Chocolate and Weight loss: মাত্র একমাস চকোলেটকে ‘বন্ধু-তালিকার’ বাইরে রাখুন, পান এই দারুণ ৫ উপকার
চকোলেটের মধ্যে যে ক্যাফেইন থাকে তা কিন্তু আমাদের স্নায়ুকে উত্তেজিত করে। আর এতে ঘুম মোটেই ভাল হয় না। বরং অন্যান্য সমস্যা জাঁকিয়ে বসে...
চকোলেট খেতে কে না ভালবাসে। যে কোনও মিষ্টির সঙ্গেই আমাদের প্রেম আদ্যিকাল থেকে। তা নকুলদানা হোক বা রসগোল্লা। কিন্তু চকোলেটের নাম শুনলেই যেন মন একটু বেশিই মিষ্টি হয়ে যায়। জন্মদিন থেকে প্রেমের উদযাপন, চকোলেট কিন্তু আমাদের সব সময়ের সঙ্গী। এমনকী যাঁদের চকোলেট খাওয়া মানা তাঁরাও কিন্তু সুযোগ পেলেই লুকিয়ে চুরিয়ে কামড় বসান চকোলেটে। ছোট থেকেই একটা চকোলেট পাওয়ার জন্য কত বায়না থাকে। তবে চকোলেট যেমন একদিকে শরীরের জন্য ভাল তেমনই আবার খারাপও। চকোলেটের মধ্যে যে কোকা থাকে তার মধ্যে থাকে প্রচুর পরিমাণ অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। কিন্তু চকোলেটের স্বাদ বাড়াতে তার সঙ্গে দুধ, চিনি এবং প্রচুর পরিমাণ ফ্যাট মেশানো হয়। যা কিন্তু শরীরের জন্য একেবারেই ভাল নয়। বরং দিনের পর দিন এই চকোলেট খেলে আসতে পারে একাধিক সমস্যা।
অনেকেই চকোলেটে এক কামড় না বসালে মন দিয়ে কাজ করতে পারেন না। আবার অনেকের চকোলেট না খেলে ঘুম আসে না। সেই সঙ্গে ওজন বৃদ্ধি তো থাকেই। তাই একমাস চকোলেট ছাড়া থাকুন। অর্থাৎ এই এক মাসে কোনও রকম চকোলেট- মিষ্টি মুখেও কাটবেন না। আর ফল কিন্তু নিজেই দেখতে পাবেন।
মুড স্যুইং কমবে- পছন্দের চকোলেটে কামড় দেওয়া মানে কিন্তু এক টুকরো চিনিই দাঁতে কাটা। আর এই চকোলেট আমাদের মনের উপর ভীষণ ভাবে প্রভাব ফেলে। বিরক্তি বা মন খারাপ থেকে মুক্তি পেতেই কিন্তু আমরা চকোলেটে স্বাদবদল করি। এতে সমস্যা আরও বাড়ে। এক মাস চকোলেট বন্ধ রেখে দেখুন। এতে কিন্তু মনও থাকবে শান্ত।
ওজন কমাতে সাহায্য করে- চকোলেট খেলে ওজনও বাড়ে। এক কমাড় চকোলেটেই আমরা সন্তুষ্ট থাকতে পারি না। বেশি খাওয়া হয়েই যায়। আর তখন কিন্তু সেখান থেকে আসে একাধিক সমস্যা। ওজন বাড়ে, রক্ত শর্করার মাত্রা বাড়ে এমনকী আসে ডায়াবিটিসের সম্ভাবনাও। আর তাই পুষ্টিবিদদের পরামর্শ যাঁরা ওজন কমাতে চাইছেন তাঁরা একেবারেই চকোলেট খাবেন না। চলতে পারে ৭৫-৯৯% ডার্ক চকোলেট।
ভাল ঘুমের জন্য- রাতে ডিনার শেষে পাতে মিষ্টি না পড়লে অনেকেরই ঘুম আসে না। তাই বেশিরভাগই চকোলেট খেয়ে ঘুমোতে যান। চকোলেটের মধ্যে যে ক্যাফেইন থাকে তা কিন্তু আমাদের স্নায়ুকে উত্তেজিত করে। আর এতে ঘুম মোটেই ভাল হয় না। বরং অন্যান্য সমস্যা আসতে পারে। যে কারণে সন্ধ্যার পর কফি, চকোলেট একেবারেই কিন্তু নয়।
হৃদরোগের ঝুঁকি- ডার্ক চকোলেট হার্টের জন্য ভাল মিল্ক চকোলেট কিন্তু শরীরের জন্য একেবারেই ভাল নয়। এতে শরীরে চর্বি জমার সম্ভাবনা থাকে অনেক বেশি। সেই সঙ্গে ধমনীর চারপাশেও কিন্তু ফিযাট জমে। আর এই চকোলেট খাওয়া বন্ধ করে দিলে সেই সব সমস্যা থেকে কিন্তু মুক্তি পাওয়া যায়।
অম্বল হবে না- চকোলেটের মধ্যে চিনি থাকে যা কিন্তু অ্যাসিড হওয়ার সম্ভাবনা বাড়িয়ে দেয়। মূলত যাঁদের অ্যাসিড রিফ্লাক্সের সমস্যা থাকে। চকোলেট যত বেশি মিষ্টি হবে এই সমস্যা কিন্তু ততই বাড়বে। কাজেই চকোলেট খাওয়া থেকে সাবধান। মিল্ক চকোলেট কিন্তু একেবারেই নয়।