গরম ভাতে মাছ বাঙালির অভ্যাস। মাছের ঝোল, মাছ ভাজা, মাছের কারি যে কোনও একটা হলেই হল। এই গরমে অধিকাংশই মাছের পাতলা ঝোল খাচ্ছেন। একঘেঁয়ে সবজি দিয়ে মাছের ঝোল থেকে রোজ ভাল লাগে না। কড়া করে মাছ ভাজা দু-একদিনই ভাল। রোজ ছাঁকা তেলে মাছ ভাজা খাওয়া ঠিক নয়। আর তাই বাড়িতে বানিয়ে নিন এই মাছের চচ্চড়ি। বাঙালির খুবই প্রিয় পদ এই চচ্চড়ি। অনুষ্ঠান বাড়ির মত চচ্চড়ি হলে তো কথাই নেই। যে কোনও সবজি দিয়েই বাঙালি চচ্চড়ি বানিয়ে নিতে পারে। মাছ দিয়ে এই চচ্চড়ি বানাতে যেমন কম সময় লাগে তেমনই উপকরণও খুব কম লাগে। একপদ রান্না করলেই খাওয়া হয়ে যায়। রান্নাঘরে অতিরিক্ত সময়ও ব্যায় করতে হয় না। দেখে নিন কীভাবে বানাবেন এই চচ্চড়ি
এক্ষেত্রে রুই মাছের পেটি নিলেই সবচাইতে ভাল। মাছ খুব ভাল করে ধুয়ে নিয়ে নুন-হলুদ মাখিয়ে নিন। আলু ছোট লম্বা করে কেটে নিন আলুভাজার মত করে। পেঁয়াজ স্লাইস করে রাখুন। এই রান্নায় আদা লাগে না, রসুন থেঁতো করে রাখলেই হবে। মাছ সরষের তেলে হালকা করে ভেজে নিন। কড়াইতে তেল দিয়ে একটু নুন ছড়িয়ে দিন। এতে মাছ কড়াইতে লেগে যায় না। মাছ ভেজে তুলে রেখে ওই তেলের মধ্যেই রসুন থেঁতো করে দিন। এবার ওর মধ্যে পেঁয়াজের স্লাইস দিয়ে দিন। এবার আঁচ কমিয়ে ওর মধ্যে টুকরো করে রাখা আলু হলুদ, নুন আর সামান্য লঙ্কার গুঁড়ো মিশিয়ে কষতে থাকুন।
এবার কড়াইতে ঢাকা দিয়ে রাখুন। এর মধ্যে কাঁচালঙ্কা চিরে মিশিয়ে দিন। এই রান্নায় ধনে, জিরে লাগে না। আর কয়েক টুকরো রসুন পড়লে এই রান্নার স্বাদ খুবই ভাল হয়। এবার মাছের টুকরো আর পরিমাণ মতো জল মিশ্য়ে ঢাকা দিয়ে দিন। এই রান্নাটা একদম শুকনো শুকনো হবে। ঠিক কতটা গ্রেভি রাখবেন তা দেখে নিয়ে নামিয়ে নিন। নামানোর আগে টমেটোর কুচি আর হাতে সামান্য চিনি ছড়িয়ে দিন। এর ফলে খেতে যেমন ভাল হবে তেমনই গরম ভাতের সঙ্গে সুন্দর লাগবে খেতে। কম খাটুনিতে এইভাবে মাছের চচ্চড়ি বানিয়ে নিন, মাত্র ৩০ মিনিটেই লাঞ্চ একদম তৈরি।