ম্যাক্রোনিউট্রিয়েন্টস আমাদের শরীরের জন্য খুবই উপকারী। মাইক্রোনিউট্রিয়েন্ট হল এমন একটি খাবার যা আমাদের শরীরকে সব রকম ভাবে পুষ্টি যোগায়। এর মধ্যে থাকে ফাবার, প্রোটিন, কার্বোহাইড্রেট, লিপিড আর অনেক কিছু। শরীরের জন্য সবচেয়ে ভাল কিন্তু ফাইবার। মাইক্রোনিউট্রিয়েন্টসের মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হল এই ফাইবার। ফাইবার আমাদের ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে সেই সঙ্গে পাচনতন্ত্রকে সুস্থ রাখে। এছাড়াও ফাইবার ডায়াবেটিস রোগীদের রক্তশর্করা নিয়ন্ত্রণে রাখতেও সাহায্য করে। ফাইবার বেশি খেলে অনেকক্ষণ পর্যন্ত খিজে পায় না. শরীরও অনেক বেশি ভাল থাকে। তাই রোজ ডায়েটে ফাইবার রাখতেই হবে। এতে পেট ভরবে, পেট পরিষ্কার হবে আর ওজন কমবে তাড়াতাড়ি।
ফাইবারের তালিকায় প্রথমেই রয়েছে ডাল। রোজ যে কোনও রকম একটা ডাল খেতেই হবে। রোজ নিয়ম করে মুগ ডাল, রাজমা, মুসুর ডাল এসব খান। এতে কোলেস্টেরল কমবে আর রক্তশর্করাও থাকবে নিয়ন্ত্রণে। হাইপোগ্লাইসেমিয়া প্রতিরোধ করতেও সাহায্য করে ডাল।
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে হলে সবুজ শাকসবজি বেশি করে খেতেই হবে। পালং শাক, বাঁধাকপি, মেথি, বিট এসবও ফাইবারে পরিপূর্ণ। শর্করা নিয়ন্ত্রণে রাখতে রোজ একটা করে সবজি খেতে হবে। কুমড়ো, লাউ, ঢ্যাঁড়শ, ঝিঙে, পটল এসব সবজিই রোজ খান নিয়ম করে। শাকও খান নিয়ম করে।
প্রক্রিয়াজাত খাবারের পরিবর্তে আটা, বাজরা, ব্রাউন রাইস, গমের রুটি, পাস্তা এসব বেশি করে খেতে হবে। এতে রক্তশর্করা নিয়ন্ত্রণে থাকবে। পাস্তা খেতে চাইলে আটার তৈরি পাস্তা খেতে পারেন।
চিয়াবীজ, ফ্ল্যাক্সসিডস এসবও ডায়াবেটিসের রোগীদের জন্য খুব উপকারী। সঙ্গে আখরোট, আমন্ড এসবও খান। যাঁরা প্রিডায়াবেটিক তাঁরা এই সব বিভিন্ন বাদাম অবশ্যই রাখবেন রোজকারের তালিকায়। এই সব বাদাম, বীজ শরীর সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। এর সঙ্গে হার্ট ভাল থাকে আর রক্তে শর্করার পরিমাণ তো কমবেই।
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে কম গ্লাইসেমিক ইনডেক্স যুক্ত ফল খেতে হবে। এতে রক্তশর্করা কমবে সেই সঙ্গে শরীর ভাল থাকবে। সাইট্রাস জাতীয় ফল যেমন লেবু, মুসাম্বি, আনারস, পেয়ারা, আপেল, ন্যাশপাতি, আঙুর, তরমুজ এসব খান।