AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Uric Acid: কেন ইউরিক অ্যাসিডে টমেটো, মুসুর ডাল ও পাঁঠার মাংস এড়িয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়? জানুন আসল কারণ…

Food For Uric Acid: রক্তে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা বাড়লে অতিরিক্ত প্রোটিন এড়িয়ে চলতে বলা হয়। কারণ এর মধ্যে থাকে পিউরিন। যেখান থেকে একাধিক রোগ সমস্যা আসে

Uric Acid: কেন ইউরিক অ্যাসিডে টমেটো, মুসুর ডাল ও পাঁঠার মাংস এড়িয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়? জানুন আসল কারণ...
সমস্যা হলে যে সব খাবার অবশ্যই এড়িয়ে চলবেন
| Edited By: | Updated on: Jun 13, 2022 | 5:16 AM
Share

ইউরিক অ্যাসিড বাড়লে শরীরে একাধিক সমস্যা দেখা দেয়। আর এই ইউরিক অ্যাসিড হল শরীরের রেচন পদার্থ। রক্তে থাকা এক ধরনের রাসায়নিকের নাম ইউরিক অ্যাসিড। সব মানুষের শরীরেই থাকে এই অ্যাসিড। খাবারের মধ্যে যে পিউরিন থাকে তা ভেঙে তৈরি হয় ইউরিক অ্যাসিড। ইউরিক অ্যাসিড স্বাভাবিক মাত্রায় তৈরি হলে কোনও সমস্যা থাকে না। কিডনি তা প্রস্রাবের মধ্যে দিয়ে বাইরে বের করে দেয়। কিন্তু রক্তে এই ইউরিক অ্যাসিডের পরিমাণ বেোড়ে গেলে তখনই সমস্যা বেশি হয়। কিডনি সেই ভাবে তা বাইরে বের করতে পারে না। এর ফলে রক্তে বাড়তে থাকে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা। ইউরিক অ্যাসিড বাড়তে শুরু করলে তা হাতে-পায়ে জমতে শুরু করে। য়ে কারণে গাঁটের ব্যথা. পায়ের পাতায় ব্যথা এসব বেশি হয়। কিছুক্ষেত্রে কিডনি স্টোবের কারণও কিন্তু এই ইউরিক অ্যাসিড। তাই ইউরিক অ্যাসিডের হাত থেকে সতর্ক থাকতে প্রথমেই উচ্চ প্রোটিন এড়িয়ে যাওয়ার কথা বলেন চিকিৎসকেরা। সেই তালিকায় রয়েছে টমেটো, মুসুরের ডাল, রাজমা এবং মটন।

ইউরিক অ্যাসিডের ক্ষেত্রে প্রথমেই যা আসে তা হল পায়ের সমস্যা। পায়ের পাতা ফুলতে থাকা, পা ফেলতে অসুবিধে, গাঁট ফুলে যাওয়া এই সব হল ইউরিক অ্যাসিডের প্রাথমিক লক্ষণ। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই পায়ের বুড়ো আঙুল ফুলে যায়। একটানা বসে থাকতে সমস্যা হয়। সঙ্গে পিঠে ব্যথা, প্রস্রাবে সমস্যা এসবও থাকে। ওজন বাড়লেও আসতে পারে ইুরিক অ্যাসিডের সম্ভাবনা। তবে পায়ের ব্যথা যদি বাড়তে থাকে তাহলেই আগে থেকে সাবধান হয়ে যান।

কেন ইউরিক অ্যাসিডের সমস্যায় প্রোটিন এড়িয়ে চলার কথা বলা হয়?

ইউরিক অ্যাসিজের সমস্যা ছাকলে মুসুরের ডাল, টমেটো, রাজমা, মটন এসব এডিয়ে চলার কথা বলা হয়। কারণ এই সবকটি খাবারের মধ্যেই থাকে উচ্চ মাত্রার প্রোটিন। সেই সঙ্গে থাকে পিউরিনও। এই পিউরিন ভেঙেই বেশি পরিমাণ ইউরিক অ্যাসিড তৈরি হয় আমাদের শরাীরে। যেহেতু কিডনির মাধ্যমেই অতিরিক্ত ইউরিক অ্যাসিড রেচক হিসেবে দেহের বাইরে আসে সেহেতু বেশি প্রোটিনে সমস্যা বাড়ে। কিডনির উপর অতিরিক্ত চাপ পড়ে। তখন কিডনি বিকল হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। বিপাকে সমস্যা হয়। শুধু রেড মিট নয়, ইউরিক অ্যাসিডের সমস্যায় চা, কফি, কোল্ড ড্রিংক, অ্যালকোহল ও ধূমপানও এড়িয়ে যাওয়ার কথা বলা হয়।

এছাড়াও আরও যা কিছু করতে হবে- 

ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। ওজন বাড়লেই সেখান থেকে দেখা দেয় একাধিক সমস্যা।

রোজ নিয়ম করে শরীরচর্চা করতে হবে, অন্তত ৩০ মিনিট করে। এতে বিপাকীয় কোনও সমস্যা থাকে না।

প্রস্রাব করতে গেলে যদি জ্বালা বা ব্যথার সমস্যা হয় তাহলে আগে থেকেই সতর্ক হতে হবে। বেশিদিন তা ফেলে রাখলে চলবে না।

চিনি কম খান। সঙ্গে প্রয়োজনীয় রক্ত পরীক্ষা এবং চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে চলাও ভীষণ জরুরি।