হিন্দু ক্যালেন্ডারে সবচেয়ে পবিত্র মাস হল কার্তিক মাস। চতুর্মাস, অর্থাত্ বিষ্ণ যে চার মাস যোগনিদ্রায় থাকেন, তার অন্তিম মাস হল কার্তিক। নারায়ণের যোগ নিদ্রার অবসান হয়ে বলে এই মাস থেকে শুভ প্রভাব অত্যন্ত জোরালো হয়ে ওঠে। শাস্ত্র অনুসারে কার্তিক মাসে মানুষের মনে ধর্মীয় চেতনা বাড়ে ও অর্থলাভ ঘটে। কার্তিক মাসে ঘরে তুলসি গাঠ লাগানো এলং তুলসির বিবাহ দেওয়া অত্যন্ত শুভ বলে ধরে নেওয়া হয়। ১৯ অক্টোবর থেকে শুরু হয়েছে কার্তিক মাস। কার্তিক মাসের অন্যতম দুই উৎসব হল ধনতেরাস এবং দীপাবলির পুজো। দীপাবলিতে অধিকাংশ বাড়িতেই যেমন কালীপুজো হয় তেমনই অনেক বাড়িতে এই দিন হয় লক্ষ্মী-গণেশের আরাধনা। পঞ্জিকা মতে দীপাবলির দিন অর্থাৎ সোমবার রাত ২টো ৩৩ মিনিট থেকে পরদিন ভোর ৪ টে ৪১ মিনিট পর্যন্ত হল দীপাবলির সর্বশ্রেষ্ঠ সময়। আর এই সময়ের মধ্যে পুজো সেরে ফেলতে পারলেই সবচাইতে ভাল।
আলোর উৎসব দীপাবলি। এই আলোর উৎসব অন্ধকার দূর করে। সবাইকে এক করে দেয়। উৎসবের আনন্দ যাতে সবার মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে সকলেই যাতে ভাল থাকেন সেটুকুই কিন্তু আমাদের চাওয়া। ধনতেরাস বা দীপাবলিতে সুন্দর করে লক্ষ্মীর আরাধনা করলে লক্ষ্মী তুষ্ট হন। ফলে অর্থের কোনও অভাব থাকে না। পাশাপাশি এদিন ভোগ প্রসাদের মধ্যে এই তিন খাবার অবশ্যই রাখতে বলা হয়। আলো, আলপনা, ফুল, প্রদীপে ঘর সাজিয়ে পুজোয় বসুন। সুন্দর, পরিচ্ছন্নতা এবং সৃজনশীলতা এই উৎসবের মূল।
এই পুজোর মূল আকর্ষণ হল বোঁদের লাড্ডু। আর তাই এদিনের পুজোয় প্লেটে বোঁদের লাড্ডু সাজিয়ে দিতে ভুলবেন না। গণেশের খুব প্রিয় এই লাড্ডু। সেই সঙ্গে পুজোর থালায় সাদা বাতাসা আর কাজু বরফিও অবশ্যই সাজিয়ে দেবেন।
বানিয়ে নিন আটার হালুয়া। এই হালুয়া লক্ষ্মীর খুবই প্রিয়। কড়াইতে এক কাপ মাপের চিনি দিয়ে তাতে এক কাপ জল দিন। এবার তাই নিয়ে চিনির সিরাপ বানান। শুকনো কড়াইতে আটা দিয়ে নাড়তে থাকুন। এবার কড়াইতে এক কাপ ঘি দিয়ে কাজু, কিশমিশ আমন্ড ভেজে নিন। এবার ওর মধ্যে আটা মিশিয়ে দিন। এবার ওর মধ্যে চিনির সিরাপ মিশিয়ে নিন ধীরে ধীরে। ভাল করে শুকিয়ে নিলেই তৈরি আটার হালুয়া। এবার হাফ চামচ ঘি দিয়ে কাজু, কিশমিশ মিশিয়ে নিন।
এছাড়াও এই পুজোর অন্যতম আকর্ষণ গুলাব জামুন। আর তাই প্লেটে গুলাব জমুন রাখতে ভুলবেন না। লক্ষ্মী যেমন তুষ্ট হবেন তেমনই মনও ভরবে। আর সৌভাগ্য? দরজার গোড়ায় কড়া নাড়বে