বিশ্বজুড়েই নিঃশব্দ ঘাতকের মত থাবা বয়িয়েছে ডায়াবিটিস। প্রতিদিন প্রচুর মানুষ আক্রান্ত হচ্ছেন। ডায়াবিটিসের ক্ষেত্রে এখন আর নির্দিষ্ট কেনও বয়স নেই। যে কোনও মানুষ কিন্তু যখন খুশি আক্রান্ত হতে পারেন। আর এর জন্য কিন্তু দায়ী আমাদের জীবনযাত্রা এবং খাদ্যাভ্যাস। আজকাল কেউই তেমন কোনও শারীরিক পরিশ্রম করেন না। বরং খাওয়া দাওয়ার পরিমাণ থাকে অনেকটা বেশি। ক্যালোরি প্রয়োজনের তুলনায় অধিক যায় শরীরে। যে কারণে ওজনও বাড়ে এবং সেইসঙ্গে আসে ডায়াবিটিসের মত সমস্যাও। আর তাই ডায়াবিটিসের সমস্যায় কিন্তু প্রথমেই জোর দিতে হবে ডায়েটে। কার্বোহাইড্রেটের পরিমাণ অনেকটাই ছেঁটে ফেলতে হবে। সেই সঙ্গে রোজ কত ক্যালোরির খাবার খাচ্ছেন সেদিকেও কিন্তু খেয়াল রাখতে হবে।
চিনি, ভাত, আলু এসব একেবারেই এড়িয়ে যান। পরিবর্তে ব্রাউন রাইস খান, গুড় খান। সবার প্রথমে চায়ে চিনি খাবার অভ্যাস ত্যাগ করুন। বাইরের খাবার যতটা কম খাবেন ততই ভাল। বরং বাড়িতেই বানিয়ে নিন মুখরোচক কোনও খাবার। চাইনিজ খাবার খেতে ভাললাগে না এমন মানুষ কিন্তু হাতে গোনা। তাই তো চাইনিজ রেস্তোরাঁর এত রমরমা শহরে। তবে এই চাইনিজ খাবার খেয়েও কিন্তু ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব।
ফ্রায়েড রাইস- শুনেই অবাক হচ্ছেন? তবে ডায়াবিটিসের সমস্যা থাকলে কিন্তু নির্ভয়ে খেতে পারেন ফ্রায়েজড রাইস। কিন্তু সাদা চালের নয়। এক্ষেত্রে ব্যবহার করতে হবে ব্রাউন রাইস। কড়াইতে এক চামচ তেল দিয়ে গোটা গরম মশলা দিতে হবে। এবার ব্রকোলি, ক্যাপসিকাম, পেঁয়াজ, গাজর, বিনস, কড়াইশুঁটি দিয়ে ভাল করে নেড়ে ভাত দিতে হবে। সামান্য গোলমরিচের গুঁড়ো মিসিয়ে নিলেই তৈরি। এই ফ্রায়েডরাইস খেতে ভাল, থাকে প্রচুর পরিমাণ ফাইবার। সেই সঙ্গে কিন্তু ওজনও কমবে।
নুডলস- ওজন কমাতে নুডলসও খেতে পারেন। কিন্তু ময়দার তৈরি নুডলস চলবে না। ডিম কিংবা মুগ ডালের তৈরি নুডলস চলতে পারে। এতে ক্যালোরির পরিমাণ তুলনামূলক ভাবে কম। এই নুডলস একটু পিচ্ছিল নয়। তবে নুডলস তেলে ভেজে খেলে কিন্তু চলবে না। খেতে হবে স্যুপের সঙ্গে। বিভিন্ন রকম সবজি আর ডিমের সঙ্গে মিশিয়ে নিন এই নুডলস। এছাড়াও নুডলস সেদ্ধ করে সবজির সঙ্গে মিশিয়ে খেতে পারেন।
বাও- চাইনিজ খাবারে এই বাও কিন্তু খুবই জনপ্রিয়। বাও স্বাদে মিষ্টি। একটা বাওয়ের মধ্যে কার্বোহাইড্রেট থাকে ৩২ গ্রাম। বাও তৈরি হয় আটা দিয়েছে। এছাড়াও এতে থাকে প্রয়োজনীয় কিছু খনিজ। আর তাই বাও খেতেই পারেন।
ওয়ান্টন- ওয়ান্টন কিন্তু ময়দা নয়, তৈরি হয় আটা দিয়ে। সেই সঙ্গে ভিতরে সবজি বা মাংসের পুর ভরা থাকে। এছাড়াও ওয়ান্টন পুরোপুরি স্টিম পদ্ধতিতে তৈরি। তেল প্রায় থাকে না বললেই চলে। পরিবেশন করা হয় স্যুপের সঙ্গে। তাই সুগার রোগীরা নির্ভয়ে খেতে পারেন ওয়ান্টন।
আরও পড়ুন: Weight Loss Tips: বিদায় নিচ্ছে শীত, ওজন কমাতে সকালে খান এই সব ডিটক্স ড্রিংক