ্গে বমি, অ্যাসিডিটি, জ্বালাপোড়া ভাব ইত্যাদি থাকলে অসহিষ্ণুতা আরও বাড়ে।

জিরা-এলাচের চা মাইগ্রেন নিয়ন্ত্রণে রাখতেও সাহায্য করে। দুপুরে বা রাতে খাওয়ার পর ১ ঘন্টা এই জল খেতে পারলে ভাল ফল পাবেন। বমি বমি ভাব আর মানসিক চাপ দূর করতেও সাহায্য করে। এক গ্লাস জলে এক চামচ জিরে আর এলাচ দিয়ে ফুটিয়ে নিন। এবার তা ছেঁকে খেয়ে নিন। এতে মন শান্ত থাকে। সেই সঙ্গে কমে মাইগ্রেনের ব্যথাও।

মাইগ্রেন কমাতে ঘি-ও খুব কার্যকরী। নানা ভাবে খেতে পারেন ঘি। ব্রাহ্মী, শঙ্খপুষ্পী, যষ্টিমধু ইত্যাদি কিছু ভেষজ খাবারে ঘি সহ খেতে পারেন। গরম দুধে ঘি মিশিয়ে খেতে পারেন। আবার নাকের দুই ফুটোর মধ্যেও ঘি দিতে পারেন। এতেও ব্যথা কমে। বমি ভাবও দূর হয়।

পাশাপাশি মাইগ্রেনের সমস্যায় স্বাস্থ্যকর জীবনযাত্রা মেনে চলতে হবে। রোজ নিয়ম মেনে খাওয়া, একটা রুটিন মেনে চলা এবং প্রাণায়ম ভীষণ বাবে জরুরি। রুটিন মেনে চলতে পারলে অনেক কাজ হয়।