আজকাল সকলেই বাড়তি ওজন ঝরিয়ে ফিট থাকতে চাইছেন। ওজন বেড়ে যাওয়ার সমস্যায় সকলেই ভুগছেন। ১০ বছরের কম বয়সী বাচ্চাদের মধ্যেও যেমন দেখা যাচ্ছে ওবেসিটির সমস্যা তেমনই বড়দের মধ্যে তো আছেই। ডায়াবেটিস, উচ্চরক্তচাপ, ট্রাইগ্লিসারাইড, কোলেস্টেরল সব কিছুই বাড়ছে হুড়মুড়িয়ে। কোভিড পরবর্তী কালে শরীরে জাঁকিয়ে বসেছে নানা হরমোনাল সমস্যাও। বিশেষত মেয়েরাই এর শিকার। এর মধ্যে যেমন আছে থাইরয়েডের সমস্যা, তেমনই আছে পিসিওএস ( PCOS)। অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাত্রা, অতিরিক্ত স্ট্রেস, ঘুম না হওয়া- মোটকথা রোজকার জীবনযাত্রায় পরিবর্তন না আনতে পারলে কোনও লাভ নেই। আজকাল প্রচুর মানুষ ভুগছেন ফ্যাটি লিভারের সমস্যাতেও। দিনের শেষে সব চিকিৎসক একটাই কথা বলছেন। তা হল বাড়তি ওজন ঝরিয়ে ফেলা। শরীরের অতিরিক্ত ওজন ঝরিয়ে ফেলতে না পারলেই জাঁকিয়ে বসবে এসব সমস্যা।
রোজ তাই ক্যালোরি মেপে খাবার খাওয়া, শরীরচর্চা করা এবং নিজেকে একটা রুটিনের মধ্যে বেঁধে ফেলা খুবই জরুরি। শরীরচর্চাও চালিয়ে যেতে হবে নিয়মমাফিক। দু-একদিন করে কোনও লাভ হবে না। ফিট থাকলে এবং বাড়তি ওজন ঝরিয়ে ফেলতে পারলে শুধুই যে দেখতে সুন্দর লাগে তাই নয়। সামগ্রিক ভাবেও সুস্থ থাকা যায়। ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে পুজোর কাউন্টডাউন। পুজো আসতে বাকি মাত্র কয়েক মাস। শুধু জিম করেই নির্দিষ্ট ওজন কমানো যাবে এমন নয়। সেই সঙ্গে ডায়েটও করতে হবে। আর তাই ফিটনেস বিশেষজ্ঞের টিপস মেনে বনিয়ে নিন শসার এই বিশেষ স্মুদি। আগের রাতে একগ্লাস জলে এক চামচ মৌরি দিয়ে ভিজিয়ে রাখুন। পরদিন সকালে তা আগে গ্লাসে ছেঁকে নিন। এরপর শসা, পুদিনা, গোল মরিচের গুঁড়ো আর ওই মৌরির জল একসঙ্গে ব্লেন্ড করে নিন। এবার এতে সামান্য লেবুর রস মিশিয়ে খেয়ে নিন খালি পেটেই।
কী আছে এই শসা-মৌরি-পুদিনার স্মুদিতে?
এই স্মুদিতে ক্যালোরির পরিমাণ একেবারেই কম। প্রায় নেই বললেই চলে। সেই সঙ্গে স্বাদে ভাল। রয়েছে প্রচুর পরিমাণ অ্যান্টিঅক্সিডেন্টও। আর তাই নিয়ম করে খেলে উপকার পাবেন। এছাড়াও ওজন কমাতে ভীষণ ভাবে কার্যকরী শসার রস। শসার মধ্যে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট আমাদের বিপাক ক্রিয়া বাড়াতে সাহায্য করে। ফলে ওজন কমে দ্রুত।
শসার মধ্যে আছে ভিটামিন কে এবং সিলিকার। যা আমাদের ত্বকের উজ্জ্বলতা ধরে রাখতে সাহায্য করে। এছাড়াও শসার রসে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। ফলে ত্বকের প্রদাহ বা জ্বালাভাব কমাতেও কিন্তু উপকারী এই জুস।
শসার রসে রয়েছে ভিটামিন সি। সঙ্গে যুক্ত হয় লেবুর রস। আছে বিভিন্ন খনিজ। শসার রসের মধ্যে যে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে তা শরীর থেকে ক্ষতিকর টক্সিনকে বের করে দেয়। মোটকথা শসা শরীরে ক্লিনজিং এজেন্ট হিসেবে কাজ করে। যা রোগ-প্রতিরোধক ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে।
যে কোনও পার্লারে যখন মুখে ফেসিয়াল বা ক্লিনজিং করা হয় তখন চোখের উপর পাতলা চাকা চাকা করে কাটা শসা দিয়ে দেওয়া হয়। এতে চোখের ফোলাভাব দূর হয়। সেই সঙ্গে দৃষ্টিশক্তিও ভাল হয়। শসার রসে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ভিটামিন এ রেটিনার অক্সিডেটিভ স্ট্রেস কমাতে সাহায্য করে। যে কারণে মনও ভাল থাকে।