শরীর-মন তখনই ভাল থাকে যখন আমরা ভেতর থেকে থাকব সুস্থ। শরীর যদি সম্পূর্ণ সুস্থ থাকে তবেই কিন্তু কাজে মন বসে, নতুন কিছু ভাবনা চিন্তায় এনার্জি আসে। আর শরীরে যদি কোথাও কোনও ঘাটতি থাকে তাহলে কিন্তু তার ছাপ পড়ে শরীরেও। বিশেষত মেয়েদের, একটা বয়সের পর কিন্তু নানা রকম শারীরিক সমস্যা আসে। আর যার মধ্যে প্রধান হল শরীরে আয়রনের ঘাটতি। বেশির ভাগ মেয়ের শরীরেই কিন্তু আয়রনের ঘাটতি দেখা যাায়। আয়রনের অভাব ফলে নানা রোগ সমস্যা আরও বেশি জটিল হয়ে যায়। শরীরের প্রয়োজনের তুলনায় কম লোহিত রক্ত কনিকা তৈরি হয়। ফলে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা কমতে থাকে।
এই হিমোগ্লোবিন কমে যাওয়ার পিছনে কিন্তু নানা রকম কারণ থাকে। মুখ সাদা হয়ে যায়, ত্বক বিবর্ণ হয়ে যাওয়া, নখ সাদা হয়ে যাওয়া- শরীরে আয়রনের ঘাটতি দেখা দিলে এগুলোই হল প্রাথমিক লক্ষণ। এছাড়াও আরও নানা সমস্যাও থাকে। যেমন রক্তচাপ কমে যাওয়া, মাথা ঘোরা, বুকে ব্যথা, শ্বাস নিতে সমস্যা, হাত-পা ঠান্ডা হয়ে যাওয়া ইত্যাদি। সেক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ অবশ্যই নেবেন। তবে যদি রোজকার খাদ্যতালিকায় একটু নজর দেন তাহলে কিন্তু এই সমস্যার থেকে অনেকখানি রেহাই পাবেন।
কলাইয়ের ডাল- এক বাটি কলাইয়ের ডালের মধ্যে থাকে ২৬-২৯ শতাংশ আয়রন। আর তাই যদি রোজকার ডায়েটে রাখেন এই ডাল তাহলে লযেমন প্রোটিনও পাবেন তেমনই অনেক সমস্যারওএ সমাধান হবে। এই ডাল কিন্তু খেতেও বেশ ভাল।
মেটে খান- মাংসের মধ্যে মেটে, কচকচি, টেংরি এই সব অংশ বেশি করে খান। মেটের মধ্যে থাকে প্রচুর পরিমাণ আয়রন। খাসির মেটেতে সবচেয়ে বেশি আয়রন থাকে। দৈনিক চাহিদার ৩৬ শতাংশ আসে কিন্তু এই মেটে থেকেই।
পাটালি গুড়- এই শীতকালেই সবচেয়ে ভাল পাটালি গুড় পাওয়া যায়। আর পাটালি গুড় কিন্তু শরীরের জন্য খুবই উপকারী। এর মধ্যে থাকে খনিজ, আয়রন। চিনির বদলে সব সময় ব্যবহার করুন গুড়। চাইলে কিন্তু এই পাটালি গুড় সারাবছর সংরক্ষণ করে রাখতে পারেন।
আমলা- আমলার মধ্যে থাকে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন সি। থাকে আয়রন, ক্যালশিয়াম। যে কারণে আমলা রক্তাল্পতায় খুব ভাল কাজ করে। প্রতিদিন আমলার জুস খেতে পারেন। এছাড়াও চলতে পারে আমলার আচার, মোরব্বা কিংবা চাটনি। অথবা শুকনো আমলকি বানিয়ে রেখে দিন। আমলকি টুকরো করে লেবু মাখিয়ে রোদে শুকিয়ে নিন। এভাবে শুকনো আমলার টুকরো দুপুরে খাবারের পর এক টুকরো মুখে রাখুন। শরীর ভাল থাকবে।
কিশমিশ ভেজানো জল- কিশমিশের মধ্যে থাকে আয়রন, কপার এবং ভিটামিন। সেই সঙ্গে শরীরে রক্ত কোশ তৈরিতেও সাহায্য করে কিশমিশ। রোজ রাতে ৬ থেকে ৭টা কিশমিশ ভিজিয়ে রাখুন। পরদিন সকালে সেই জল ছেঁকে খান। এতে শরীরের অনেক উপকার তো হবেই। বাড়বে রক্তও।
আরও পড়ুন: Peanuts with drinks: পানশালায় পানীয়ের সঙ্গী নোনতা বাদাম, নেপথ্যে বিজ্ঞান! জানতেন?