শীতকালে কমবেশি সকলেরই ওজন বাড়ে। গরমে আমরা যত সহজে ওজন কমাতে পারি শীতে কিন্তু তা মোটেই পারি না। উলটে ওজন বেড়ে যায়। শীত মানেই পার্টি, পিকনিক, গেটটুগেদার। এই সব অনুষ্ঠানে খানা-পিনা থাকে জমজমাটি। এছাড়াও শীতে প্রচুর রকম সবজি ফল পাওয়া যায়। বাড়িতে বাড়িতে চলে কেক, পিঠে, পায়েস বানানোর ধুম। আর তাই ওজন বৃদ্ধির পিছনে মূল কারণ হল শীতের খাওয়া দাওয়া। আমাদের দেশে প্রায় সারা বছরই গ্রীষ্ম বিরাজ করে। শীতের আমেজ পাওয়া যায় মাত্র দু মাস। কাজেই কেউ তা ছাড়তে চান না। বরং পুরোপুরি নিজের মত করে উপভোগ করতে চান। এছাড়াও শীতের রাতে তেল-মশলাদার খাবারও কিন্তু গরমের তুলনায় একটু বেশিই খাওয়া হয়। ফেব্রুয়ারির শেষে ওজন যন্ত্রের সূচক থাকে তাই ঊর্ধ্বমুখী।
তবে সুস্থ থাকতে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতেই হবে। আর এর জন্য কিন্তু ডায়েট, শরীরচর্চা দুই প্রয়োজন। শীতের সকালে ঘুম থেকে উঠতে বেশ কষ্ট হয়। যে কারণে অনেকেই শরীরচর্চা বন্ধ করেন এই দু মাস আলসেমির চোটে। যে কারণে কেমরে, ঘাড়্, পায়ে ব্যথার মত সমস্যাও আসে। তাই এই সময় বেশি পরিমাণে জল খেতে হবে। জল যেমন আমাদের শরীরের আর্দ্রতা বজায় রাখে তেমনই কিন্তু ডিটক্সিফিকেশনেও সাহায্য করে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন দিনে ৮ গ্লাস জল মেপে খেতেই হবে। এর থেকে বেশি খেতে পারলেই ভাল। আকাশ-বাতাস জুড়ে এখন বসন্ত। আর তাই এমনদিনে নিজের খেয়াল রাখুন। যত্ন নিন। ওজন কমাতে ভরসা রাখুন এই কয়েকটি ডিটক্স পানীয়তে।
লেবুর জল- লেবুর মধ্যে রয়েছে ভিটামিন সি, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। যা আমাদের ডিটক্সিফিকেশনে সাহায্য করে। সেই সঙ্গে মেটাবলিজমও বাড়ায়। গরম জলে লেবুর রস আর মধু মিশিয়ে অনেকেই খান। যদিও লেবুর জল নিয়ে বেশ বিতর্ক রয়েছে। কেউ বলেন এই জল কার্যকরী, আবার অনেকের মতে নয়। তবে অ্যাসিডিটির সমস্যায় খাবেন না।
জিরের জল- জিরের প্রচুর গুণ। আদ্যিকাল থেকেই হজমের ওষুধ তৈরি করতে কিন্তু ব্যবহার করা হয় জিরে। জিরের মধ্যে ক্যালোরি একেবারেই নেই। জিরে আমাদের হজমে সাহায্য করে। সেই সঙ্গে ডিটক্সিফিকেশনে সাহায্য করে। এছাড়াও শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। যাঁরা ওজন কমাতে চাইছেন তাঁরা এই জিরের জল ছেঁকে নিয়ে খান। স্বাদ বাড়াতে মিশিয়ে নিতে পারেন লেবুর রস ও আদার রস।
মৌরি জল- এক চামচ মৌরি এককাপ জলে ভিজিয়ে রাখুন। পরদিন সকালে সেই জল ছেঁকে খান। চায়ের পরিবর্তে সকাল সন্ধ্যে কিন্তু এই জল খেতে পারেন।
আদার জল- খালি পেটে আদা খেলে কিন্তু ওজন কমাতে সাহায্য করে। রোজ সকালে আদা দিয়ে জল ফুটিয়ে নিয়ে ছেঁকে খান। এতে শরীরে যেমন রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়বে তেমনই কিন্তু হজমেও উন্নতি হবে। এছাড়াও গ্যাস-অম্বলের সমস্যাও আসবে না।
আরও পড়ুন: Chocolate and Weight loss: মাত্র একমাস চকোলেটকে ‘বন্ধু-তালিকার’ বাইরে রাখুন, পান এই দারুণ ৫ উপকার