পিরিয়ড নিয়ে সব মেয়েকেই প্রতি মাসে কিছু না কিছু ঝামেলার মধ্যে পড়তে হয়। আবার পিরিয়ড শুরু হওয়ার আগে অনেকেই পিএমএসের সমস্যায় ভোগেন। বেশিরভাগেরই মনে হয় পিরিয়ডের ওই ৫ টা দিন যাবতীয় সমস্যা এসে জাঁকিয়ে বসে তাঁর শরীরেই। তলপেটে ব্যথা, ক্র্যাম্প, কোমরে ব্যথা, পায়ে ব্যথা এসব তো থাকেই। পাশাপাশি বমি, খিদে-মন্দা, গ্যাস, পেট ফাঁপা একাধিক সমস্যা থাকে। প্রতি বার পিরিয়ডসের আগে নিয়ম মেনে খাওয়া-দাওয়া করে, শরীরচর্চা করে, হট ব্যাগ নিলেই যে উপকার হয় তা কিন্তু নয়। সঙ্গে খেতে হয় মুঠোে মুঠে ব্যথা কমানোর ওষুধও। যা কিন্তু শরীরের জন্য একেবারেই ভাল নয়। নিতান্তই ব্যথা যদি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায় তখনই ওষুধ খাওয়ার প্রয়োজন পড়ে। কারোর ক্ষেত্রে আবার থাকে অতিরিক্ত রক্তপাতের সমস্যাও। তবে বিশেষজ্ঞরা কিন্তু বারবার বলেন এই সমস্যা সমাধানের একমাত্র উপায় হল জীবনযাত্রায় পরিবর্তন আনা। ক্যালোরি, কার্বোহাইড্রেট কম খেলে, জল বেশি পরিমাণে খেলে এই সমস্যার হাত থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব।
সম্প্রতি আর্য়ুবেদ বিশেষজ্ঞ দীক্ষা ভাবসার মেয়েদের পিরিয়ডের সমস্যা নিয়ে বিশেষ একটি পোস্ট করেন। বেশিরভাগই এখন ভুগছেন অনিয়মিত ঋতুস্রাবে। এর পিছনে যদিও একাধিক কারণ থাকে। কারোর ক্ষেত্রে শরীরে হরমোনের তারতম্য হয় আবার লাইফস্টাইলের প্রভাবও কিন্তু থাকে। তবে ৫০ শতাংশই এই অনিয়মিত পিরিয়ড নিয়ে সচেতন নন। চিকিৎসকের দেওয়া ওষুধ খেলে তবেই পিরিয়ডের সমস্যা মিটছে নইলে একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি হচ্ছে। নিয়মিত ভাবে এই অভ্যাস কিন্তু ঠিক নয়। নিয়মিত পিরিয়ডসের জন্য এই বিশেষ ড্রিংক বানিয়ে নেওয়ার পরামর্শ দিলেন দীক্ষা। দেখে নিন কী ভাবে বানাবেন।
এক চামচ সাদা তিল, হাফ চামচ হলুদ আর ১ চামচ শুকনো আদার গুঁড়ো নিন। এক গ্লাস জলে সবকটি উপাদান ভাল করে ফুটিয়ে নিন। এবার তা ছেঁকে নিয়ে আখের গুড় মিশিয়ে খেয়ে নিন। পিরিয়ড শুরুর ১০ দিন আগে থেকে এই পানীয় খান। এতে কিন্তু সমস্যার সমাধান হবে সহজেই। এছাড়াও রোজ তিল বাটা খেতে পারলেও কিন্তু সমস্যার সমাধান হয়।
দীক্ষা আরও জানান, আজকাল অধিকাংশ মেয়েরই পিসিওডি, সিস্টের সমস্যা রয়েছে। এছাড়াও থাইরয়েড, ওবেসিটির সমস্যা তো রয়েইছে। এক্ষেত্রেও কিন্তু কাজে দেবে এই পানীয়। পিরিয়ডে দেরি হলে বা অতিরিক্ত রক্তপাত হলে দুক্ষেত্রেই কিন্তু কাজে দেয় এই পানীয়।
এছাড়াও আরও যা কিছু মেনে চলবেন-
রোজ নিয়ম মেনে শরীরচর্চা জরুরি। অন্তত ৩০ মিনিট নিজের জন্য রাখুন। এই সময়টা সাঁতার, নাচ, ব্যায়াম, সাইকেল চালানো যা কিছু করতে পারেন।
স্বাস্থ্যকর খাবার খেতে হবে। অতিরিক্ত তেল মশলা খাবেন না। রোজ চেষ্টা করুন পেঁপে খেতে। কাঁচা কিংবা পাকা যা খুশি খেতে পারেন।
ঘুমও জরুরি। ঘুম ভাল হলে তবেই কিন্তু কর্টিসোল হরমোন ঠিকমতো নির্গত হয়।
Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি শুধুমাত্র তথ্যের জন্য, কোনও ওষুধ বা চিকিৎসা সংক্রান্ত নয়। বিস্তারিত তথ্যের জন্য আপনার চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করুন।