শীত মানেই বাজারে হরেক সবজির মেলা। সেই তালিকায় যেমন পালং, গাজর, সিম, বিট রয়েছে তেমনই রয়েছে সবুজ টমেটো। শীতে বাজারে যেমন টকটকে লাল টমেটো পাওয়া যায় তেমনই কিন্তু প্রচুর পরিমাণে পাওয়া যায় সবুজ টমেটোও। সবুজ টমেটো খেতে যেমন ভাল তেমনই কিন্তু পুষ্টিতেও ভরপুর। মাংস থেকে স্যালাড সবেতেই ব্যবহারল করা যায় সবুজ টমেটো। তবে এই সবুজ টমেটো কিন্তু একেবারেই কাঁচা খাবেন না। সব সময় রান্না করে খাবেন। কারণ সবুজ টমেটোতে প্রচুর পরিমাণ টক্সিন থাকে, যা কিন্তু শরীরের জন্য একেবারেই ভাল নয়। তবে সবুজ টমেটোর অনেক উপকারিতা রয়েছে। যেমন-
সবুজ টমেটোর মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন সি। লাল টমেটোর থেকেও বেশি পরিমাণে থাকে। এছাড়াও এর মধ্যে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ভিটামিন রয়েছে ৪২ গ্রামের মত।
ভিটামিন সি কিন্তু আমাদের শরীরে ইমিউনিটি পাওয়ারও বাড়িয়ে তোলে। ফলে শরীর সহজেই সর্দি-কাশির সঙ্গে লড়াই করার জন্য প্রস্তুত হয়। সেই সঙ্গে ব্যাকটেরিয়া ঘটিত রোগের জন্যও কিন্তু ভাল এই সবুজ টমেটো। হাড়, দাঁত, মাড়ি এবং ত্বকের গঠনে খুবই গুরুত্বপূর্ণ এই ভিটামিন সি।
সবুজ টমেটোর মধ্যে প্রচুর পরিমাণ ফাইবার থাকে। যা পাচনতন্ত্রের জন্য খুব ভাল। হজমে সাহায্য করে। হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়। যাঁরা কোলন ক্যানসারের সমস্যায় ভুগছেন তাঁদের জন্যেও কিন্তু বেশ ভাল এই সবুজ টমেটো। ২০১৭ সালে প্রকাশিত গবেষণাপত্র অনুযায়ী ডায়াবিটিস টাইপ ২ প্রতিরোধেও কার্যকরী এই সবুজ টমেটো। এছাড়াও এই টমেটো খেলে হজম ভাল হয়। ফলে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা থাকে না।
সবুট টমেটোয় থাকে বিটা ক্যারোটিন। যা শরীরে ভিটামিন এ তৈরিতে সাহায্য করে। এছাড়াও চোখ ভাল রাখতে কাজে দেয় এই ভিটামিন এ। দৃষ্টিশক্তির উন্নতি ঘটায়।
শরীরে শ্বেত রক্ত কণিকা তৈরিতেও ভূমিকা রয়েছে এই ভিটামিন-A এর। সেই সঙ্গে সাহায্য করে কোশ বিভাজনেও। যে কারণে এক কাপ সবুজ টমেটো থেকে প্রায় ৬২৩ মাইক্রোগ্রাম বিটা ক্যারোটিন পাওয়া যায়। প্রোটিন, ম্যাগনেশিয়াম, ফসফরাস, ভিটামিন-কে তে ভরা এই সবুজ টমেটো অবশ্যই রাখুন আপনার রোজকার ডায়েটে। রইল একটি স্বাস্থ্যকর রেসিপিও
সবুজ টমেটো দিয়ে চিংড়ি
মাঝারি মাপের চিংড়ি
পেঁয়াজের স্লাইস
রসুন কুচি
কাঁচা লঙ্কা
সবুজ টমেটো লম্বা করে কাটা- ( বড় এক বাটি)
সরষে পোস্ত বাটা
আলু লম্বা করে কাটা
চিংড়ি ব্রাউন করে ভেডজে তুলে রাখুন। এবার তেলে কালোজিরে ফোড়ন দিয়ে পেঁয়াজের স্লাইস, রসুন কুচি আর কাঁচা লঙ্কা ফোড়ন দিয়ে নেড়ে নিন। এবার ওর মধ্যো আলু দিন। স্বাদমতো নুন দিন। ভাজা হয়ে এলে সরষে-পোস্ত বাটা দিয়ে কষিয়ে নিন। সামান্য জল দিন। মশলা ফুটে উঠলে চিংড়ি মাছ ছেড়ে দিন। গরম ভাতের সঙ্গে মাখা মাখা এই তরকারি খেতে কিন্তু বেশ ভাল লাগে।
আরও পড়ুন: Jaggery Paratha: আলু কিংবা মুলো নয়, পাটালি গুড় দিয়েই বানিয়ে নিন এই বিশেষ পরোটা! পরামর্শ পুষ্টিবিদের