মা-বাবাদের জন্য কখনই বিশেষ কোনও দিন হয় না। জীবনের সব কটা দিনই তাঁদের জন্য। ছোট থেকে বড় হয়ে ওঠার এই লম্বা জার্নিতে তাঁদের অবদানের কথা আলাদা করে বলা যায় না। ছোটবেলায় পছন্দের চকোলেট কিংবা রবিবার সন্ধ্যায় বাজার ফেরত এগরোলের বদলে ফুচকা পেলে খুব রাগ করত বাচ্চারা। পাশের বাড়ির বন্ধুরা যখন লজেন্সের পরিবর্তে চকোলেট পেত তখন মনে মনে খুব রাগ করত বাবার উপর। কিন্তু বুঝতে পারত না কেন এমন বৈষম্য। সংসার চালাতে গিয়ে প্রচুর রকম বাধা-বিপত্তির মুখে পড়তে হলেও কখনও তা বাচ্চাদের বুঝতে দিতেন না। সন্তানদের মুখের দিকে তাকিয়ে তাঁরা হাসিমুখেই সবটা সামাল দিতেন। সব বাবারাই ছোট থেকে সঞ্চয়ের কথা শেখান। অতিরিক্ত খরচ তাঁদের না পসন্দ। যদিও এই প্রজন্মের ছেলে-মেয়েদের মধ্যে সঞ্চয়ী মনোভাব অনেকটাই কম। আর তাই কথায় কথায় বাইরের খাবার, অনলাইন অর্ডার কিংবা রেস্তোরাঁয় গিয়ে সেলিব্রেশন বাবারা এখনও পছন্দ করেন না। বরং বাড়িতে সবাই মিলে খাওয়া-দাওয়া করলেই তাঁরা সবচেয়ে বেশি খুশি হন। তাই আজ Father’s Day স্পেশ্যাল বিরিয়ানি বানান বাড়িতেই।
বিরিয়ানি শুনেই ভয় পাচ্ছেন? ভাবছেন হাই প্রেসার, সুগারের রোগী বাবাকে কী ভাবে তাঁর প্রিয় বিরিয়ানি খাওয়াবেন? চিন্তা নেই, তেল ছাড়া বিরিয়ানির রেসিপি নিয়ে হাজির আমরা। বানানোর আগে দেখে নিন। মাত্র দু-তিন চামচ সাদা তেলেই তৈরি হবে এই বিরিয়ানি।
যা যা লাগছে
রাইস- ৫০০ গ্রাম
চিকেন- ১ গ্রাম
বিরিয়ানি মশলা- ৩ প্যাকেট
এলাচ- ৪-৫ টা
নুন- স্বাদমতো
টকদই- ৩০০ গ্রাম
কাঁচা লঙ্কা- ২-৩ টে
পেঁয়াজ স্লাইস- ২ টো বড় পেঁয়াজের
আদা-রসুনের পেস্ট- ২ চামচ
ধনেপাতা কুচি- ১/২ কাপ
লেবুর স্লাইস-২ টো
বিরিয়ানির রং- ১ চামচ
যে ভাবে বানাবেন
চাল অন্তত ৮০ শতাংশ রান্না করে নিন। এবার অন্য একটা প্যানে সাদা তেল দিয়ে পেঁয়াজের স্লাইস ভেজে নিন। খয়েরি রং না ধরা পর্যন্ত ভাজতে থাকুন। এবার এই পেঁয়াজের স্লাইসের সঙ্গে আদা-রসুনের পেস্ট মিশিয়ে নিন। চিকেনের মধ্যে টকদই আর বিরিয়ানি মশলা মাখিয়ে রাখুন। এবার ওই পেঁয়াজ-রসুনের মধ্যে চিকেনের টুকরো দিয়ো নেড়েচেড়ে ঢাকা দিয়ে রাখুন কিছুক্ষণ। এভাবে গ্রেভি আর চিকেন রান্না হয়ে গেলে উপর থেকে ভাত ছড়িয়ে দিন স্তরে স্তরে। ফুড কালার, ধনেপাতা কুচি আর লেবুর স্লাইস ছড়িয়ে দিন। হাঁড়ি বা পাত্রের মুখ ঢাকা দিয়ে রাখুন। লো-ফ্লেমে ৫ থেকে ৭ মিনিট রেখে দিন। তেল ছাড়াই তৈরি হয়ে যাবে বিরিয়ানি।