আজকাল শরীরে সমস্যা সকলের রয়েছে। এর মূল কারণ আমাদের জীবনযাত্রা। কাজের প্রয়োজনে আমরা সব সময় ছুটে চলেছি। প্রয়োজন মতো বিশ্রাম নেওয়ার সুযোগ থাকে না। একটানা বসে কাজ, সময়ে খাওয়া হয় না। পাশাপাশি নানা রকম চিন্তা তো আছেই। এই চিন্তা থেকে সুগার বাড়ে, কোলেস্টেরল বাড়ে। সঙ্গে আরও কিছু সমস্যা বয়ে নিয়ে আসে। আগে একটা বয়সের পর আসত এই কোলেস্টেরলের সমস্যা। এখন অনেক কম বয়স থেকেই দেখা দিচ্ছে কোলেস্টেরলের সমস্যা। বছরে অন্তত একবার সকলেরই সবকিছু পরীক্ষা করে দেখা উচিত। যদি কোনও কারণে কোলেসস্টেরল-ট্রাইগ্লিসারাইড বেড়ে যায় তাহলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে ওষুধ খাবেন। পাশাপাশি আয়ুর্বেদের পরামর্শ মতো এই সব সবজিও খান। এতে শরীর ভাল থাকবে আর কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে থাকবে।
শীতের বাজারে প্রচুর রকম সবজি আসে। আর এই সব সবজি শরীরের জন্য খুব ভাল। তবে কিছু নিয়ম মেনে তা খেতে হবে। সবজি খুব ভাল করে ধুয়ে তবেই খান। একই সঙ্গে কাঁচা কোনও কিছু খাবেন না। খাওয়ার আগে অবশ্যই সবজি কিছুটা ভাপিয়ে নেবেন। এতে পুষ্টিগুণ বজায় থাকবে।
হার্ট অ্যাটাক রুখতে খুবই ভাল কাজ করে ধনেপাতা। আর তাই রোজের খাবারের তালিকায় এই ধনেপাতা রাখতে ভুলবেন না। ধনেপাতার বড়া, চাটনি এই শীতের সময় খেতে বেশ লাগে। এছাড়াও যে কোনও তরকারিতে ধনেপাতা ছড়ালে তার একটা আলাদা স্বাদ থাকে।
কুমড়ো আমাদের শরীরের জন্য খুব ভাল। এছাড়াও কুমড়ো আমাদের শরীর ঠান্ডা রাখতে সাহায্য করে। বয়স্কদের জন্য এই কুমড়ো খুব ভাল। যে কোনও রকম জয়েন্টের ব্যথা দূর করে দিতে পারে কুমড়ো। আয়ুর্বেদে তাই বলা হয় যে কোনও রকম ব্যথা সারাতে জুড়ি মেলা ভার এই কুমড়োর। একই সঙ্গে ওজন কমাতেও সাহায্য করে কুমড়ো।
রোজ নিয়ম করে শসা খান। আয়ুর্বেদ বলছে, শসা খাওয়ার আগে বেশ কিছুক্ষণ জলে ভিজিয়ে রেখে তারপর কাটুন। লাঞ্চ বা ডিনারে স্যালাড হিসেবে শসা খান।
আদতে বিদেশি সবজি কিন্তু শরীরের জন্য খুবই উপকারী হল জুকিনি। অন্ত্র ঠিক রাখতে সাহায্য করে একই সঙ্গে রক্তচাপ কম রাখে, আর জুকিনি খেতেও ভাল লাগে। তাই শীতের দিনে এই জুকিনি খেতে কিন্তু ভুলবেন না।