কথায় বলে দিনের শুরু যেভাবে হয় সারাদিনটা সেভাবেই কাটে। আর তাই সকাল সকাল ঘুম থেকে ওঠা যেমন জরুরি তেমনই প্রয়োজন শরীরচর্চারও। সকালে উঠে এক কাপ ব্ল্যাক কফি আর হাতে একটা সিগারেট স্টাইল হতে পারে তবে রোজকার জীবনে তা যদি প্রয়োগ করা হয় তাহলে ফল হয় মারাত্মক। চা দিয়ে কখনই দিনের শুরু হতে পারে না। রাতের খাবার খাওয়ার পর ব্রেকফাস্টের মধ্যে একটা দীর্ঘ সময় গ্যাপ থাকে। আর তাই চা-কফি খেয়ে উপবাস ভাঙা কাম্য নয়। দিনের শুরুতে যদি একগ্লাস ডিটক্স ওয়াটার দিয়ে দিন শুরু করেন তাহলে সারা দিন আপনি নিজে সুস্থ থাকবেন। গ্যাস, অম্বল বা ব্লোটিং এর সমস্যা হবে না। পেট খারাপ হবে না। সেই সঙ্গে উল্টোপাল্টা কোনও কিছু খেতেও ইচ্ছে করবে না।
কফি কিংবা চা ছাড়া ঘুম ভাঙে না আর ধূমপান না করলে পেট পরিষ্কার হয় না এসবই হল ভ্রান্ত ধারণা। এই সব যুক্তির কোনও ভিত্তি নেই। তাই দিনের শুরুতেই খান এক গ্লাস ডিটক্স ওয়াটার। এবার মনে হতেই পারে কি এই ডিটক্স ওয়াটার?
হজম থেকে ওজন নিয়ন্ত্রণ এই সব কিছুই নির্ভর করে আমাদের মেটাবলিজমের উপর। মেটাবলিজম যত ভাল হয় তত দ্রুত ওজন কমে আর তা শরীরের জন্যেও ভাল। শরীর সুস্থ রাখতে এবং সঠিক ভাবে ডিটক্সিন করতেই কিন্তু এই ওয়াটার খাওয়ার কথা বলা হয়। বছরভর এই ডিটক্স ওয়াটার বানিয়ে খেতে পারলে খুবই ভাল। তেমনই গরমের দিনেও কিন্তু বানিয়ে খেতে পারেন এই ডিটক্স ড্রিংক। বিষয়টা রোগা কিংবা মোটা নয়- সুস্থ থাকাই কিন্তু একমাত্র উদ্দেশ্য। আর সেক্ষেত্রে ওজন নিয়ন্ত্রণের মধ্যে থাকলে শরীর ভাল থাকে।
যাঁরা পড়াশোনা বা কর্মসূত্রে হোস্টেলে-পিজিতে থাকেন তাঁরা দিনের শুরুতেই খান একগ্লাস ইষদুষ্ণ জল। এই গরম জলের মধ্যে কিন্তু লেবুর রস মেশাবেন না। এছাড়াও খাওয়ার পর একগ্লাস জলে এমনিই লেবু ফেলে খেতে পারেন।
যাঁদের হজমের সমস্যা রয়েছে তাঁরা রোজ সকালে জিরে আর জোয়ান একসঙ্গে মিশিয়ে খান। ইষদুষ্ণ এই জল রোজ খেলে হজমের সমস্যা একেবারেই হবে না।
আদা আর কাঁচা হলুদ আমাদের শরীরের জন্য খুব ভাল। পিসিওডির সমস্যা থাকলে রোজ সকালের চায়ে আদা আর হলুদ মিশিয়ে খান। আদা-হলুদ থেঁতো করে চায়ের জলে মিশিয়ে দিন। এবার তা ফুটলে চা পাতা দিয়ে ঢেকে রাখুন। রোজ সকালে এক কাপ করে এই চা খেলে ওজনও কমবে।
চিয়া সিড সারারাত ভিজিয়ে তবেই খাবেন। এক গ্লাস জলে চিয়া সিড আর সামান্য লেবুর রস মিশিয়ে খান। ব্রেকফাস্টের পর এবং লাঞ্চের মাঝে খান এই চিয়া সিডস।
সজনে পাতার শুকনো পাউডার আজকাল বাজারে পাওয়া যায়। এছাড়াও সজনে পাতা ভাল করে ধুয়ে নিয়ে জলে দিয়ে ফুটিয়ে নিতে হবে। এর মধ্যে থাকে প্রচুর পরিমাণ অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। PCOD- এর সমস্য়ার জন্য খুবই ভাল এই ড্রিংক।
মেথির জলও খুব ভাল। তবে মেথি আগের রাতে একগ্লাস জলে ভিজিয়ে রাখুন। পরদিন সকালে তা ছেঁকে খেয়ে নিন। এতেও প্রচুর কাজ হয়। ওজন কমে আর ডায়াবেটিসও নিয়ন্ত্রণে থাকে।