যা কিছু সাদা তাই কিন্তু আমাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে সবচেয়ে বেশি। পছন্দের এবং ভালবাসার সব খাবারই কিন্তু মুখরোচক। স্বাদ বাড়াতে তাতে যোগ করা হয় চিনি, মাখন, তেল, মশলা, চিজ-সহ আরও একাধিক উপাদান। মন ভরে খাবার খেলে ওজন বাড়বেই। বৃথা তাকে দোষ দিয়ে লাভ নেই। আর ওজন বাড়লেই কিন্তু শরীরে দেখা দেয় একাধিক সমস্যা। প্রথমত, ওজন বাড়লেই কিন্তু পরিশ্রম করার ক্ষমতাও কমে যায়। আর তাই এ ব্যাপারে নিজেদেরই সজাগ থাকতে হবে। এছাড়াও রক্তশর্করা, কোলেস্টেরল, হাই ব্লাড প্রেসার, ট্রাইগ্লিসারাইড, পেটের সমস্যা, এসবও কিন্তু আসে। ডায়াবিটিসে অজান্তেই শরীরের অভ্যন্তরে একাধিক সমস্যা হয়। আর কোলেস্টেরল বাড়লে থেকে যায় হার্টের রোগের সম্ভাবনাও। আর তাই ওজন কমিয়ে সুস্থ থাকতে গেলে প্রথমেই রাশ টানতে হবে লোভে। লোভ সংবরণ কিন্তু একান্ত জরুরি। লোভ নিয়ন্ত্রণে থাকলে তবেই কিন্তু ওজন কমবে এবং শরীরের যাবতীয় হরমোনও ভাল কাজ করবে। আর তাই রান্নাঘরের তাক থেকে আজই এই কয়েকটি অতিপরিচিত উপাদান একেবারেই বাতিল করুন।
ভাত
ওজন কমাতে চাইলে কিন্তু ভাত এড়িয়ে চলতে হবে। ভাত শরীরের পক্ষে খারাপ এমন কিন্তু নয়। তবে ভাত খেলে শরীরে ক্লান্তি, আলস্য বেশি থাকে। এছাড়াও ভাতে শর্করার পরিমাণও বেশি। তবে ওজন কমানোর চেষ্টা করলে সাদা ভাতের পরিবর্তে ব্রাউন রাইস খান। ব্রাউন রাইসের মধ্যে ফাইবার, ক্যালশিয়াম, আয়রন এবং জটিল কার্বোহাইড্রেট রয়েছে। এছাড়াও এই ভাত অ্যান্টিঅকিসিডেন্টে ভরপুর। বিকল্প হিসেবে অবশ্যই বেছে নিন ব্রাউন রাইস। ়
চিনি
চিনি শরীরের জন্য একেবারে বিষ। ছোট থেকেই বাচ্চাকে চিনি ছাড়া খাবারের অভ্যাস করান। চিনির পরিবর্তে মধু, গুড়, স্টেভিয়া এসব বেশি করে ব্যবহার করুন। চিনি রক্তে সুগারের মাত্রা বাড়ায়। সেই সঙ্গে শরীরের একাধিক অঙ্গেরও ক্ষতি করে। বরং গুড়ের মধ্যে রয়েছে পটাশিয়াম, আয়রন। যা আমাদের শ্বাসনালী পরিষ্কার রাখে এবং শরীরে পুষ্টির ঘাটতি মেটায়।
মাল্টিগ্রেন রুটি
ব্রাউন ব্রেডের পরিবর্তে মাল্টিগ্রেন ব্রেড খান। সাদা রুটি ওজন কমানোর জন্য মোটেই ভাল নয়। গোটা শস্য বা ফাইবার রয়েছে এমন রুটি খান। এছাড়াও মাল্টি গ্রেন ব্রেডের মধ্যে প্রচুর পরিমাণ ফাইবার থাকে। আর তাই এই রুটিই বেশি করে খান।
নুনের পরিবর্তে রক সল্ট
শরীরের জন্য অতিরিক্ত নুন ও কিন্তু একেবারেই ভাল নয়। আর তাই নুনের পরিবর্তে রক সল্ট খান। শরীরের যাবতীয় ক্রিয়াকলাপ বজায় রাখতে ভূমিকা রয়েছে এই নুনের। এছাড়াও রক সল্টের মধ্যে এমন কিছু খনিজ থাকে যা আমাদের শরীরের জন্য উপকারী।
আটা
ময়দা একেবারেই নয়। পরিবর্তে সব খাবারেই আটা ব্যবহার করুন। এছাড়াও আটার সঙ্গে মিশিয়ে নিন ওটস কিংবা আমন্ডের গুঁড়ো। সেই আটা দিয়ে তৈরি রুটি খেতে যেমন ভাল তেমনই ফাইবার সমৃদ্ধ হওয়ায় অন্ত্রকে ভাল রাখে।