ফের বাড়ছে কোভিডের সংক্রমণ। দেশ জুড়েই বেড়েছে আক্রান্তের সংখ্যা। জ্বর, সর্দি-কাশি আর পেটের সমস্যা- প্রাথমিক লক্ষণ হিসেবে থাকছে এসবই। এদিকে মরশুমি সর্দি-কাশির সমস্যা ঘরে ঘরে। দোসর জ্বর, গলা ব্যথা। যেহেতু কোভিডও বাড়ছে তাই অনেকেই বুঝতে পারছেন না যে আদৌ কোভিড নাকি নিছকই ভাইরাল ইনফেকশন। করোনা বৃদ্ধির নেপথ্য কারণ হিসেবে যে রয়েছে ওমিক্রনের সাবভ্যারিয়েন্ট BA.4 এবং BA.5 তা আগেই জানিয়েছিল WHO। এমনকী এই বিষয়ে সতর্কও করেছিল। করোনা যে এত সহজে আমাদের পিছু ছাড়বে না একথা আগেই জানিয়েছিল বিভিন্ন বিশেষজ্ঞ মহল। কিন্তু সামাজিক দূরত্ববিধি বা মাস্ক বিদায় নিয়েছে অনেক আগেই। কোভিড থেকে সেরে ওঠার পরও শরীরে থেকে যাচ্ছে একাধিক সমস্যা। ক্লান্তি, শরীরে ব্যথা, মাথা ব্যথা, অস্বস্তি কাটছে না কিছুতেই। এছাড়াও থাকছে গলা ব্যথা, শ্বাসকষ্ট. হরমোনের পরিবর্তন-সহ একাধিক সমস্যা। ছেলেদের তুলনায় মহিলাদের মধ্যে লং কোভিডের লক্ষণ অনেক বেশি প্রকট। মহিলাদের মধ্যে রোগ-প্রতিরোধক ক্ষমতা পুরুষের তুলনায় কম। যে কারণে সমস্যা অনেক বেশি হচ্ছে। এমনটা মনে করছেন চিকিৎসকেরা। তবে লং কোভিডের সমস্যা থেকে সেরে উঠতে পুষ্টিবিদ রুজুতা দিওয়েকর দিয়েছেন বিশেষ এই পরামর্শ।
লেবুর শরবত তো সকলেই খান। রুজুতা বলছেন এই শরবতের সঙ্গে সামান্য গোলমরিচের গুঁড়ো মিশিয়ে নিতে। এতে খেতে ভাল লাগবে সেই সঙ্গে ক্লান্তিও দূর হবে। দিনের শুরুতেই একটা করে কলা খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন রুজুতা। খুব অসুবিধে হলে তা খেতে পারেন যে কোনও মিলের পর। এতে শরীরের একাধিক সমস্যা দূর হয়। চোখ জ্বালা, ক্লান্তি এসবও দূর হয়। তবে সবথেকে ভাল গরম ভাতে ডাল সেদ্ধ আর ঘি দিয়ে খেতে পারলে। এতে শরীরে পুষ্টির চাহিদা পূরণ হয়। সুস্থ থাকতে বরাবরই দেশি খাবারের প্রতিই সওয়াল করে এসেছেন রুজুতা। ভারতীয়দের প্রধান খাদ্য হল ডাল-ভাত। এই ডাল-ভাত থেকে যে পুষ্টি আসে তা কিন্তু অন্য কোনও খাবার থেকে আসে না। আর তাই রোজকার ডায়েটে ভাত, ডাল আর একচামচ ঘি অবশ্যই রাখুন।
এসবের পাশাপাশি রোজ নিয়ম মেনে শরীরচর্চা করতেই হবে। কত পরিমাণ ক্যালোরির খাবার খাচ্ছেন আর কত পরিমাণ ঝরাচ্ছেন সেই ব্যাপারে খেয়াল রাখতে হবে। সঙ্গে পর্যাপ্ত ঘুম এবং বিশ্রামও আবশ্যক। ঘুম ভাল না হলে কোনও ভাবেই সেরে ওঠা যাবে না। ঘুম কম হলে শরীরে একাধিক সমস্যা জাঁকিয়ে বসে। ক্লান্তিও দূর হয় না। নিয়মিত ওষুধ খেলেই সব সমস্যার সমাধান হয় না।